দেড় মিলিয়ন মুসলমান ইতালিয়ানদের মধ্যে চরম বিরক্তি, সংস্কৃতিক বিভক্তি, ভয় শংকার জন্ম দিয়েছে।

ইতালির জনসংখ্যা ৫৯.৫৫ মিলিয়ন। তার মধ্যে মুসলিম জনসংখ্যা মাত্র ১.৫ মিলিয়ন। কিন্তু বিস্ময়করভাবে এই দেড় মিলিয়ন মুসলমান ইতালিয়ানদের মধ্যে চরম বিরক্তি, সংস্কৃতিক বিভক্তি, ভয় শংকার জন্ম দিয়েছে। সদ্য বিজয়ী ইতালিয়ান প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য টুইটারে দেখেছি যেখানে তিনি বলছেন, তারা আর নতুন করে কোন মসজিদ নির্মাণ করতে দিবেন না। কারণ তারা জানেন না ইমাম কে, তিনি যে ভাষায় (আরবী) বক্তব্য রাখেন তার অর্থ আমরা জানি না, মানে আমাদের সম্পর্কে কি বলা হচ্ছে বুঝতে পারি না। এবং ধর্ম চর্চার জন্য যে অর্থ আসছে তার সোর্স কি তাও জানি না...।

ভারতীয় বামপন্থীদের যুক্তি হচ্ছে ভারতের ১৪ শতাংশ মুসলমান ভারতে ‘দারুল ইসলাম’ করে ফেলবে এটা পাগলের প্রলাপ মাত্র। বিষয়টি এরকম নয় যে ইতালি দখল করে ফেলছে মুসলমানরা। কিন্তু দেড় মিলিয়ন মুসলমান ইতালিয়ান সমাজে বিভক্তি এনে দিয়েছে। তাদের মসজিদে খুতবায় ইতালিকে একদিন ইসলামের পতাকা তলে আনার শপথ নেয়া এবং ইসলামী শাসন বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করা থেকে যে উগ্র রাজনৈতিক ইসলাম ইতালিয়ান তরুণ মুসলিম সমাজে দেখা দিচ্ছে তা সাম্প্রতিককালে এতখানি মাথা ব্যথার কারণ হয়েছে যে ইতালিয়ান রাজনীতিতে আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে। উপমহাদেশের বিপুল একটি জনগোষ্ঠি ইউরোপ আমেরিকায় অভিবাসী হয়ে বসবাস করছে। সেই অভিবাসীদের মধ্যে মুসলিমদের পর সবচেয়ে বেশি সংখ্যা হিন্দুদের। হিন্দু মন্দিরের সংখ্যা ইউরোপ জুড়ে কম নয়। কোথাও মন্দির নির্মাণের উপর নিষেধাজ্ঞা নেই! শিখ মন্দির, বৌদ্ধ মন্দির নির্মাণে কেন বাঁধা আসে না? সেসব মন্দিরে কোন ভাষায় কি বক্তব্য রাখা হচ্ছে তার নিয়েও কেউ আগ্রহ দেখায় না। কেন? সুইডেনেও সম্প্রতি এন্টি-ইসলাম সরকার ক্ষমতায় এসেছে। পুরো ইউরোপ মুসলিমদের জিহাদী বাসনার কারণে তাদের ভীষণভাবে ঘৃণা করে। মসজিদ হয়ে উঠেছে সন্ত্রাসবাদের প্রতীক হিসেবে। এটা তো মিথ্যে নয়। প্রতিটি মসজিদে ‘মেহরাব’ নামের যে স্থানটি থাকে সেটি আসলে অস্ত্র রাখার স্থানকে বুঝায়! পশ্চিমারা এখন এসব জেনে গেছে! বাঙ্গু মডারেটরা ইসলাম সম্পর্কে কিছু না জানলেও এখন ইউরোপ আমেরিকার মানুষ ইসলামের ভেতর বাহির সব জেনে গেছে। তাই লিবারালদের ভাঁওতাবাজীতে তারা আর আস্থা রাখতে পারছে না। ফলে ইউরোপ জুড়ে ‘ডানপন্থী’ দলগুলির বিজয়ী হয়ে আসার খবর কেবল বাড়ছেই।

সংখ্যায় কম মানেই দুর্বল নয়। ইউরোপের ছোট্ট একটা দেশ ইংলেন্ড একদিন গোটা বিশ্বকে উপনিবেশ করে রেখেছিলো। ইউরোপের সাদারা শক্তিশালী পেশীবহুল আফ্রিকানদের দাস করে রাখতে পেরেছিলো। ইউরোপে মুসলিম সাম্রাজ্যবাদ, ভারতে মুসলিম সাম্রাজ্যবাদও মুসলমানরা সংখ্যালঘু হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত করেছিলো। আজ হয়ত সে দিন নেই। সেভাবে কোন দেশ দখলের সম্ভাবনা নেই। কিন্তু যে সম্প্রদায় এখনো বিশ্বাস করে ঘোড়ায় চড়ে তাদের নেতা মাহাদী আসবেন কাফের কাটতে আর তাদের বিজয়ী করতে তাদের হাতে নিরহ নাগরিকরা যে অনিরাপদ সেটাই পশ্চিমাদের ভাবাচ্ছে। এমনকি দেওবন্ধের প্রোডাক্টগুলি ভারতের নাগরিক জীবনকেও হুমকি ফেলতে পারে। আরো বহু মুম্বাই হামলা ঘটতে পারে। ভারতকে ‘গজওয়াতুল হিন্দের’ মাধ্যমে ‘দারুল ইসলাম’ করার কোন বাস্তবতা না থাকলেও ভারতে রক্ত ঝরাতে জিহাদীদের কোন সমস্যা হবে না যেখানে তাদের হয়ে কথা বলার মত বহু লিবারালের জন্ম জন্ম হয়ে গেছে!

Written by : সুষুপ্ত পাঠক


0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted