এতে অবাক হওয়ার কি আছে? বর্তমান সৌদি আরব তথা পুরো আরব ছিলো পৌত্তলিক সম্প্রদায়ের। আরবের মাটির নিচে খুড়লে সেগুলি বেরিয়ে পড়বে। কাবাঘরে ৩৬০টি মূর্তি থাকার কথা ইসলাম ধর্মই স্বীকার করে। আবু মোতালেব সময়ও সেই মূর্তিগুলির চারপাশে সাতবার পাঁক দিয়ে হজ করা হতো। প্রত্নতাত্ত্বিকরা এসব জানে না?
গ্রীকরা তাদের পূর্বপুরুষদের ধর্ম চিহ্ন সংরক্ষণ করেছে আরবরা ধ্বংস করেছে তাই সেসব রক্ষিত হয়নি। ভারতে আসা তুর্কি আফগান আরবীরা এসে মন্দির মঠ ভেঙ্গেছে। তারপর মসজিদ বানিয়েছে। মধ্যযুগে সেসব খুব সহজ ছিলো। হিন্দু শাসনামলে বৌদ্ধ বিহার মন্দির হয়েছে। এসব সবাই জানে। শুধু ভারতের কোন মসজিদের নিচে মন্দির আছে বললেই ছ্যাঁৎ করে উঠে সবাই! ইতিহাসের স্বীকৃতি না দিলে জ্ঞানবাপী বাবরী ভেঙ্গে মন্দির করার হিন্দুত্ববাদ জেগে উঠবেই। সুলতান মাহমুদের সোমনাথ মন্দির লুটের ইতিহাস মধ্যযুগের এক দস্যুর। মুসলমান কেন সেটা শুনলে নিজেদের অপকর্ম মনে করবে? করে বলেই পক্ষ নেয়। ভারতের মধ্যযুগের মুসলিম শাসনের জন্য কোন মুসলিম নিজেকে ভারত শাসনকর্তাদের উত্তরাধিকার মনে করলে কুকর্মের দায়ভার হিন্দুরা আপনার উপরই দিবে। আগে উত্তরাধিকার ছাড়ুন। সৌদিতে মন্দির পেলে সেটা নিয়ে পূর্বপুরুষদের পুরাকীর্তি হিসেবে যাদুঘর বানিয়ে রাখলে আর কেউ বলবে না ওরা এগুলো ধ্বংস করেছে। কারণ আজকের মানুষের দায়ভার একশো বছর পরের জেনারেশনর উপর বর্তায় না। ঔরাঙ্গজেব জ্ঞানবাপী মসজিদ কাশিতে বানিয়ে অন্যায় করেছে ভারতীয় ইতিহাসে তার স্বীকৃতি দরকার। নেই বলেই সেটাকে ভেঙ্গে মন্দির করার উগ্র বসনা তৈরি হয়েছে। যা হয়ে গেছে তা মুছা যাবে না। মুছতে গেলে আপনিও সেই উত্তরাধিকার টেনে নিয়ে হাজার বছর আগের কোন রাজবংশের কুকীর্তির দায়ভার গ্রহণ করলেন!
-সুষুপ্ত পাঠক
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................