মদ খেতে খেতে এক নওমুসলিম ত্রিপুরা শূকর মাংস খাওয়া হারাম বলছিল। আরো বলছিল নিজ জাতি ছাড়া মেয়ে বিয়ে দিবে না।

মদ খেতে খেতে এক নওমুসলিম ত্রিপুরা শূকর মাংস খাওয়া হারাম বলছিল। আরো বলছিল নিজ জাতি ছাড়া মেয়ে বিয়ে দিবে না। 

সেই ভিডিও করেছে এক বাঙালি মুসলমান মুমিন। পাহাড়ের দরিদ্র এই জাতিগোষ্ঠীদের টাকা পয়সা দিয়ে ইসলামী বিভিন্ন সংস্থা ধর্মান্তরিত করে মুসলমান বানাচ্ছে। এই নওমুসলিমদের অবস্থা এখন বাঙালি মুসলমানদের প্রথম পুরুষদের মত। সংস্কৃতি এখনো তাদের চাকমা মারমা ত্রিপুরা মং বং সাঁওতাল রয়ে গেছে। বাঙালি মুসলমানদের প্রথম নওমুসলিমদেরও তাদের নামধাম সংস্কৃতি উৎসব হিন্দুয়ানীই ছিল। পরবর্তীকালে এই মুসলমানদের মধ্যে তিতুমীর শরীতুল্লাহ'র মত জিহাদী ওহাবীর জন্ম হয়েছিল। বাঙালির নাম সংস্কৃতি খাদ্য উৎসব সব হারাম পরিত্যাজ্য করে বিশাল ওহাবী আন্দোলন শুরু করে তারা। 



এখন বাঙালি মুসলমান হচ্ছে বাঙালি সংস্কৃতির সবচেয়ে বড় শত্রু। বাঙালি মুসলমান এখন আরবি ফারসি সংস্কৃতির উত্তরাধিকার। তারা মনে করে তাদের পূর্ব পুরুষ ইয়েমেনের জিহাদী পীর-দরবেশরা। বাংলা ভাষাটাই এখন এরা খতনা করে মুসলমান বানিয়ে ফেলেছে। মুসলিম লীগ বাঙালি মুসলমানের সৃষ্টি। তাই পাহাড়ে চাকমা মারমা ত্রিপুরা নওমুসলিমদের হাতেই মুসলিম লীগের উত্থান হবে এক প্রজন্ম পরেই। এরা হবে চাকমা মারমা ত্রিপুরা ভাষা সংস্কৃতি জাতিসত্বার সবচেয়ে বড় শত্রু। এখন ভিডিওতে এক ত্রিপুরার মদ খেতে খেতে শূকর হারাম বলা দেখে হাসছেন কাল এর জন্য কাঁদবেন! 

পাহাড়ে এতগুলো দল, কেউ কেউ সায়ত্তশাসনের জন্য চরমপন্থী রাজনীতি চালাচ্ছে, তাদের এইসব নওমুসলিম মিশন নিয়ে কোন মাথাব্যথা নেই?  ইসলামের সাম্রাজ্যবাদী এই মিশন নিয়ে পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠীর রুখে দাঁড়াতে দেখি না কেন? নিজেদের মধ্যে এত অনৈক্য যদি আজ শেষ না করে রুখে না দাঁড়ান তাহলে পরে আফসোস করে কোন লাভ হবে না।
https://mobile.facebook.com/watch/?mibextid=JpSO2FKliISFprGe&v=201881932954457&paipv=0&eav=AfbRN8Tk53IE1m_FE6XVHaJUe8hGvF_7BdvRoIQ9x2FaIyraHZiePboh_SXrYDOge7w&wtsid=rdr_0p53jDwr9J1rO8UJf&ref=sharing&_rdr

©সুষুপ্ত পাঠক

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted