বৃটিশ আমলে হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জের ধনাঢ্য মৎস ব্যবসায়ী ছিলেন কালীপ্রসন্ন চৌধুরী।

বৃটিশ আমলে হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জের ধনাঢ্য মৎস ব্যবসায়ী ছিলেন কালীপ্রসন্ন চৌধুরী। মৎস ব্যবসা করে তিনি প্রচুর অর্থ বিত্তের মালিক হয়েছিলেন। গড়ে তুলেছিলেন বিশাল অট্টালিকা।
 
কালীপ্রসন্ন চৌধুরীর বাবা রামলাল চৌধুরী ১৯০৭ সালে উনার মেয়ে বিজয়ার নামে বিজয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্টা করেন।

 ৪৭ সালের দেশভাগের পর পাকিস্তান আমলে উনার ব্যবসার উন্নতিতে ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়েন প্রতিপক্ষ ব্যবসায়ীরা। তাদের ইন্ধনে এক সন্ধায় নিজ বাড়ীতে পত্রিকা পাঠরত অবস্থায় কালীবাবুকে বল্লম ছুড়ে হত্যা করে পাশ্ববর্তী গ্রামের এক কুখ্যাত ডাকাত।

৭১ সালে এই কুখ্যাত ডাকাত মুক্তিযুদ্বে যোগ দিয়ে ডাকাতি করা শুরু করলে দিরাই ক্যাম্পের মুক্তিযোদ্বারা এই কুখ্যাত ডাকাতকে পুত্রসহ ধরে এনে হত্যা করে। এই ডাকাতকে তার ছেলের হাত দিয়েই গুলি করে হত্যা করানো হয়। বাবাকে হত্যার পর ছেলেকে ও হত্যা করা হয়।
পরবর্তীতে কালীবাবুর ৪ ছেলে ক্রমান্নয়ে দেশত্যাগ করেন।

 কালীপ্রসন্ন চৌধুরীর বাড়ীটি তার উওরাধিকারীদের থেকে ক্রয় করে আজমিরীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ প্রতিষ্টা করা হয়েছে। বাড়ীটি ভাটি বাংলার একটি অপুর্ব স্থাপত্য নির্দশন।

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted