মদিনাতে ইহুদিদের দানের জমিতে প্রথম মসজিদ মসজিদুল নবী তৈরি হয়েছিলো।

এই ছবিটা আসাদ নূরের টাইম লাইন থেকে নিয়েছি। পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে একদল মুল্লা এক পাহাড়ীর বাড়িতে নামাজ পড়ছে। মুসলমানরা যে কোন জায়গায় নামাজ পড়তে পারে। তারা বিশ্বাস করে এই পুরো পৃথিবীটা হচ্ছে মুসলমানদের এবং এই পৃথিবীর সমস্ত জমিন নামাজের জন্য কবুল করা হয়েছে। এছাড়াও মুসলমানরা অমুসলিমদের বাড়িঘর উপাসনালয়ের মধ্যে নামাজ পড়ে সেই স্থানগুলিতে ‘ইসলাম পৌঁছে দেওয়া’ হলো বলে বিশ্বাস করে। পাহাড়ে এখন মুল্লারা ঘন ঘন ‘ভ্রমণ’ করতে যায়।


তারপর নামাজের সময় হলে দেখে মসজিদ নেই! তারপর ফিরে এসে ফেইসবুকে আকুতি জানায় মসজিদের জন্য। পাহাড়গুলির নামধামই তো বাঙালী মুসলমান চেঞ্জ করে ফেলেছে। পর্যটনের নামে উচ্ছেদ হয়ে গেছে ভূমিপুত্ররা। এখন মসজিদ আর মাদ্রাসা ঢুকিয়ে দিতে পারলে এতগুলি বছরে সেটেলাররা যা করতে পারেনি তারচেয়ে বেশি কাজ হবে। মসজিদের সামনে গিয়ে ‘বেপর্দা জুম চাষী নারী’ হাঁটাচলা করাই কঠিন হয়ে যাবে। পাহাড়কে টার্গেট করে জিহাদের ছক কষার কথা বহুবার জাতীয় গণমাধ্যমে এসেছে। আগেও হুমায়ূন আহমেদ পুত্র নুহাশ পাহাড়ে কেন মসজিদ নাই সেই হাহাকার ও মসজিদ বানানোর ম্যাসেজ জানিয়ে রবি মোবাইল ফোনের এড করেছিলো। সব মিলিয়ে পাহাড় তার চিরকালীন রূপ চেহারা বদলে যে বাঙালী মুসলমান চেহারা পেতে যাচ্ছে তাতে কোন আর সন্দেহ নেই। সমতলে বাঙালী সংস্কৃতি এখন বাঙালী মুসলমানদের হাতে নিহিত প্রায়। সীতাকুন্ড পাহাড়ে হিন্দু মন্দিরে গিয়ে মুল্লারা একাধিকবার আজান দিয়ে এসেছে। এই ছবিটা আসলে মদিনায় মুসলমানদের প্রথম আগমনের মত। মদিনাতে প্রথমে ইহুদীদের দানের জমিতে প্রথম মসজিদ মসজিদুল নবী তৈরি হয়েছিলো। তারপর তারা জাজিরাতুল আরব থেকে উচ্ছেদ হবার আদেশ পায় সহি হাদিস থেকে!...

আমাকে বিশেষ কোন সম্প্রদায়ের প্রতি ফোবিক বলতেই পারেন। কিন্তু উপরে যা বললাম তা কি অতিতে ঘটেনি? এই যে পাহাড়ীদের বাড়িতে নামাজ পড়লেন, আপনি মুসলমান কি একজন বৌদ্ধকে আপনার বাড়িতে প্রার্থনা করতে দিবেন? দিবেন হিন্দুকে জপতপ ঘন্টা বাজিয়ে প্রার্থনা করতে? হিন্দুরা ছুতমার্গের জন্য অহিন্দুদের বাড়িতে হয়ত প্রার্থনা করবেই না কিন্তু অন্যের বাড়িতে বা ধর্মালয়ের চত্তরে নামাজ পড়ে নিজের বেলায় নারাজিরকে বাংলায় এক কথায় কি বলে?

#সুষুপ্তপাঠক
31 May 2022

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted