#যদি বাংলাদেশের মানুষ ৯৫ ভাগ খ্রিস্টান হতো তাহলে এই দেশের চেহারা অন্য রকম হতো। এমনকি ৯৫ ভাগ বৌদ্ধ হতো তাহলে বাংলাদেশ হতো ভুটান জাপানের মত শান্ত শিষ্ঠ সত একটা দেশ। পৃথিবীর সমস্ত ধর্মগুলিই কুসংস্কারে আচ্ছান্ন আর কম বেশি নারী দিদ্বেষী। কিন্তু যীশু বুদ্ধ কেউই যুদ্ধ করেননি।
বিপক্ষ দলের নারীদের যৌনদাসী বানাননি। দাস বানিয়ে বাজারে বিক্রি করেননি। লুটপাট করে অন্যের সম্পত্তি দখলকে বৈধ করেননি। এই সবগুলিই ইসলামের নবী করেছেন এবং অনুসারীদের করতে নির্দেশ দিয়েছেন। মুশকিল হচ্ছে ধর্মে খারাপ জিনিস থাকলেও অন্য ধর্মগুলি আধ্যাত্মিক হলেও ইসলাম সম্পূর্ণ রাজনৈতিক মতবাদ। ফলে প্রতিটি মুসলমান আসলে ‘মুসলিম উম্মাহ’ নামের এক সেনাবাহিনীর সৈনিক। এই ধর্মের পুরোহিত (আলেম) যারা তাদের চোখ মুখ দেখলেই বুঝবেন তাদের মধ্যে ধ্যানস্থ কোন বৈরাগ্য দর্শন নেই। পুরোপুরি কঠরো নিষ্ঠুর একটা ছাপ। গোফ চেঁচে দাড়ি রাখার দারুণ এদের দেখতে আরো ভয়ংকর দর্শন লাগে। ইসলাম ভাষা সংস্কৃতির উপনিবেশ চালায়। রাজনৈতিক ক্ষমতার উপনিবেশন চালায়। এটি অন্য কোন ধর্ম চালায় না। তাই চোখ বুজে বলা যায় বাংলাদেশের মানুষ খ্রিস্টান বা বৌদ্ধ হলে এই দেশের চিত্র ভিন্ন হতো। “তৌহদী জনতা” “৯০ ভাগ মুসলমানের দেশের চলবে না” এই রকম অস্থিতিশীল সামাজিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হতো না। বাংলাদেশের আদিবাসী পাহাড়ী জনগোষ্ঠির একটা বড় অংশ খ্রিস্টান মিশনারীদের হাতে ধর্মান্তরিত খ্রিস্টান। কল্পনা করুন এরা যদি ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হতো তাহলে এতদিনে পাহাড়ের চেহারাটা কেমন হতো? এই ছোট্ট উদাহরণটিই আপনাকে বুঝানোর জন্য যথেষ্ঠ যদি আপনি সত্যিই সত্যকে বুঝতে ও মানতে চান!
#এখানে কোন ধর্মের প্রশংসা করা হয়নি। ইসলামের সঙ্গে অন্য ধর্মগুলির মৌলিক তফাত দেখানো হয়েছে। ইসলাম কোন ধর্ম নয়, চরমপন্থি রাজনৈতিক মতবাদ।
ফটো : সুষুপ্ত পাঠক
#সুষুপ্ত #পাঠক #Christianity #Buddhism #Jesus #Buddha #Islam #Politics
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................