কৃষ্ণ, বুদ্ধ, মোহাম্মদ, মুসা, যীশু যখন একই চার টেবিলে।

কৃষ্ণ: বুদ্ধদা, আপনি আমাদের মধ্যে সবচেয়ে সিনিয়র, আপনি শুরু করুন।

বুদ্ধ: তা তোরা সবাই এসেছিস দেখে খুব ভালো লাগছে।

মুহাম্মদ: আদাব বুদ্ধদা।

মুসা: দেখেছেন বুদ্ধদা, মুহাম্মদ আপনাকে সালাম দেয়নি। সালাম দিলে আপনার উপর শান্তিবর্ষিত হোক বলা হয়ে যাবে তাই হি হি হি...

মুহাম্মদ: এত কথা বলো না মুসাদা। তোমার ধর্মের কট্টরতা সবাই জানে। তোমার কাছ থেকেই শেখা কিনা!

মুসা: অস্বীকার করছি না হে মুহাম্মদ। আমার ধর্মটাকে তুমি এমন কপি করেছিলেন যে একজন পাকা মুসলমানকে আগে ইহুদী হতে হবে তারপর মুসলমান!

কৃষ্ণ: পৌত্তলিকতার কথা বললে না? সেটাও তো সেখানে রয়ে গেছে। হিন্দুরা মন্দিরের চারপাশ প্রদক্ষিণ করে। কাবাঘরেও চারপাশ ঘুরতে হয়। মন্দিরে বাঁ দিক থেকে ডান দিকে ঘুরতে হয়। এ জন্যই এটাকে প্রদক্ষিণ বলে। হিন্দু বিশ্বাস মতে দক্ষিণাবর্ত একটা বিশেষ পবিত্রতা। মজার বিষয় মুসলমানরা সব কিছু ডান দিক থেকে শুরু করলেও কাবাঘর কিন্তু বাম থেকে ডানে প্রদক্ষিণ করে। এটা পৌত্তলিক বিশ্বাস।

মুহাম্মদ: তোমরাও কিন্তু সকার থেকে নিরাকার ব্রাহ্মতে আস্থা রেখেছো। আসলে পৃথিবীতে পিউর সকার নিরাকার ধর্ম বলতে কিছু হয় না। না হলে আমার নামাজে কাবাঘরকে কিবলা বানাতে হয়?

যীশু: বুদ্ধদা আর আমার মধ্যে একটা জায়গায় খুব মিল। আমি আর বুদ্ধদা নতুন কোন ধর্ম প্রচার করিনি। আমি ছিলাম ইহুদী ধর্মের পুরোহিততন্ত্রের বিরুদ্ধে একটা বিদ্রোহ। আর বুদ্ধদা ছিলেন সেকালের প্রচলিত সকল ধর্মের উর্ধে উঠে এক দার্শনিক মুক্তির পথ। ঠিক বলেছি কিনা বুদ্ধদা?

বুদ্ধ: তোদের তিনজনের সঙ্গে আমার বড় একটা পার্থক্য হলো তোরা সকলেই রাখাল ছিলি। আর আমি রাজপুত্র ছিলাম।

কৃষ্ণ: আমাদের মধ্যে সবচেয়ে আন্তর্জাতিক হচ্ছে যীশু। ওর জন্মদিন, ওর জন্ম বছরকে কেন্দ্র করে বানানো ক্যালেন্ডার আজ পৃথিবীবাসীর হিসাব নিকাশের ভরসা।

যীশু: শোন কৃষ্ণদা, একশো কোটি মানুষের দেশে তুমি ভগবান। তাতে কী হয়েছে বলো? মানুষ কি সত্যি আমাদের মানে? আমাদের নামে কত মানুষ মরেছে এই পৃথিবীতে বলো?

মুসা: আমার সম্প্রদায় হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে ভাগ্য বিড়ম্বণার শিকার।

মুহাম্মদ: আর আমার সম্প্রদায় ইসলামোফোবিয়ার শিকার।

কৃষ্ণ: হাসিয়ো না মুহাম্মদ! তোমার কাজিন আলীকে তুমি নির্দেশ দিয়েছিলেন যত মূর্তি ভাস্কর্য মাজার আছে সব ভেঙে গুড়িয়ে ফেলতে। কাবার ভেতর থাকা ৩৬০টি মূর্তি ভেঙে ছিলে। এখনো তোমার ভক্তরা ভাস্কর্য মূর্তি দেখলে বিদ্বেষপ্রবণ হয়ে পড়ে। এটাকে কেন অহেতুক ইসলাম নিয়ে ভীতি বলছো?

বুদ্ধ: শোন কৃষ্ণ, তোরাও কম করিসনি বুঝলি?

কৃষ্ণ: কী রকম বুদ্ধদা?

বুদ্ধ: তারা দেবী তো বৌদ্ধ ধর্মের এক দেবী ছিলেন। হিন্দু ধর্মের অক্ষোভ্য ও একজটা বলতে শিবকে বুঝানো হয়েছে। অথচ এই অক্ষোভ্য হচ্ছে ধ্যানী বুদ্ধ, একজটা বৌদ্ধ এক দেবতা। বোধিতরুর নিচে বসা ধ্যানী বুদ্ধ মূর্তিকে পান্ডারা নাম দিয়েছে জটাশঙ্কর!

কৃষ্ণ: প্রকৃতি মনে হয় এর প্রতিশোধ নিয়েছিলো। ভারতে এরপর মুসলিম শাসনে বহু মন্দির ধ্বংস হয়েছে। মন্দির মসজিদ হয়ে গেছে।

মুসা: বুদ্ধদা, পৃথিবীর ধর্মের ইতিহাসে এটা একদম কমন একটি দৃশ্য। এই যে মুহাম্মদের নামাজ, রোজা, ওজু, আজান সবটাই কপি করা। আমার থেকে, আরবে তখন কিছু একেশ্বরবাদী ধর্ম ছিলো সেখান থেকে কপি করা। দেখো না ইহুদীদের সকল নবীই এখন মুসলমানদের নবী। মক্কার পৌত্তলিকদের সবচেয়ে বড় মন্দিরটাই তো এখন মসজিদ।

মুহাম্মদ: শুনো মুসাদা, ঈশ্বর যখন তোমাকে নিজেদের দেশ বলে পাঠালেন কেনানে, সেখানে এসে তোমরা স্থানীয়দের মেরেকেটে শেষ করেছিলে মনে নেই?

মুসা: থাকবে না কেন। খুব মনে আছে। রাগ করিস কেন? আমি ভাই সোজাসাপ্টা কথা বলতে ভালোবাসি। রগচটা ছিলাম। জানিস তো আমি অটিস্ট্রিক ছিলাম। কথা বলতাম তোঁতলিয়ে। যীশু এসে আমার ধর্মের বারোটা বাজালো!

যীশু: মোটেই না মুসাদা। আমি তোমার ধর্মের বাইরে একটি কথাও বলিনি। খ্রিস্টান ধর্মটি আসলে বানিয়েছে আমার মৃত্যুর একশো বছর পর সাধু পৌল। আমি তখনকার ইহুদী ধর্মের পুরোহিততন্ত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলাম। পরবর্তীকালে আমার নামে নতুন ধর্ম সৃষ্টি হয়েছিলো।

বুদ্ধ: আমার কপালেও একই ঘটনা ঘটেছিল। আমি আসলে কোন ধর্মই প্রচার করিনি। আমার মৃত্যুর দুইশো বছর পর বৌদ্ধ ধর্ম বানানো হয়। আমাকে ভগবান বানানো হয়। ওরা আমার দর্শনটাই নিলো না। আচ্ছা মুহাম্মদ, তোর ধর্মটা শুনেছি তোর বিবির কাজিনের আইডিয়া থেকে সৃষ্টি?

মুহাম্মদ: হ্যাঁ বুদ্ধদা, ওয়াকা বিন নওফেল। আমার গুরু। আমি, আমার বিবি খাদিজা ও নওফেল একটা নতুন মতবাদ প্রচারের চেষ্টা চালাই। নওফেল হঠাত মারা যাবার পর আমি বিপদে পড়ি। আমার এত ধর্মীয় পন্ডিতি ছিলো না। ফলে আমি কী করে এগুবো বুঝতে পারছিলাম না। ১৩ বছর নিজের ধর্ম প্রচার করে একশো জনের বেশি শিষ্য জোটাতে পারিনি। এরাও নিতান্তই ছিন্নমূল রাস্তার লোকজন...। এই সময় একবার আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলাম। পরে আমার মাথায় রাজিনৈতিক চিন্তা আসে। মদিনা যাবার পর আমাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।

বুদ্ধ: তোর সাফল্য দেথে অবাক না হয়ে পারি না। সত্যি তোর জন্য গর্ব হয়। কেবল তোর বিধর্মীদের প্রতি ঘৃণা আর নারীদের অবরোধবাসিনী করে রাখাটা তোর মতবাদকে আজকে পর্যন্ত সবচেয়ে বিপদজনক করে রেখেছে। জিহাদ তো মুসলমানদের গোটা বিশ্বে অবিশ্বাসী করে তুলেছে।

মুহাম্মদ: দেখো বুদ্ধদা, বার্মাতে তোমার ভিক্ষুরা কীভাবে অস্ত্রহাতে ধর্মযুদ্ধ করছে। আর খ্রিস্টানদের ক্রুসেডের কথা ভুলে গেলে?

বুদ্ধ: ওরা কি আমার বাণী ব্যবহার করে একটি সন্ত্রাসকেও জায়েজ করতে পেরেছে? আমার এমন কোন বাণী আছে?

যীশু: শোন মুহাম্মদ, ক্রুসেড কি আমার বাণীকে সামনে এনে চালানো হয়েছিল? জার্মানির মার্টিন লুথার যখন খ্রিস্টানদের যীশুর খ্রিস্টান ধর্মে ফেরত যেতে বলল তখন প্রটেস্টাইন খ্রিস্টান গ্রুপের জন্ম হলো। যেখানে নেই গির্জা- কারণ আমি গির্জা বানাইনি। নেই পোপ, নেই স্বর্গের টিকিট বিক্রি। প্রটেস্টাইরা হয়ে গেলো অরাজনৈতিক খ্রিস্টান। আর সৌদি আরবের আবদুল ওহাব যখন নবী মুহাম্মদের ইসলামে ফেরত যাওয়ার ডাক দিলে তখন ইসলামের সবচেয়ে কট্টর উগ্র গ্রুপ ওহাবী ইসলামের জন্ম হলো। নবী মুহাম্মদের সময়ে যে ইসলাম তার চেহারাই এখন সারাবিশ্বের কয়েক হাজার জঙ্গি দল। আমি কোন যুদ্ধ করিনি। জেনোসাইড করিনি। আমি ছিলাম সন্ন্যাসী।

মুসা: আমি যুদ্ধ করেছিলাম।

কৃষ্ণ: আমিও যুদ্ধ করেছিলাম। শুরুতে যুদ্ধ বিরোধী থাকলেও পরে পান্ডবদের পক্ষ নেই। এত মানুষ মরেছিল সে যুদ্ধে যে বিধবাদের আহাজারীতে পান্ডবরাই কানে হাত দিয়ে দেশ ছেড়েছিলো।

বুদ্ধ: আমি যুদ্ধ বিরোধী ছিলাম। কত রাজা আমার কাছে এসে শান্তিবাদী হয়ে গিয়েছিল।

মুসা: আচ্ছা যীশু তোর কোন স্ক্যান্ডেল নেই। তোর সমস্যা কি? তুই বিয়ে করিসনি কেন রে?

যীশু: বললাম না আমি সন্ন্যাসী ছিলাম।

মুসা: হোসে সারামাগো নামের এক লেখক আছেন, সে তোকে বিবাহিত দেখিয়েছিলো তার উপন্যাসে।

কৃষ্ণ: আমাকে ইন্টারনেটে ছেলেছোকরা প্লে বয় বলে। আমি পাত্তা দেই না। তবে ওরা আমাকে আর বৈষ্ণব সাহিত্যের রাধা-কৃষ্ণের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলে। আমার অনেক রক্ষিতা ছিলো। সেকালে সেটাই রীতি ছিলো। রামের বাবা দশরথেরও বহু রক্ষিতা ছিলো। রাজাদের তো এসব নিয়ম ছিলো। মুহাম্মদ এত লজ্জা পাচ্ছো কেন ভাই?

মুহাম্মদ: ইন্টারনেট এসে আমার প্রাইভেসি একেবারে হাটে হাড়ি ভাঙা যাকে বলে! ১১টি বিয়ে করেছিলাম। দুইজন দাসী ছিলো। তাতেই আমি এত বিতর্কিত কেন?

মুসা: যুদ্ধবন্দিনী, গণিমতের মাল আর দাস ব্যবস্থাকে তুমি ধর্মীয় আদেশে বৈধতা দিয়েছিলে। এটাই ছিলো সবচেয়ে বড় ভুল। দেখো, ধর্ম পবিবর্তন করা কঠিন। সব ধর্মেই মৌলবাদী থাকে। তারা অন্ধের মত সব কিছুকে অনুসরণ করার কথা বলে। ইহুদী ধর্মে তখন মন্দিরে সেবাদাসী প্রচলন হয়ে গিয়েছিল। আসলে ধর্মের আড়ালে পুরোহিতরা চিরকাল লাম্পট্য করে গেছে দেদারছে।

বুদ্ধ: ঠিক বলেছিস রে মুসা। তিব্বতে কিছু বৌদ্ধ ভিক্ষু মতবাদী বের হয়েছিলো যারা নীল রঙের আলখেল্লা পরত আর ভিক্ষুণীদের সঙ্গে অবাধ যৌনচারকে প্রার্থনা বানিয়ে ছিলো। এদের থেকেই বাউলদের বীর্য ধরে রেখে অবাধ যৌনাচারের রীতি এসেছে।

মুসা: যীশুর মা এরকম কোন পুরোহিতের লালসার শিকার হয়েছিলো।

যীশু: আমার জন্ম নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই। পৃথিবীর কোন সন্তানের জন্ম নিয়েই প্রশ্ন থাকা উচিত নয়। পিতা ছাড়া কেউ জন্মায় না।

কৃষ্ণ: কর্ণ হচ্ছে এরকমই এক কুমারী মাতার সন্তান। হিন্দু কাহিনীতে এরকম কুমারী ও বিবাহবর্হিভূত সন্তান জন্মের অভাব নেই। সবার পিতা হিসেবে ভগবানকে বসানো হয়েছে।

যীশু: আমার পিতা যেমন স্বয়ং ঈশ্বর। তবে মুহাম্মদের জন্মের বিবরণ বেশ ঘোলাটে কিন্তু!

মুসা: সিরাত লেখকরা এর জবাব দিতে পারেনি। মুহাম্মদের পিতা আর পিতামহ একই দিনে বিয়ে করেছিলেন। মুহাম্মদের পিতামহের সেই ঘরে এক ছেলে জন্ম নেয় হামজা। হামজা মুহাম্মদের চেয়ে চার বছরের বড় হয় কি করে? মুহাম্মদের পিতা তো বিয়ের ছয় মাসের মধ্যে মারা গিয়েছিলো? তাহলে মুহাম্মদের মাতা আমিনা চার বছর পর কি করে গর্ভবতী হয়েছিলো?

বৌদ্ধ: শোন, এসব কেন ঘটেছে জানিস? আসলে তোদের কারোরই ঐতিহাসিক তথ্য খুব বেশি নেই। কেউ কেউ তো পুরোটাই কাল্পানিক! আমার কথাই ধর, আমি যে ছিলাম তার ঐতিহাসিক প্রমাণ আছে। কিন্তু আমাকে এখন পালি টেক্সেটের কাল্পানিক গালগল্প থেকে যতটুকু উদ্ধার করা যায় ততটুকুই। যীশু তো শুনেছি পুরাই কাল্পানিক। আগে তোর বদলে মেষের পূজা করা হতো। কারণ ২৫ ডিসেম্বর সূর্য মেষ রাশিতে যায়।

মুসা: আমি দাদা সোজাসাপ্টা কথা বলি। আমারও ঐতিহাসিক প্রমাণ একেবারেই নেই। আমার আর কৃষ্ণের কাহিনী কিন্তু হুবহু এক। একটুও এদিক ওদিক নেই। কারণ কাহিনীগুলো জন্ম দিয়েছিল আর্যরা। মিশরে আমি মুসা হয়েছিলাম ভারতে কৃষ্ণ।

বুদ্ধ: হ্যাঁরে মুহাম্মদ, তোর নাকি সাতশো আটশো শতকে কোন তথ্য কোথাও পাওয়া যায় না? রোমান বা আরব কোন তথ্য থেকে তোর কোন নামধাম নেই?

মুহাম্মদ: সত্যি বলছি দাদা, আমার ঐতিহাসিক অস্তিত্ব ছিলো। কিন্তু তার উপর হাদিস আর সীরাতের গল্প বসে গেছে। আমার ঐতিহাসিক বাস্তবতা খুবই কম। কিন্তু আমি ছিলাম। আব্বাসী উমাইয়া যুগে হাজার হাজার হাদিস লেখা হয়েছিলো আমার নামে। জাল হাদিস সহি হাদিস বলতে আসলে কিছু নেই। কুরআনও কয়েক রকম পাওয়া গিয়েছে।

বুদ্ধ: ঐতিহাসিক কারেন আর্মস্ট্রং তোকে আর আমাকে নিয়ে বই লিখেছেন। দুজনকে নিয়ে লেখার বিষয়ে তিনি স্বীকার করেছেন আমাদের সম্পর্কে জানার একমাত্র সোর্স ধর্মীয় কাহিনী। তোর প্রতি ভদ্রলোক খুবই সদয় থাকার পরও বণু কুরাইজা ইহুদীদের উপর চালানো তোর হত্যাকান্ডকে সে জেনোসাইড বলেছে।

মুহাম্মদ: আমি কোন যুগের মানুষ এটা মাথায় রাখো দাদা...।

বুদ্ধ: সমস্যা তো এখানেই রে! আমরা আমাদের সময়ের মানুষ কিন্তু ভক্তদের সেকথা কে বুঝাবে?

মুসা: ইন্টারনেট আমাদের বাজার শেষ করে দিয়েছে বুদ্ধদা হাঃ হাঃ হাঃ...

বুদ্ধ: আমি তো খুশী। আমি চাই কনফুশিয়াস, আমি আবার যেন দার্শনিক হিসেবে মানুষের মাঝে ফিরে আসি।

কৃষ্ণ: আমি চাই যেন কুটনৈতিক রাজনীতিবিদ হিসেবে ভারতে ফিরে আসি। ভাগবান টগবান নয়।

যীশু: যে বৈরাগ্যের কথা প্রচার করেছিলাম, ক্ষমা আর প্রেমের কথা প্রচার করেছিলাম আমি যেন তারই এক সামান্য সন্ন্যাসী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাই। ঈশ্বর পুত্র বা পাপমোচনকারী নয়।

মুহাম্মদ: আমি আরব ব-দ্বীপকে একত্র করেছিলাম জাতীয়তাবাদী চেতনায়। আমি মধ্যযুগের একজন আরব সমরনায়ক। ইতিহাস আমাকে সেটাই দিক। নবীটবী ঘুঁচে যাক। আমার নামে সমস্ত হিংসা বিলোপ হোক।

বুদ্ধ: আহা, মানুষ কবে বুঝবে রে জানি না...

[তথ্যসূত্র: বুদ্ধ, কারেন আর্মস্ট্রং/মুহাম্মদ: এ প্রফেট ফর আওয়ার টাইম, কারেন আর্মস্ট্রং/বৃহত বঙ্গ, দীনেশচন্দ্র সেন/ছদ্মবেশে দেবদেবী, বিনয়তোষ ভট্টাচার্য/ যীশু খ্রিস্টের একান্ত সুসমাচার, হোসে সারামাগো/ সিরাত ইবনে হিশাম]

©সুষুপ্ত পাঠক

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted