আমি কুরআন ছাড়া আর কিছু মানি না। হাদিস হচ্ছে রসূলের নামে মনগড়া বানোয়াট কথাবার্তা।

-আমি কুরআন ছাড়া আর কিছু মানি না। হাদিস হচ্ছে রসূলের নামে মনগড়া বানোয়াট কথাবার্তা।

-বটে! হাদিসে তোমার ধর্ম আজকের আধুনিক যুগে এসে তোমাকে লজ্জ্জায় ফেলে তাই না? বেশ এটা নিয়ে তর্ক করবো না। শুধু তোমাকে কিছু প্রশ্ন করি তার উত্তর দিয়ো। কুরআনের কোথাও দুই ঈদের কোন উল্লেখ নেই। তাহলে ঈদ পালন করো কেন?

-কে বলছে কুরআনে ঈদের কথা বলা নেই?

-শুধু তাই নয়, ঈদের যে নামাজ পড়ো সেটাও কুরানের কোথাও বলা নেই। ঈদের নামাজকে যে ওয়াজিব ও ফরজ মনে করো সেটাও হাদিস থেকে জেনে! এমন কি ঈদুল আজহা’য় গরু কুরবাণী দিয়ে তো প্রতি বছর মাংস খাও, সেটা যে ঈদের দিন দিতে হবে সেকথাও কুরআনের কোথাও নেই!

-কি বলছো এসব?

-শুক্রবার তো পাঞ্জাবী পরে নামাজ পড়তে যাও বাচ্চাকাচ্চাসহ। কুরআনে এই নামাজের কথা বলা থাকলও এটা কখন পড়তে হবে সেটা বলা নেই। হাদিসই ঠিক করে দিয়েছে এটা শুক্রবার জোহরের সময় পড়তে। তোমার কি উচিত এখন থেকে জুম্মা পড়া হাদিসের সাহায়তা নিয়ে?

-জুম্মা পড়বো না?

-শুধু তাই নয়, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজই পড়বে না! কুরআনের কোথাও বলা নেই নামাজ পাঁচ ওয়াক্ত। এ কারণেই শিয়াদের তিন ওয়াক্ত ও সুন্নিদের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ। কারণ কুরআন পড়ে বিভ্রান্ত হতে হয় নামাজ কয় ওয়াক্ত!

-এসব কী বলছো?

-আরো আছে। ইচ্ছে করলে কুরআন অনুসারে কুকুরের মাংস খেতে পারো কিন্তু বাজার থেকে মাছ কিনে খেতে পারো না!

-মানে?

-মানে হচ্ছে, কুরআনে কুকুরের মাংস নিষিদ্ধ বলা হয়নি। এদিকে মৃত প্রাণী খেতে মানা করা হয়েছে। মাছ যে আমরা কিনি সেগুলো তো আর জীবিত নয়। কুরআন অনুসারে লাফানো মাছ ছাড়া খাওয়ার কথা নয়! এটা খাও হাদিসে এরকম মাছ খেতে বলা হয়েছে বলে!

-কী যা-তা বলছো এসব?

-কুরআনে আজান নেই। ওজুর নিয়ম নেই। নামাজের নিয়ম নেই। 

-আমি মানি না!

-শোনো, হাদিসের সন্ত্রাসী, ঘৃণাবাদী, নারী বিদ্বেষী, সম্প্রদায়িক অবস্থানের জন্য ইসলাম রক্ষার জন্য তোমাদের মত মডারেটরা কিন্তু আসলে আরেক প্রজাতির মৌলবাদীই হয়ে গেছো। এদেরকে বলা হয় ‘আহলে কুরআন’ –মানে যারা কুরআন ছাড়া কিছু মানে না। তা কুরআন মানলেই কি ইসলাম শান্তির ধর্ম হয়ে যাবে?

-কেন হবে না?

-জিহাদের আয়াতগুলোর কী হবে? গর্দানের নিচে মারার আয়াতগুলো? ছেলের বউকে বিয়ে করার আয়াত? গণিমতের মাল মানে অমুসলিমদের মালামাল লুটপাটের আয়াতগুলোর কী হবে?

-ওগুলো ঐ সময়ের জন্য প্রযজ্য ছিলো। এখন সে পরিস্থিতি নেই।

-তুমি তো আরো বিপদে পড়লা মিয়া! কুরআনের আয়াত যদি এভাবে অকার্যকর হয়ে যায় তাহলে এই বইটার তো কোন মানেই থাকে না।

-তুমি তো আমার মাথাটা হ্যাং করে দিলা!

-দিয়েছি এবার বসে বসে ভাবো। ভাবার চেষ্টা করো।

©সুষুপ্ত পাঠক

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted