ভারত যে মানব সভ্যতার ইতিহাসে একটি জনয়িত্রী দেশ সে কথা ভারতবাসী ভুলেই গিয়েছিল।

কিছুতেই হিন্দু পুনঃর্জাগরনকে মৌলবাদীরা সহ্য করতে পাচ্ছে না
✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️

সারা পৃথিবীর কট্টর মুসলমানদের কাছে ভারত যে টার্গেট তার কতগুলো মৌলিক কারণ রয়েছে।দেশভাগের পর ২০১৪ সাল পর্যন্ত ভারতের পরিচয় ছিল একটি তোষামোদি পরমুখাপেক্ষী রাষ্ট্র হিসাবে।ভারত যে মানব সভ্যতার ইতিহাসে একটি জনয়িত্রী দেশ সে কথা ভারতবাসী ভুলেই গিয়েছিল। ভূ-মন্ডলে যদি এমন কোন দেশ থাকে যে দেশটি প্রকৃতির অকৃপণ দানে শক্তি সম্পদ ও সৌন্দর্যে নন্দনকাননতুল্য সেটা হল ভারতবর্ষ।এই অবনীতলে যদি কোন দেশে মানব আত্মার চরম বিকাশ হয়ে থাকে তবে তাহল ভারতবর্ষ।মানব ইতিহাসের সর্বাধিক মূল্যবান ও শিক্ষামূলক উপাদান সমূহ কেবল মাত্র ভারতবর্ষেই সংরক্ষিত আছে।এমন একটি দেশকে পদানত করে মুসলিম বর্বর শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন তাবড় দুনিয়ার মুমিনদের মধ্যে রয়েছে, অনাদিকাল ধরে থাকবে এটাই স্বাভাবিক।

সভ্যতার মানদন্ডে যারা বহু বছর  আগেই সারা পৃথিবীতে অপাংক্তেয় হয়ে পড়েছে তাদের শেষ আশ্রয়স্থল এই ভারতবর্ষ।তাই তারা যে সর্বক্ষণ এই ভারতকে নিয়ে ব্যস্ত তার প্রমাণ প্রতিনিয়তই ভারতবাসী প্রত্যক্ষ করছে।মহান এই ভারতের সভ্যতার ভিত্তি ছিল তপোবন।নগর সভ্যতার বিকাশের পর মন্দির ছিল সেই সভ্যতার কেন্দ্রবিন্দু।হিন্দুস্থানের মন্দির একদিকে যেমন ছিল সমাজের সকলের মিলনস্থল তেমনি অন্যদিকে ছিল জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চার পীঠস্থান।মন্দির ভিত্তিক এই মিলনকেন্দ্রকে কিছুতেই মৌলবাদীরা সহ্য করতে পাচ্ছে না।তাই এবারও রামনবমী,হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রা আক্রান্ত হয়েছে।অন্ধ্রপ্রদেশ কর্নাটক,দিল্লি এবং পঃবঙ্গের হাওড়ায় এ নিয়ে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।প্রতিটি ক্ষেত্রেই শোভাযাত্রার উপর পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছিল।এমন কি দিল্লির ঘটনায় মহম্মদ আসলাম নামে এক জেহাদিকে প্রকাশ্যে গুলি চালাতে দেখা গিয়েছে।পৃথিবীর তাবড় শিক্ষিত অশিক্ষিত শিল্পি সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবী সকল মুমিন মুসলমানদের একটি বিরাট অংশ বিশ্বাস করে ভারতে হিন্দু-জাগরণ সরাসরি ইসলামের বিরুদ্ধে একটি যুদ্ধ এটি একটি ঐতিহাসিক সত্য।তাই ভারতের যেকোনো ধরনের বিপর্যয়ে যুদ্ধ বিগ্রহে ভারতের ক্ষতি মানে ইসলামের জয় মনে করে তারা।মুসলিম ইতিহাস
পর্যালোচনা করলেও সে ইতিহাস প্রতিভাত হয়।সেই সময় বিদেশি সুলতান মাহমুদ তৈমুরলঙ যেমন ছিল সক্রিয় ঠিক তেমনি ছিল এদেশীয় ফিরোজ শাহ,  আওরঙ্গজেব কলকাতার রাজা বাজারের আহমেদ শাহ,মুম্বাইয়ের দাউদ ইব্রাহিম আর এ-যুগে সক্রিয় জাতীয় কংগ্রেস, বাম,তৃণমূল কংগ্রেস এবং ইসলামী মৌলবাদী দলগুলো।তাদের প্রত্যেকের লক্ষ কিভাবে হিন্দুদের নির্মূল করে ভারতে কিভাবে মুসলিম পতাকা উড়ানো যায়।

সম্প্রতি আল-কায়েদা প্রধান এক ভিডিও বার্তায় সেই কথাই পুনর্ব্যক্ত করেছেন।বেশ কিছুদিন ধরেই হিজাব নিয়ে একটি মৌলবাদী শক্তি চেয়েছিল দেশকে অস্থিতিশীল করতে।কিন্তু কর্নাটক হাইকোর্ট পরিস্কার বলে দিয়েছে হিজাব ইসলামের অত্যাবশ্যকীয় কোনো উপাদান নয়।তাই দেশ চলবে সংবিধান মেনে।এই উপমহাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদা প্রধান এই হিজাব বিতর্কে কলেজ ছাত্রী মুসকানের আল্লাহু আকবর শ্লোগান দেয়াকে প্রশংসা করে উপমহাদেশের মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়েছেন এবং ইসলামের উপর আক্রমনের প্রতিবাদে যুদ্ধের ময়দানে অস্ত্র হাতে লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছেন।যা হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে  দিল্লিতে এক শোভাযাত্রায় প্রতীয়মান হয়েছে।জাওয়াহিরি আরও বলেছেন,আমাদের অবশ্যই ভারতের হিন্দু গনতন্ত্রের মরীচিকা দ্বারা প্রভাবিত হওয়া বন্ধ করতে হবে যা শুরু থেকেই ইসলামকে নিপীড়নের হাতিয়ার ছাড়া আর কিছু ছিল না।অর্থাৎ সংবিধান গনতন্ত্র বহুত্ববাদ ধর্ম নিরপেক্ষতায় ইসলাম বিশ্বাস করে না।জাওয়াহিরির পরিস্কার কথা,আমাদের অবশ্যই উপলব্ধি করতে হবে যে এই বাস্তব জগতে মানবাধিকার বা সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধা বা আইন বা এই জাতীয় অন্যান্য অযৌক্তিক অনুমানমূলক ধারণা বলে কিছু নেই।ইসলামের শত্রুরা এক ও অভিন্ন যারা মিশর ও মাগরেবে মুসলমানদের হিজাবের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে তারা একই সুবিধাবাদী গুন্ডা লেখক সাংবাদিক এমনকি ভাড়া করা পাগড়ীওয়ালা যারা হিজাব এবং ইসলামী শরীয়াহকে অপমান করছে।আল-কায়েদা যে ভারতে পুরো শক্তি নিয়ে কাজ করছে সরকার ইতিমধ্যে তার প্রমাণ পেয়েছে।এক সপ্তাহের ব্যবধানে অসমে একটি মাদ্রাসা থেকে আল-কায়েদা জঙ্গিগোষ্ঠীর ৬ সদস্যকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে তারা আবার বাংলাদেশের আনসারুল্লা ইসলামের সদস্য বলে অসম পুলিশ নিশ্চিত করেছে।

দীর্ঘ ১২০০ বছর ধরে উপর্যুপরী ভারত আক্রমণ মুসলিম শাসন দাঙ্গা হত্যা নির্যাতন ধর্মান্তকরনের পরও ভারত মাথা উচু করে দাড়াতে শিখছে এ-যুগের শ্রেষ্ঠ হিন্দু জাগরনের নেতা নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদীর নেতৃত্বে।বাধা আসবে পাকিস্তান চীন বাংলাদেশ আফগানিস্তান একযোগে ভারতের উপর ঝাপিয়ে পড়বে এটা প্রত্যাশিত।কিন্তু ভারত যে সব ধরনের আক্রমনের জন্য প্রস্তুত সেকথা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।তবে হিন্দু পুনর্জাগরনের কোন বিকল্প নেই।সেজন্য প্রতিটি জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বীপ্ত ভারতবাসীকে নজর রাখতে হবে নইলে অতলে তলিয়ে যেতে হবে।      
((()))((()))((()))((()))((()))((()))

(গত ৩দিন জেলখানায় ছিলাম।জেলে বসে বসেই এই লিখাটা লিখেছি।মুক্তির পরই লেখাটি পোস্ট করলাম।আমার নামে অতিরিক্ত হুলিয়া জারি রয়েছে 
your posts will be moved lower in feed for 27 days.)
তাই অতিরিক্ত শেয়ার ও কমেন্ট আশা করছি।

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted