টিএসসিতে কাওয়ালী আয়োজনে হামলার প্রতিবাদে নানা ধরনের মতামত এবং পর্যবেক্ষণ দেখলাম। নানাবিধ উদ্দেশ্যবিধেয়'র আলাপও চোখে পড়লো। তবে এরমধ্যে একদলের আলাপ দেখে বেশ আমোদিত হয়েছি, ভাবলাম তাদের কিছু পুরান হিসাব স্মরণ করায়ে দেয়া যাক।
আপনারা যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে "রবীন্দ্র সংস্কৃতির উগ্রভূমি" "একক আখড়া" ভাবেন, বাংলাদেশকে "ভারতীয় ব্রাহ্মণ্যবাদী শক্তির সাংস্কৃতিক আধিপত্যক্ষেত্র" মনে করেন এবং এরফলে দেশে ই স লা মী সংষ্কৃতি কিংবা ই স লা ম ধ্বংসের মুখে আছে ইত্যাদি থিউরি তৈরি করে শত শত বছরের পুরোনো স্বতন্ত্র সংগীত ধারা "কাওয়ালী"কে ই স লা মী সংষ্কৃতি বানিয়ে দুর্বার এবং "বৈচিত্র্যময়" সাংস্কৃতিক বিপ্লবের দিবাস্বপ্ন দেখছেন, তাদের সদয় অবগতির জন্য জানাই এইবারও আপনাদের মধুর স্বপ্নখানা নির্দয় স্বপ্নদোষে পরিণত হবে। এইরকম খোয়াব আপনাদের প্রয়াত রূহানী পিতা মিলিটারিম্যান জনাব আ ই য়ু ব খানও দেখেছিলেন। বাঙ্গালী সাংষ্কৃতিক ঐতিহ্যকে হিন্দুয়ানী আখ্যা দিয়ে এবং রবীন্দ্রসঙ্গীত ও সাহিত্যের অসামান্য সূর্যালোকে অন্ধ সেইসব কূপমণ্ডূক কেঁচোর দল রবীন্দ্রসঙ্গীত নিষিদ্ধ করার সাহস দেখিয়েছিল। তারপরের ঘটনাপ্রবাহ অতি করুণ!
হবুচন্দ্র আ ই য়ু ব খান এবং তার গবুচন্দ্র মন্ত্রীপরিষদ পহেলা বৈশাখ উদযাপন এবং রবীন্দ্রসঙ্গীতকে হিন্দু সংস্কৃতির অংশ বানিয়েছিল, কিছু তাঁবেদার বুদ্ধিজীবী সেটায় সমর্থন যুগিয়েছিল এই বলে যে রবীন্দ্র সংগীতের ভাব, ভাষা ও সুরের কোনোটার সঙ্গেই নাকি পূর্ব পা কি স্তা নে র তৌ হি দ বাদী জনসাধারণের তিলমাত্র সংযোগ নাই। রবীন্দ্রনাথের ঐশ্বর্য ও কৃষ্টি পূর্ব পা কি স্তা নী তমদ্দনের সম্পূর্ণ বিপরীত। এই সমর্থন পেয়ে পা কি স্তা ন সরকার ১৯৬৭ সালের আগস্ট মাস থেকে রেডিও-টেলিভিশনে রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছিল।
মজাটা হলো এরপরেই, রেডিও টিভিতে রবীন্দ্রসংগীত প্রচার বন্ধ হয়ে গেলে ঢাকার বিভিন্ন প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন বিশেষত ‘ছায়ানট', বুলবুল ললিতকলা একাডেমী’ ও ‘ঐক্যতান’ সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তোলে গণমানুষের প্রবল সমর্থন ও সহযোগিতায়। রবীন্দ্রসংগীতের বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হতে থাকে নিয়মিত, রবীন্দ্রনাথ এমনিই ছিলেন আমাদের বাঙ্গালি সাংস্কৃতিক সত্ত্বার ঐশ্বর্যমন্ডিত অবিচ্ছেদ্য অংশ, এবার তিনি হয়ে ওঠেন অকুতোভয় বিপ্লবের অসামান্য কণ্ঠস্বর! সম্মিলিত গণজোয়ারে এবং উনসত্তরের গণআন্দোলনের তীব্রতায় আ ই য়ু ব সরকারের দেয়া সেই নিষেধাজ্ঞা বানের জলে ভেসে যায়।
১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি শেখ মুজিবুর রহমানকে যখন বঙ্গবন্ধু বিশেষণ উপহার দেয়া হলো, তখন তার ভাষণে তিনি খুব সহজ এবং স্পষ্ট করে বলেন,
"জ্ঞান আহরণের পথে এই সরকার যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করিয়াছেন যার নজির বিশ্বে বিরল। আমরা মীর্জা গালিব, সক্রেটিস, সেক্সপিয়ার, এরিস্টটল, ডানতে, লেনিন, মাওসেতুং পড়ি জ্ঞান আহরণের জন্য আর দেউলিয়া সরকার আমাদের পাঠ নিষিদ্ধ করিয়া দিয়াছেন রবীন্দ্রনাথের লেখা, যিনি একজন বাঙ্গালী কবি এবং বাংলায় কবিতা লিখিয়া যিনি বিশ্বকবি হইয়াছেন। আমরা এই ব্যবস্থা মানি না - আমরা রবীন্দ্রনাথ পড়িবই, আমরা রবীন্দ্র সঙ্গীত গাহিবই এবং রবীন্দ্রসঙ্গীত এই দেশে গাওয়া হইবেই। আমি রেডিও এবং টেলিভিশনে রবীন্দ্রসঙ্গীতের উপর হইতে সর্বপ্রকার বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করিয়া অবিলম্বে পর্যাপ্ত পরিমাণে রবীন্দ্রসঙ্গীত প্রচারের দাবী জানাই।"
রবীন্দ্রনাথের আমার সোনার বাংলা যেদিন থেকে ভূমিষ্ঠ হতে যাওয়া বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে নির্ধারিত হলো, সেইদিন থেকেই ঠিক হয়ে গেছে এই দেশে, এই রাষ্ট্রের সংস্কৃতিতে রবীন্দ্রনাথ কিভাবে থাকবেন, কতটুকু জুড়ে থাকবেন। আ ই য়ু বে র রূহানী সন্তানেরা এরপরে আজ ৫০ বছর ধরে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে এই রাষ্ট্র থেকে বাঙ্গালী সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং তার উজ্জ্বলতম নক্ষত্র রবীন্দ্রনাথকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলার, কিন্তু তাদের প্রতিবারই ব্যর্থ হতে হয়েছে। আজকে ২০২১ সালে এসেও উগ্র ধ র্মা ন্ধ প্রতিক্রিয়াশীল মৌ ল বা দীদের মূল গাত্রদাহ সেই রবীন্দ্রনাথে, বাঙ্গালী সংস্কৃতি আজো কাছে হিন্দুয়ানী ব্রাহ্মণবাদী সংস্কৃতি, এইটা নিশ্চিহ্ন করতেই তারা কখনো সরাসরি আঘাত করে যাচ্ছে, কখনো ই স লা মী সংষ্কৃতি কেন চর্চা হয় না বলে কান্নাকাটি করছে। তবে এবার তাদের তরিকা রীতিমত দুর্দান্ত!
কাওয়ালী সঙ্গীত ধারা এই সা লা ফি স্ট আর ও য়া হা বী দের কাছে সবসময়ই বেদাতী, শিরক আর কুফরের আখড়া ছিল। সবসময়ই গোঁড়া কট্টরপন্থীদের কাওয়ালীর গানবাজনা এবং সূফীবাদকে হারাম ফতোয়া দিতে দেখেছি। এমনকি জ ঙ্গী বাদের উর্বর শষ্যক্ষেত্র পা কি স্তা নে কাওয়ালী আসরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় শত শত মানুষের মৃত্যু এই কয়েকদিন আগের ঘটনা। সেই কাওয়ালী সঙ্গীতের আয়োজনকে আমাদের আ ই য়ু ব খানের রূ হা নী সন্তানেরা জামায়াতের “নারী নেতৃত্ব হারাম, কিন্তু খালেদা জিয়া আরাম” টাইপের তাকিয়াবাজির কৌশলে গত কয়েকদিন ধরেই মেনে নিয়ে এরপক্ষে বিস্তর সমর্থন দিয়ে গেছেন। টিএসসির ঘটনার তারা সরাসরিই জানাচ্ছেন যে তাদের রূ হা নী পিতার বাংলাদেশের মাটি থেকে বাংলা সংস্কৃতির নামে ভারতীয় হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি এবং রবীন্দ্রনাথ নির্মূল প্রকল্পের অংশ হিসেবেই আসলে তারা কাওয়ালীকে সমর্থন দিয়েছিলেন। মানে এখনো এই উজবুকের দল দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে তারা এই দেশ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সংস্কৃতি এবং রবীন্দ্রনাথকে উচ্ছেদ করে তাদের পিতার স্বপ্ন পূরণ করবে! কি দুর্দান্ত আশাবাদ!
হে কূপমণ্ডূক রূ হা নী সন্তানেরা, আপনাদের সহজভাবে বলে দিবার চাই, এই রাষ্ট্র কোন সংস্কৃতিতে চলবে, সেই ফয়সালা রাষ্ট্রের জন্মের আগেই হয়ে গেছে। একাত্তর সালে সেই ফয়সালা লাখো মানুষের রক্তের কালিতে সবুজ জমিনের স্ট্যাম্পপেপারে রীতিমত লেখাপড়া করে বুঝে নেওয়া হয়েছে। এই দেশে ই স লা মী সংস্কৃতি বা হিন্দি সংষ্কৃতি বা ইংরেজি সংষ্কৃতি প্রতিষ্ঠা করার আর কোন সুযোগ নাই, বাঙ্গালী সংষ্কৃতির মত অসামান্য বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির চর্চা এখানে থাকলে সেটার প্রয়োজনও নাই। কারণ আমাদের সত্যিকারের সাংষ্কৃতিক আন্দোলন গড়ে উঠলে, সত্যিকারের বৈচিত্র্যময় বহুত্ববাদের চর্চা শুরু হবে যখন আমরা জারি-সারি-ভাটিয়ালি-ভাওয়াইয়া-বাউল-আধ্যাত্মিক-ঝুমর-কবিগান-পালাগান-মারেফতি-মুর্শিদি-শরিয়তি-কীর্তন-ভজন-কাওয়ালি-ব্যান্ড-পপ-মেটাল-আধুনিক-দেহাত্ববাদী-ওয়েস্টার্নসহ পৃথিবীর যেকোন রাষ্ট্রের, যেকোন অঞ্চলের যেকোন সঙ্গীতের চর্চা এই দেশে নির্বিঘ্নে কোন বিধিনিষেধের ঘেরাটোপ বা হালাল-হারামের ফতোয়াবাজি ছাড়াই আয়োজন করতে পারব। অবশ্যই হবে। শুধু শুরুটা দরকার!
এই দেশে যুগের পর যুগ ধরে ই স লা ম বা ই স লা মী সংষ্কৃতি না, ভয়াবহ বিপদে এবং বিলুপ্তির ঝুঁকিতে আছে বাউলেরা, লোকসঙ্গীত শিল্পীরা। জগত সংসার বিরাগী এই গানের মানুষেরা মনের আনন্দে গান রচনা করতেন, গাইতেন, সহজ-সরল বাউল দর্শনের গল্প শোনাতেন সাধারণ মানুষকে। একইসাথে তাদের তৈরি গান, সুর ও সঙ্গীতের সৃষ্টিশীলতায় সমৃদ্ধ করেছেন আমাদের লোকজ সংস্কৃতির ভান্ডারকে। আর বিনিময়ে দিনের পর দিন তাদের উপর অবর্ণনীয় অত্যাচার চালানো হয়েছে, উগ্র ধর্মান্ধ ই স লা মের ইজারা নেয়া মৌ ল বাদীরা তাদের বাড়িঘর পুড়ায়ে দিয়েছে, পেটানো হয়েছে, চুল কেটে দেয়া হয়েছে। বাউল গানকে বেদাত-শিরকি, সমাজবিরোধী আখ্যা দিয়ে এমন এক গুমোট অবস্থা তৈরি করা হয়েছে যে নতুন শিল্পী তৈরি হওয়া তো দূরের থাক পুরানো সাধক শিল্পীরাই গান ছেড়ে দিচ্ছেন। সামাজিক, প্রাতিষ্ঠানিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের পৃষ্ঠপোষকতা শূন্যের কোঠায় নেমে আসায় তাদের সন্তানেরা বাপ-দাদার দর্শন, সাধনা আর লোকসঙ্গীতের পথ ছেড়ে জীবিকার তাগিদে বেছে নিচ্ছে অন্য উপায়।
আগামী ১৫-২০ বছরের মধ্যেই ফতোয়াবাজির কারণে এই মানুষগুলো, তাদের ধারা পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। অথচ এই উগ্র ধ র্মা ন্ধ সা লা ফি ও য়া হা বীর দল প্রচার করছে, দেশে নাকি হি ন্দু য়া নী ভারতীয় সংস্কৃতির দাপটের কারণে ই স লা মি ক সংস্কৃতি আর ই স লা ম ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এরা হচ্ছে সর্বভূক। সব ধ্বংস করে ফেলবে এরপরেও এদের ক্ষুধা মিটবে না। আজকে এদের অনেককেই আপনারা সংস্কৃতির বহুত্ববাদ আর বৈচিত্র্য খুঁজতে দেখতেছেন, কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সুরসম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর স্মৃতি জাদুঘরে হামলা করে তার অমূল্য সৃষ্টি যা কিনা পৃথিবীর সাংষ্কৃতিক ঐতিহ্যের অসামান্য ঐশ্বর্যও বটে, সবকিছু পুড়িয়ে ছাই করে দেবার পরে তারা ঘুমে ছিল। কারণ তাদের ভাষায় গান-বাজনা হারাম, সুতরাং এসব ই স লা মী সংস্কৃতি না। আজকে যখন এরা কাওয়ালীকে ই স লা মী সংষ্কৃতি প্রতিষ্ঠার ফাউন্ডেশন স্টোন বানানোর স্বার্থে সমর্থন দিচ্ছে, তখন আসলে বিনোদনে হাসিও পায় না, স্রেফ মাথায় রক্ত চড়ে যায়।
আপনারা যারা সত্যিই সাংস্কৃতিক বহুত্ববাদ দেখতে চান, বিভিন্ন সংস্কৃতির সম্মিলন দেখতে চান, সকল ভাষার, সকলের ধর্মের, সকল মতের-পথের-ভাবধারার বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির চর্চা দেখতে চান এই দেশে, তারা নিজেদের আবহমানকাল ধরে চলে আসা এবং প্রায় বিলুপ্ত হতে বসা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধারা ফিরায়ে আনেন। শেকড়ে ফিরে আসেন, জারি-সারি-ভাটিয়ালি-ভাওয়াইয়া-বাউল-আধ্যাত্মিক-কবিগান-পালাগান-মারেফতি-মুর্শিদি-শরিয়তি-কীর্তন-ভজন-কাওয়ালি থেকে শুরু করে এই জাতিসত্ত্বা এবং জাতিপরিচয় নির্ণায়কের ভূমিকায় থাকা প্রধান সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যগুলো ফিরায়ে আনেন, জোরেসোরে সেটার চর্চা শুরু করেন। দেখবেন তাতে এমন এক অসামান্য সাংষ্কৃতিক বিপ্লবের সূচনা হবে এবং উদার-সহনশীল চমৎকার সাংষ্কৃতিক পরিমণ্ডল সৃষ্টি হবে যে আলাদা করে আপনার আর কোন নির্দিষ্ট ধ র্মের বা ভাষার সংষ্কৃতিকে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করতে হবে না।
আর সেই উন্নত উদার সংষ্কৃতিবান মননশীলতার সমাজব্যবস্থায় এই দেশে আর কখনো কোন ধ র্মের নামে কোন গোষ্ঠী বা দল নিজেদের এজেন্ডা, নিজেদের আইন বাস্তবায়নের চেষ্টা করতে পারবে না। যেহেতু কাওয়ালী অনুষ্ঠানে হামলা চালানোর দায়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ অভিযুক্ত হয়েছে, তাদেরই পথ দেখানো এখন সময়ের দাবী। টিএসসিতে ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটা কনসার্ট আয়োজিত হয়েছে গত কয়েক মাসে, এই সংখ্যা প্রতি সপ্তাহে নেমে আসুক। প্রতি সপ্তাহে না হোক, অন্তত প্রতি মাসে; দেশের প্রত্যেকটা ছাত্রলীগ ইউনিটে না হোক, থানায় থানায় না হোক, অন্তত জেলায় জেলায়, অন্তত প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করুক, বাউল থেকে ব্যান্ড, কীর্তন থেকে কাওয়ালি, কবিগান আর পালাগানের সপ্তাহব্যাপী উৎসব চলুক। প্রত্যেকটা সাংস্কৃতিক সংগঠন, প্রত্যেকটা ছাত্র সংগঠন দেশের আনাচে কানাচে, শহরে-গ্রামে, পাড়ায়-মহল্লায় এমন আয়োজন করুক। দেশজুড়ে তৈরি হোক এক অসামান্য সাংস্কৃতিক বিপ্লবের!
উদার সাংস্কৃতিক ভেড়ার ছাল পরা উগ্র ধ র্মা ন্ধ নেকড়ের কাছ থেকে সাংষ্কৃতিক বহুত্ববাদ আর বৈচিত্র্যময়তা শেখার চেয়ে নিজেরাই সেটা বাস্তবে শুরু করে দেয়াটা উচিৎ না?
লেখক- রাতিন রহমান
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................