বিবিসি সারাবিশ্বে আন্তর্জাতিক মিডিয়ার আড়ালে ভয়ঙ্কর মিথ্যাচার করে চলেছে।।।

বিবিসি সারাবিশ্বে আন্তর্জাতিক মিডিয়ার আড়ালে ভয়ঙ্কর মিথ্যাচার করে চলেছে।।।

পৃথিবীতে কোথাও কোন লাইব্রেরী হিন্দু লাইব্রেরী , খৃষ্টান লাইব্রেরী , বৌদ্ধ লাইব্রেরী নেই , এবার ইসলামী লাইব্রেরীর খুঁজে পাওয়া গেছে । এটাই ইসলামের সৌন্দর্য ।যেখানে ইসলামের সুবিধা সেখানেই ইসলাম যুক্ত করে দেওয়া এদের ঈমানী দায়িক্ত । অথচ অনেক মুসলিম অসৎ লোক আছে , যেমন চোর , ডাকাত, ধর্ষ$ক , খুনি , বাআটপার , মিথ্যাবাদি সে বেলায় মুসলিম শব্দ টা লাগাতে দেখবেন না । প্রকৃত ইসলাম নহে বা সহি মুসলিম ও সন্ত্রাসীর কোন ধর্ম নেই নহে বলে হাত ধুয়ে ফেলবে । অথচ ঐ জ@ঙ্গি মারা গেলে সুরা ফাতেহা ও দোয়া ঠিকই করবে । এই যে বিবিছি মুসলিম উম্মাহ ও ব্রাদারের খরিদ্দারদের কাছে ইসলাম বিক্রি করছে । এটাই ইসলামী ব্যবসা । এরা সবার থেকে আলাদা হতে চাইবে , কিন্তু আপনি তাদের আলাদা বলতে পারবেন না , কারন সেটা ইসলামফোবিয়া । মুসলমানের থেকে যদি আপনি ইসলাম সম্পর্কে বেশি জানেন ও সেই সত্য লেখেন বা বলেন , তখন আপনি ইসলাম বিদ্বেষী বা ইসলামফোবিক । 

মুসলিম মানেই সবার চেয়ে আলাদা একটা জাতি, আলাদা একটা পরিচয়, আলাদা এক ধরনের মানুষ। পৃথিবীর আর কোন জাতির মধ্যে মুসলিমদের সমমানের বোধ, বিচারবুদ্ধি, বিবেচনাশক্তি খুঁজে পাওয়া অসম্ভব। 

পৃথিবীর কিংবা মহাবিশ্বের কোথাও আলাদা করে খৃস্টান বিশ্ব, হিন্দু বিশ্ব, বৌদ্ধ বিশ্ব, ইহুদী বিশ্ব নামের কোন বিশ্ব খুঁজে পাবেন না। কিন্তু মুসলিম বিশ্ব আছে। 

পৃথিবী জুড়ে হাজার হাজার বিজ্ঞানী থাকলেও আলাদা করে একজনও হিন্দু বিজ্ঞানী, বৌদ্ধ বিজ্ঞানী,খৃস্টান বিজ্ঞানী, ইহুদী বিজ্ঞানী পাবেন না।কিন্তু আলাদা করে মুসলিম বিজ্ঞানী আছে।

পৃথিবী জুড়ে হাজারও দার্শনিক থাকলেও আলাদা করে একজনও হিন্দু দার্শনিক, বৌদ্ধ দার্শনিক, খৃস্টান দার্শনিক, ইহুদী দার্শনিক নেই। কিন্তু আলাদা করে মুসলিম দার্শনিক আছে।

হাজার হাজার কবি সাহিত্যিক থাকলেও আলাদা করে একজনও হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃস্টান, ইহুদী কবি সাহিত্যিক নেই। কিন্তু আলাদা করে মুসলিম কবি সাহিত্যিক আছে।

হাজার হাজার খেলোয়াড় থাকলেও আলাদা করে একজনও হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃস্টান, ইহুদী খেলোয়াড় নেই। কিন্তু আলাদা করে মুসলিম খেলোয়াড় আছে।

শত শত নোবেল লরিয়েট থাকলেও আলাদা করে একজনও হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃস্টান, ইহুদী নোবেল লরিয়েট নেই। কিন্তু আলাদা করে মুসলিম নোবেল লরিয়েট আছে।

মুসলিম দেশগুলোর আলাদা সংগঠন ওআইসি থাকলেও হিন্দু দেশের আলাদা ওএইচসি নেই, খৃস্টান দেশগুলোর আলাদা ওসিসি নেই, বৌদ্ধ দেশগুলোর আলাদা ওবিসি নেই।

কোন খৃস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ কিংবা ইহুদী তার বিপরীত ধর্মের কেউ মারা গেলে তার জন্য নরক কামনা করে না। কিন্তু মুসলিম তার ধর্মের বাইরে ভিন্নধর্মীয় কেউ মারা গেলে তার জন্য জাহান্নাম কামনা করে।

প্রার্থনায় হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃস্টান সকল মানব এমন কি সকল প্রাণীর প্রতি মঙ্গল কামনা করে। কিন্তু মুসলিমরা শুধুমাত্র মুসলিম উম্মাহর মঙ্গল কামনা করে।

মুসলমানরা গোটা পৃথিবীটাকে মুসলিম করতে চাইলেও হিন্দুরা পৃথিবীকে হিন্দু করতে চায় না, খৃস্টানরা পৃথিবীটাকে খৃস্টানের পৃথিবী বানাতে চায় না, বৌদ্ধরা বৌদ্ধদের কিংবা ইহুদীরা ইহুদীর পৃথিবী চায় না। 

হিন্দু তামিল টাইগারদের সাথে শ্রীলংকার যুদ্ধে কোন হিন্দু তামিলদের পক্ষ নেয়নি, কোন বৌদ্ধ প্রধান দেশও শ্রীলংকার পক্ষ হয়ে লড়াই করেনি। এমন কি তামিলদের নিশ্চিহ্ন করার পরেও কোন হিন্দু তাদের জন্য কান্নাকাটি করেনি। আমার হিন্দু ভাইদের উপর বৌদ্ধরা অত্যাচার করছে বলেও হাউকাউ করেনি। আমেরিকার সাথে ভিয়েতনামের যুদ্ধে শুধুমাত্র বৌদ্ধপ্রধান দেশ বলে অন্যকোন বৌদ্ধপ্রধান দেশ ভিয়েতনামের পক্ষে অস্ত্র ধরেনি। আবার খৃস্টানপ্রধান দেশ বলে আমেরিকার পক্ষ হয়েও অন্যকোন খৃস্টানপ্রধান দেশ অস্ত্র ধরেনি। আমার বৌদ্ধ ভাইদের উপর খৃস্টানরা অত্যাচার করছে বলেও কোন বৌদ্ধ কান্নাকাটি করেনি। অথচ এক ইসরাইলকে দমন করার জন্য সমস্ত মুসলিম দেশ এক হয়ে লড়াই করেছে বারবার। এক ফিলিস্তিন ছাড়া অন্য কোন মুসলিম দেশের সাথে ইসরাইলের কোন ঝামেলা ছিল না। তারপরও ইসরাইল ইহুদী দেশ আর ফিলিস্তিন মুসলিম দেশ বলেই মুসলিম দেশগুলো যুদ্ধে নেমে পড়েছিল কোমর বেঁধে। ইসরাইলের নিজেকে রক্ষার ক্ষমতা না থাকলে জন্মের বছরেই মৃত্যু হতো তাদের।

অন্যদিকে সাদ্দামের ইরাক রাতারাতি কুয়েত দখল করে নিলেও কেউ তেমন উচ্চবাচ্য করেনি। কোন মুসলমানকে সাদ্দামের বিরুদ্ধে জোরগলায় প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি।এই ইরাক যদি মুসলিম দেশ না হতো এবং এই সাদ্দামও যদি মুসলিম না হতো তাহলে হাউকাউের অন্ত থাকতো না। জুম্মার নামাজের পর মিছিলে মিছিলে রাজপথ প্রকম্পিত হতো।আমরা দেখেছি এই সাদ্দামকে দমন করে কুয়েতকে মুক্ত করার জন্য আমেরিকা এগিয়ে আসলে মুসলিম দেশগুলো আমেরিকার পক্ষে থাকলেও সাধারণ মুসলিমরা চরমভাবে বিপক্ষে ছিল।

আফগানিস্তানে তালেবানরা হাজার বছরের পুরোনো কয়েকটি বুদ্ধমূর্তি বোমা মেরে উড়িয়ে দিলেও কোন বৌদ্ধপ্রধান দেশ সেইসব দেশে অবস্হিত কোন মসজিদে হামলা চালিয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়নি বা কোন মুসলিমের উপর অত্যাচার করেছে এমন নজির আমরা পাইনি। অথচ এক বাবরী মসিজদ ধ্বংস করাতে এই বাংলাদেশেই শতশত হিন্দু মন্দির ধ্বংস করেছে মুসলিমরা, শতশত হিন্দুদের উপর অত্যাচার করেছে। রোহিঙ্গা মুসলিদের উপর অত্যাচারের শোধ নিতে রামুতে শতের কাছাকাছি বৌদ্ধ বিহার ধ্বংস করেছে। বৌদ্ধদের ঘরবাড়িতে আগুণ জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।
 
ওরা বড়াই করে মুসলমানিত্ব নিয়ে, মনুষ্যত্ব নিয়ে নয়। মুসলিমরা এক এবং অদ্বিতীয় ভেদাভেদের বেলায়। ওদের কেউ আলাদা করতে না চাইলেও ওরা নিজেরাই অন্যদের থেকে আলাদা হতে চায়। আলাদা হয়েও যায়। বিধর্মী বিদ্বেষের বেলায় ওদের ধারেকাছেও নেই অন্য কোন জাতি বা সম্প্রদায়।

অথচ দিনশেষে ওরাই অন্যদেরকে "ইসলাম বিদ্বেষী" বলে। এইসব কথাগুলো তুলে ধরলে তারা হয় ইসলামোফোবিক। সবার বোঝা উচিৎ - মুসলিম মানেই আলাদা কিছু। আলাদা রকম চিন্তাভাবনা, কিছুটা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী, অন্য রকম বিনোদনও বটে।

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted