সম্মান প্রদানেও বিরোধিতা
-------------------------------------
✍️ সঞ্জয় পাল
এটাই ভারতবর্ষ, সাধের দেশ, স্বপ্নের দেশ,
যে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সারা জীবন লড়াই করেছিলেন, নিজের জীবন বিসর্জন দিয়েছিলেন, সেই ব্রিটিশদের কৃতকর্মের চিএ যখন বিসর্জন দিতে চলেছে সরকার, তখনও নেতাজীর সাধের রাজনৈতিক দল সমালোচনায় মুখর, ছাড়তে চাইছেন না ব্রিটিশদের আদব - কায়দা।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ১৯৩৯ সালের ২৯শে এপ্রিল ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন মহাত্মা গান্ধীর সাথে মতবিরোধের কারণে। ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের অগ্রগামী অধ্যায় (নিখিল ভারত ফরওয়ার্ড ব্লক) গঠিত হয় ১৯৩৯ সালের ৩রা মে তারিখে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু-র হাতে।
ফরওয়ার্ড ব্লক প্রথম জন সম্মুখে আত্মপ্রকাশ করে কলকাতায় একটি র্যালির মাধ্যমে। সুভাষ চন্দ্র বসু দলের প্রথম সভাপতির ভার গ্রহণ করেন এবং এস এস চাবেশ্বর নিযুক্ত হন প্রথম সহ-সভাপতি। বোম্বেতে দলের একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় জুন মাসের শেষের দিকে। এই সমাবেশে দলের নীতি এবং কর্মসূচী নির্ধারিত হয়। জুলাই মাসে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু দলের সদস্য পদ ঘোষণা করেন।
অথচ, ইউ পি এ - এক সরকারের সময়, ফরোয়ার্ড ব্লক সমর্থন করেছিল কংগ্রেস সরকারকে ( ২০০৪ - ২০০৯), নেতাজীর প্রতি সব দ্বায়িত্ব ছিল উধাও, কংগ্রেস সরকারকে একবারও বলেনি নেতাজী সম্প্রকিত ফাইল প্রকাশ করতে, নেতাজীর স্মরণে স্মারক, রেপ্লিকা প্রকাশ করতে, জাতীয় ছুটি ঘোষণা করতে। শুধু মাত্র নেতাজীকে সামনে রেখে রাজনৈতিক সুযোগ - সুবিধা নিয়ে গেছেন, অশোকবাবু, নরেনবাবু, দেবব্রত বাবুরা।
আদর্শ তখন উধাও।
২০১৮ সালে, আন্দামানের একটি দ্বীপের নাম নেতাজীর নামে রাখে বি জে পি সরকার।
২০২১ সালে, নেতাজীর জন্মদিনটি পরাক্রম দিবস হিসেবে ঘোষণা করে বি জে পি সরকার।
ব্রিটিশদের রেখে যাওয়া স্মৃতি সরিয়ে, নতুন ভারত গড়তে চাইছে বি জে পি..
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................