সংখ্যা দিয়ে পৃথিবী জয় করার দিন শেষ হয়ে গেছে।

মুসলমান কোথাও জিতে না। ফিলিস্তিনীরা ১০০ বছর ইহুদির মার খেল, আল্লাহ তাদের জিতাইলো না। কাশ্মির ৭৪ বছর হিন্দুর মার খাচ্ছে। উইঘোর ৭২ বছর কম্যুনিষ্টের মার খেল ও খাচ্ছে। আফ্রিকার দেশগুলোতেও সেরকম।

কারণ এটা তলোয়ারের যুগ না, বিজ্ঞানের যুগ। সৌদিরা পতাকা থেকেও নাকি তলোয়ার সরিয়ে নিচ্ছে। কম্যুনিষ্টের পতাকায় কাস্তে হাতুড়ী, তাই চীন বিশ্ব দখল করতে পারছে কর্ম দিয়ে। এখনো মুসলিমরা বিজ্ঞান বিরোধী। বিজ্ঞান ছাড়া জেতার কোন সুযোগ নাই। কোরান বিজ্ঞানময়, এত হাফেজ, একটা কিছু আবিস্কার করতে পারলো না। কারণ আল্লাহ কি বলছে তা বুঝার চেষ্টা না করে কোরান মুখস্ত করছে অকারণ। আল্লাহ তা চায়নি। আল্লাহ কালাম দিছে বুঝার জন্য, না বুঝে পড়ার কথা কোথাও বলেনি। আল্লাহর রাস্তায় এত আত্মঘাতি কেউ হয়নি, আল্লাহ তাদের জেতায়নি। কারণ সৃষ্টি কর্তাকে তারা বোঝেনি।

এখন দুবাই, কাতার, সৌদি আরব সেখান থেকে বের হতে চায়, মোল্লারা বের হতে দিচ্ছে না। মোল্লাদের দান খয়রাতে পরজীবি হওয়া বন্ধ করলে মুসলমানের উন্নতি কেউ রোধ করতে আর পারবে না। শুরুতে দরকার হবে নারীর ওপর সকল বৈষম্যের অবসান, তাকে স্বাধীন করা, সবকিছুতে তার অধিকার ও প্রাপ্তি সমান করা, হুজুরের ওয়াজ করার অবাধ সুযোগ বন্ধ করা, প্রকৃত জ্ঞানীরা ওয়াজ করবে, নাসা বলছে আগামী ৭৫ বছরের মধ্যে সুর্য পশ্চিম দিক থেকে উঠবে, এরকম মুর্খের ওয়াজ বন্ধ করা (ইউ টিউব), এরকম মিথ্যুকের অবাধ সুযোগ না রাখা, পরজীবিতা কমানো, বিজ্ঞান বিরোধী কথা বলা নিষিদ্ধ করা, মত প্রকাশে বাধা না দেয়া, সব ভিন্ন ধর্ম ও মতের সাথে ঘৃণার সম্পর্কের অবসান, সব মাদ্রাসা স্কুলে পরিণত করা, স্কুলে ধর্ম বিষয শেখানো, মক্তবে নামায শেখানো। এরাবিয়ান কালচার আরবে চলবে, ভারত বাংলাদেশে কেন?

১৮০ কোটি মুসলমানের আধুনিকায়ন জরুরী।