শস্যক্ষেত্র এবং মাদ্রাসার চৈনিক সেনা
মডারেট মুসলিমরা স্মার্ট ও বুদ্ধিমতী স্ত্রী চাইলেও হুজুররা কিন্তু শস্যক্ষেত্রই চায়। মাদ্রাসাতে হুজুরদের মস্তিষ্কে শস্যক্ষেত্র, তালাক, হায়েজ, নেফাস, হিজাব, স্বামীর হুকুম এমন সব ধারণাই চাষাবাদ করা হয়। হুজুররা চায় সূর্যের আলো না লাগা, বোরকার অন্ধকারে বন্দি থাকা, দুর্বল, বোকাসোকা, হাবাগোবা একটা শস্যক্ষেত্র (কোরআনের ভাষ্য অনুযায়ী)। এরপর একটা শস্যক্ষেত্র দিয়ে হুজুরদের না পোষালে আল্লাহ হুজুরদের জন্য বৈধ করে দিয়েছেন দ্বিতীয় শস্যক্ষেত্র। দ্বিতীয়টি দিয়েও যদি না পোষায় তবে আল্লাহ তৃতীয় শস্যক্ষেত্রের ব্যবস্থাও রেখেছেন। যদি তাও না হয় তাহলে চতুর্থ শস্যক্ষেত্রও রয়েছে। আর যদি তাতেও না পোষায় তবে অসংখ্য ‘সেমি-শষ্যক্ষেত্র’ তথা দাসী রাখা যেতে পারে। আবার যদি হুজুররা একটি শস্যক্ষেত্রের বদলে নতুন কোন শস্যক্ষেত্র আনতে চায় তারও ব্যবস্থা রয়েছে। মুখ দিয়ে ‘তুমি তিন তালাক’ বললেই হয়ে গেল - সাথে সাথে শস্যক্ষেত্রের চাকরি নট! হুজুরদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহগণ তথা মডারেট মুসলিম ও তাদের সহযোগীরা এভাবেই হুজুরদের সৃষ্টি করেছে।
বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হওয়া সত্ত্বেও মুখের কথায় তালাক হয় না এই এমন ইসলাম-বিরোধী আইন ৫০ বছরেরও আগে থেকেই এখানে কার্যকর হয়ে আছে (যখন বাংলাদেশ ছিল পূর্ব পাকিস্তান), কিন্তু ভারতে এমন আইন ছিল না। ভারতে মুখের কথায় তালাকের হুজুরতান্ত্রিক আইন বাতিল করা সম্ভব হয়নি, কারণ ভারতে রয়েছে মহামান্য চীনপন্থীরা। কয়েক বছর আগে ভারত সরকার তিন তালাকের বিরুদ্ধে আইন করলে “না, এটা মেনে নেয়া যায় না, মুসলিমদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত মেনে নেয়া যায় না” - বক্তব্য ঝাড়তে থাকেন চীনপন্থীরা। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, ভারতের চীনপন্থীদের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা কিন্তু আবার নারী! সাথে বলা প্রয়োজন মনে করছি, চীনপন্থী মানেই আমি বামপন্থী বোঝাচ্ছি না।
ভারতে তিন তালাকের বিরুদ্ধে যে আইন হয়েছে সে আইনের কোন অংশ অপছন্দ হলে মহামান্য চীনপন্থীরা তার সমালোচনা করতে পারত, তারা মুখে মুখে যে সাম্যবাদের তুবড়ি ছোটায় সত্যিকারার্থে যে তারা সাম্যবাদী সেটি অন্তত বোঝানোর জন্য হলেও তারা তালাকের মতো নির্মম বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে পারত এবং তাঁরা নিজেরাই তালাকের বিরুদ্ধে আইন করার কথা বলতে পারত! তারা নারীর প্রতি চরম বৈষম্যপূর্ণ মুসলিম পার্সোনাল ফ্যামিলির ল'র বিরুদ্ধে কথা বলতে পারত, কিন্তু তারা বলেনি। বলেনি, কারণ তাদের ভারতের মাটিতে প্রচুর চাইনিজ সোলজার দরকার। চীন যখন অরুণাচলে, লাদাখে, ডোকালামে তাদের আগ্রাসী সৈন্য নিয়ে অগ্রসর হবে তখন চীনের সাহায্যার্থে ভারতীয় চীনপন্থীদের সাম্যবাদী স্লোগানের আড়ালে লুকিয়ে থাকা ইসলামী বৈষম্যবাদের ফসল তথা তিন তালাকের সন্তান মাদ্রাসার হুজুররাই এগিয়ে যাবে। ভারতের চীনপন্থীরা হাভানা চুরুট ফুঁকতে থাকবে আর তাদের ‘সাম্যবাদের ফসল (🤣)’ মাদ্রাসার রুহানি ছেলেগুলো অস্ত্র নিয়ে চীনের পক্ষে ঝাঁপিয়ে পড়বে।
ইসলামটা কিন্তু এভাবেই টিকে আছে, অন্য কোনভাবে না। ইসলামের ননসেন্স থিওরিগুলো পড়লে একটা রামছাগলও বোঝে এটা ভুল, এটা মিথ্যা, এটা ধোঁকাবাজি। কিন্তু তবুও ইসলাম এবং মাদ্রাসা টিকে রয়েছে, কারণ ভারতের চীনপন্থীরা মুসলিমদের জন্য শরিয়া আইন চায়, তালাক চায়, শস্যক্ষেত্র চায়, সেমি-শস্যক্ষেত্র চায়। ভারতের চিনপন্থীরা বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের মাদ্রাসায় মাসুদ আজহার ও তালেবানের মতো প্রচুর ‘চৈনিক সেনা’ চায়।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................