আফগানিস্তান বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের প্রবেশাধিগারে নিষেধাজ্ঞা।

আফগানিস্তান বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের প্রবেশাধিগারে নিষেধাজ্ঞা। 
✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️

আফগানিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের পড়াশোনা নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছে তালিবান সরকার।কারণ ছাত্রীদের  বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার নামে নৈতিক অধপতন হচ্ছে। ছেলেদের সঙ্গে ঘোরাফেরা একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়ার,বারবার বলা সত্ত্বেও অনেকে হিজাব পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছিল না।তাই আমরা মেয়েদের পড়া বন্ধ করে দিয়েছি।তাছাড়া ইসলাম এসব কাজকে বেদাতি বলে আখ্যা দেয়।

এই নিষেধাজ্ঞার পর সারা পৃথিবীর কোন মুসলিম কান্ট্রি বা ইসলামের রক্ষক হিসাবে পরিচিত কোন দল বা গোষ্ঠী প্রতিবাদ করেনি।প্রতিবাদ করেছে জাতিসংঘ ভারত আমেরিকা যারা ইসলামের দৃষ্টিতে কাফের নামে পরিচিত। 

ইসলাম তার মতাদর্শের কারনেই সারা পৃথিবীতে বিতর্কিত।যারা ইসলামকে নারী প্রগতির উৎস মনে করেন তারা আফগানিস্তানে মেয়েদের উচ্চশিক্ষায় নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কোন কথা বলেছেন না?কারন যারা ইসলামি শিক্ষার পাঠ নিয়েছেন তারা ভালো করে জানেন কোরানের কত নম্বর আয়াতে নারীদের জীবন প্রনালী নিয়ে আল্লাহ কি বলেছেন।সেইজন্য তারা তালিবান সরকারের এই অমানবিক একটি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে টুশব্দটি করেননি।কারণ তারাও চান মেয়েরা গৃহপালিত জন্তুর মতো পোষ মেনে ঘরে থাকবেন স্বামীর সেবাযত্ন করবেন বছর বছর সন্তানের জন্ম দেবেন এবং স্বামীরা স্ত্রীদের যথেচ্ছাচারের মতো শস্যক্ষেত হিসাবে চাষাবাদ করবেন।এই কথাগুলো কোরানেই লেখা রয়েছে আর সেজন্যই কোন মুমিন মুসলমান আল্লাহর এই নির্দেশকে অমান্য করার দুঃসাহস দেখাতে পারেননা।পাছে জান্নাতের সুখ-শান্তি থেকে বঞ্চিত হয়।অর্থাৎ এরাই বকলমে সাহস যুগিয়ে সারা পৃথিবীকে জতুগৃহে পরিনত করতে চান।




ইসলাম যদি সত্যি শিক্ষা শান্তি আর প্রগতির ধর্ম হয়ে থাকে তাহলে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর সেই দেশ থেকে কেন ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা বিমানের চাকায় চড়ে দেশত্যাগ করতে গিয়ে মরতে হয়েছিল?কেন আজও আফগানিস্তানে প্রতিনিয়ত মসজিদে বোমার আঘাতে মুসলিমদেরই মরতে হচ্ছে?এই প্রশ্নের উত্তর কি কোন মুমিন ভাইদের কাছে আছে?

ইহুদি খ্রিষ্টান আর হিন্দুদের সাথে যদি বন্ধুত্ব ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম হয়ে থাকে তাহলে এই সেদিন আফগানিস্তানে দুর্ভিক্ষাবস্থায় না খেতে পেয়ে যখন নিজের মেয়েকে আফগানরা বিক্রি করে দিচ্ছিল তখন ভারত খাদ্যদ্রব্য ঔষধপত্র পাঠিয়ে সাহায্য করেছিল।তখন কিন্তু কোরানের সেই অমোঘ বানী অকার্যকর হয়ে গিয়েছিল।মানব সভ্যতার ইতিহাসে ইসলামের এই যে বৈপরীত্য তাতে ইসলাম ধর্মই প্রতিনিয়ত প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।

মানবজাতির প্রতি ইসলামের ভালবাসা এক চুড়ান্ত মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছু নয়।ইসলামের অস্তিত্বের মূলেই রয়েছে অমুসলমানদের প্রতি বিদ্বেষ আর ঘৃনা যা কোরানের ছত্রেছত্রে আয়াত আকারে প্রতিফলিত হয়েছে।সারা পৃথিবী যখন সৌভ্রাতৃত্ত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হতে চায় তখন ইসলাম বলছে একদিন সারা পৃথিবীর মানুষকে ইসলামের ছায়াতলে আসতে হবে।সেই জন্য হত্যা লুটপাট জবর দখল যা করা দরকার সবই করার অনুমতি রয়েছে।আসলে ইসলাম হল অত্যন্ত বর্বর ও হিস্র একটি তত্ত্ব দ্বারা অনুপ্রাণিত অমানবিক একটি রাজনৈতিক মতবাদ যা মানুষকে অমানবিক অসৎ কাজ এবং অপরাধ করতে উৎসাহ দেয়।

জানি এনিয়ে কোন সদুত্তর নেই কারণ এগুলো সবই গ্রন্থে লিপিবদ্ধ উপাখ্যান যা কোন মুসলমানের পক্ষে অবমাননা করা সম্ভব নয়।তবে সারা পৃথিবীতেই এই অমানবিকতার বিরুদ্ধে একটি চোরাস্রোত প্রবাহিত হচ্ছে।অনেক মুসলিম দেশ ইসলামের এই কঠোর অবস্থান থেকে সরে আসতে বাধ্য হচ্ছে।ইরান বাধ্য হয়েছে নীতি পুলিশ প্রত্যাহার করতে।সৌদি আরবে এখন ইউরোপীয়ান চালচলন শুরু হয়েছে।

মেয়েদের শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করার প্রতিবাদে আফগানিস্তানের ছাত্ররা গর্জে উঠেছে।তারা স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে যতক্ষণ পর্যন্ত ছাত্রীরা ফিরে না আসবে ততদিন তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বয়কটের ডাক দিয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে না পেরে যাওয়ার সময় দেয়ালে লিখে গিয়েছে,"আমরা আবার ফিরব।যার জন্য এখানে আসা সেটা শেষ করে ফিরব।এখানে অনেকটা সময় কাটাতে ফিরব।বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে ফিরব"।

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted