মাদ্রাসায় ব্রাশ বিপ্লব..
তখন ফেনীতে এক মাদ্রাসায় পড়ি। বেশিরভাগ ছাত্ররাই তখন দাঁত পরিস্কারের জন্য মেসওয়াক ব্যবহার করতো আর কেউ কেউ মাজন ব্যবহার করতো কিন্তু ব্রাশ টুথপেষ্টের চিন্তাও কেউ তখন করতে পারেনি।
ব্রাশ টুথপেষ্টকে তখন ইসলামবিরোধী মনে করা হতো। ঠিক যেমন ঢিলা কুলুখের জায়গায় প্রথম যখন টয়লেট টিস্যু আসলো তখনও মাদ্রাসাগুলোতে ইসলাম যায় যায় রব উঠেছিল।
তো মাদ্রাসায় প্রথম যখন আমরা এক ছাত্রকে ব্রাশ করতে দেখলাম সবাই হা করে তাকিয়ে ছিলাম। আমরা মনে করতাম, ব্রাশ শুধু বড়লোকরাই করে এবং যারা ইসলাম মানে না তারাই করে।
পরবর্তীতে হুজুরের কাছে নালিশ গেল ঐ ছাত্রটির ব্যাপারে। হুজুর তার ব্রাশ কেড়ে নিয়ে পুকুরে ফেলে দিলেন এবং খুবই কড়াভাবে সবাইকে সতর্ক করলেন, নবীর সুন্নত মেসওয়াকের জায়গায় এসব অনৈসলামিক ব্রাশট্রাশ কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না।
কিন্তু ঐ ছেলেটি কোনোভাবেই মেসওয়াক বা মাজন ব্যবহার করতে পারতো না, সে লুকিয়ে লুকিয়ে ব্রাশই করতো। একদিন কে যেন দেখে যায় এবং হুজুরের কাছে বিচার যায়। হুজুর ঐ ছেলেকে বেয়াদব উশৃংখল বলে অনেক বেত্রাঘাত করলেন। শেষমেশ সে মাদ্রাসা ছেড়ে চলে যায়।
খুব বেশিদিন যায় নি, সেই হুজুর এবং আমরা মোটামুটি সবাই ব্রাশ ধরেছিলাম, ভাগ্যিস! সে ছেলেটি তখন আর আমাদের মধ্যে ছিলো না।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................