ইজরাইল এখনো আল আকসা মসজিদকে যে চালু রেখেছে এটি তাদের মহানুভবতা।

একচোখা মানবতাবাদীরা পাটকেল দেখে ইট দেখে না। কেউ ইট মেরে যখন পাটকেলের বাড়ি খেয়ে মাথা ফাটায় লোকজন তখন হায় হায় করে মার্ডার মার্ডার করে চেঁচায়। ইটমারীর মানবাধিকার দাবী করে...। 

বলছিলাম হঠাত করেই আল আকসায় উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়া নিয়ে। কি এমন ঘটল যে ইজরাইল সেনাবাহিনী আল আকসায় ঢুকে কাঁদানো গ্যাস মেরে পাবলিক ছত্রভঙ্গ করে দিতে বাধ্য হলো? ইজরাইল কি পাগল নিরহ নামাজ পড়তে আসা লোকদের উপর হামলা করতে যাবে? বাংলাদেশসহ মুসলিম বিশ্বের নিউজ পেপারগুলি পড়লে আপনি তেমনটাই ভাববেন। কখনোই ইটের বদলে পাটকেল খাওয়ার কথা জানতে পারবেন না। ইজরাইল সরকার আল আকসায় মুসলমানদের নামাজ পড়তে দিলেই সেখানে গন্ডগোল বাঁধবেই। এবারো তাই হলো। নামাজ পড়তে গিয়ে ইজরাইল এক সেনার চোখে রাবার বুলেট ছুড়ে মারে এক ফিলিস্তিনি! মসজিদ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা এনডাউমেন্ট কমিটি জানিয়েছে, মসজিদের একজন প্রহরীর চোখে রাবার বুলেট দিয়ে গুলি করা হয়েছে। আরো জানা গেছে, ইহুদীদের মন্দিরে ঢিল ছোড়া হয়। এ ক্ষেত্রে কি করা উচিত ইজরাইলের? নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মসজিদ থেকে সবাইকে সরিয়ে দেওয়া। সেটি কি ফিলিস্তিনি মুসল্লিরা মেনে নিবে? বলা উচিত তারা তো এসেছেই গ্যাঞ্জাম করতে, সেটা বাঁধানোর জন্য যা যা করা দরকার করবে। তারা জানে পরদিন কাগজে বেরুবে ইজরাইল সেনা আল আকসায় মুসল্লিদের উপর কাঁদানো গ্যাস মেরেছে...।

আল আকসায় ফিলিস্তিনিদের নামাজ পড়ার ঢল নামে কেন? এটি তো ইসলামের পরিত্যাক্ত কিবলা! ইসলাম যাকে ত্যাগ করেছে সেটি তো গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে না। এর কারণ হচ্ছে ইহুদীদের পবিত্র তীর্থস্থানে নামাজ পড়ে ঘোষনা করা একমাত্র আল্লা সত্য, ইসলাম সত্য, এটা বলতে পারলে পৈশাচিক সুখ লাগে। যে কিবলা পরিবর্তন করা হয়েছে তার গুরুত্ব হারিয়ে যায়। জেরুজালেম কোনভাবেই ইসলামের স্মৃতি চিহ্ন বহন করে না। এখানে কল্পিত মিরাজে যাত্রা বিরতির ঘটনার উপর ভিত্তি করে একটি মসজিদ বানায় হযরত ওমর। সেটি অত্যান্ত খারাপ একটি কাজ ছিলো কারণ এটি ইহুদীদের প্রধান তীর্থ স্থান। কেউ যদি কাবাঘরের আশেপাশে মন্দির বানায় কোন সাধুর কথিত আগমন স্মৃতিকে ধরে রাখতে সেটি কি মুসলমাননা মেনে নিতো? ইহুদীরা মেনে নিয়েছে। আল আকসা এখনো মসজিদ। মুসলমানরা হলে অনেক আগেই এটি ভেঙ্গে ফেলা হতো। না হয় মন্দির থেকে মসজিদে রূপান্তরিত করা হতো। ইজরাইল এখনো আল আকসা মসজিদকে যে চালু রেখেছে এটি তাদের মহানুভবতা। যেখানে নামাজ পড়তে গিয়ে প্রতিনিয়ত ইজরাইলের নিরাপত্তার উপর হামলা চালানো হয় সেই স্থানটি চিরতরে বন্ধ করে দিলে কারোর কিছু করার আছে? কুরআন হাদিসের কোথাও তো বলা নেই আল আকসায় জীবনে একবার হলেও দর্শন করে এসো? কাজেই ওটা মুসলমানদের জোর করে পবিত্র স্থান দাবী করে মালিকানা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা মিডলইস্ট ধর্মীয় রাজনৈতিক চেষ্টা মাত্র...।


0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted