আমার পুরোনো পরিচিত এক পাকিস্তানী বন্ধু, নাম ইমতিয়াজ চৌধুরী! তার ডিভোর্স হয়েছে বছর চারেক আগে! সম্প্রতি সে একটি ইউরোপীয়ান মেয়ের প্রেমে পড়ে 'লিভ টুগেদার' রিলেশনে আছে! কিন্তু তার পাকিস্তানী পিতামাতা ব্যাপারটিকে 'হারাম' বলে একদম মেনে নেয়নি! তাই তারা শর্ত দিয়েছে, যদি সে মেয়েটিকে মুসলমান বানিয়ে বিয়ে না করে, তাকে ত্যাজ্যপুত্র করা হবে!
কিন্তু ইমতিয়াজ মেয়েটিকে আপাতত বিয়ে করতে রাজি নয় এবং মেয়েটিও ইসলাম গ্রহণ করবেনা বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে! কারণ সে মূলত কোনো ধর্মেই বিশ্বাস করেনা!
এই 'ভয়াবহ' সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য ইমতিয়াজ প্রায় দুইমাস আগে আমার কাছে 'পরামর্শ' চেয়েছিলো! আমি তাকে কোরান হাদিসের কিছু আয়াত ও রেফারেন্স দেখিয়ে বলেছিলাম, "তুই বলবি, তুই মেয়েটিকে দাসী হিসাবে ক্রয় করেই তার সাথে বসবাস করছিস! গার্লফ্রেন্ড হিসাবে নয়! এই দেখ, কোরানে ক্রীত দাসীর সাথে যৌনসম্পর্ক কে সম্পূর্ণ বৈধ করা হয়েছে!" আমার এই 'পরামর্শ' শুনার পরে নাকি তার মাথা 'আউলা' ছিল প্রায় চৌদ্দদিন!
এরপর সে প্রচুর স্টাডি করে হান্ড্রেড পার্সেন্ট নিশ্চিত হয়েই মা বাবাকে কোরান হাদিস দেখিয়ে আমার 'পরামর্শ'কে প্রয়োগ করেছে! গতকাল ইমতিয়াজের সাথে আমার পুনরায় দেখা!
আমাকে দেখে সে অত্যন্ত আনন্দচিত্তে জানালো, তার পিতা মাতা অনেক আলেমের কাছে দৌড়াদোড়ি করেও, তার গার্লফ্রেন্ড (দাসী) ক্রিস্টিনাকে 'হারাম' প্রমান করতে পারেনি! কারণ মোল্লারা নাকি বলেছে, "কোরানে দাসী প্রথাকে বাতিল করা হয়নি! সুতরাং এইযুগেও যদি আপনার ছেলে সত্যিই মেয়েটিকে 'দাসী' হিসাবে ক্রয় করে স্বামী স্ত্রীর মতো বসবাস করে, এটি শরিয়ার লঙ্ঘন হবেনা! এমনকি মেয়েটিকে মুসলমান না বানালেও চলবে, কারণ সে দাসী!"
পাকি বন্ধু ইমতিয়াজ চৌধুরী পুরো ঘটনাটি এক নিঃশ্বাসে বলার পরে বললো, "মাই ফ্রেন্ড, এখন তৈরী হয়েছে আরেক ভয়ংকর সমস্যা!" বললাম সেটা কি? বললো, "আমার পিতা এখন আধা মুরতাদ হয়ে গেছে এবং আমার মাকে বলছে, সে নাকি পাকিস্তান গিয়ে গরিব কুনু মেয়েকে দাসী হিসাবে ক্রয় করবে, হাহা!"
আমি বললাম, তুই কি বলেছিস? সে হাসিতে ফেটে পড়ে বললো, "আমি বাপিকে বলে দিয়েছি, দাসী খরচের যত টাকা প্রয়োজন, আমি দেব! তবুও তুমি ভেঙ্গে পড়োনা আব্বি! তুমি জলদি পাকিস্তান চলে যাও! হাহাহা!"..
মূল লেখা: কায়সার আহামেদ।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................