ভাগ্নেকে বললাম পৃথিবীর সমস্ত বিজ্ঞানের উৎস হল আল্লাহর মনোনীত ধর্ম ইসলাম। যেই বিষয়গুলো সেই ১৪০০ বছর আগে আমাদের নবীজী(সাঃ) করে গেছেন, আর এই প্রায় দেড় হাজার বছর ধরে সমস্ত মুসলমানরা সুন্নাহ হিসেবে পালন করছে। এখন এসে জানা যাচ্ছে সেগুলো কতটা বিজ্ঞানসম্মত। ভাগ্নে বেশ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো, "তাই নাকি? সেটা কিরকম? একটা উদাহরণ দাও তো।"
ভাগ্নেকে অবাক করে দিতে পারায় তৃপ্তির হাসি দিয়ে বললাম, "আমাদের দয়াল নবী(সাঃ) এক টুকরো খেজুর নিজে চিবিয়ে নরম করে সদ্য জন্ম নেয়া শিশুর মুখে দিতেন। যেটাকে তাহনিক বলে। এইতো মাত্র কিছুদিন আগে দেড় হাজার বছর পার হওয়ার পর বিজ্ঞানীরা এখন বলছে, জন্মগ্রহণের পরপরই প্রিম্যাচিউর বেবীদেরকে চিনির দানা গলিয়ে (সুগার জেল) মুখের ভেতর ঘষে দিলে সেটা তার ব্রেনকে ড্যামেজ হওয়ার হাত থেকে বাঁচায়। এটা থেকেই প্রমাণিত হয় কত বিজ্ঞানময় আমাদের এই ইসলাম ধর্ম। আমাদের মহানবী(সাঃ) কতই না জ্ঞানী ছিলেন। আলহামদুলিল্লাহ। নির্লজ্জ নাস্তি* ক মুর* তাদদের মুখ বন্ধ করার জন্য আর কত প্রমাণ দিতে হবে?"
এটা শুনে ভাগ্নে বলল, "মামা, তুমি কখনো জাতকর্মের নাম শুনেছো?" আমি কালোজিরা খেতে খেতে উত্তর দিলাম, "না।" ভাগ্নে বলা শুরু করল, "বেদের দশবিধ সংষ্কারের চতুর্থ সংষ্কার এই জাতকর্ম। সন্তান জন্মগ্রহণের পর সন্তানের পিতা কিছু মন্ত্রপাঠ করে, আর সদ্যজাত সন্তানের মুখে মধু, ঘি ইত্যাদি স্পর্শ করায়। তাহলেই বোঝো এত বিজ্ঞানসম্মত একটা বিষয় বেদ উপনিষদে বলা হয়েছে যীশুখ্রিষ্টের জন্মের আরো হাজার বারোশো বছর আগে। যা আধুনিক বিজ্ঞানের কল্যাণে আমরা জানতে পারছি তিন হাজার বছর পরে। ভাবা যায়? কতই না বিজ্ঞানময় তাদের ধর্ম।"
ভাগ্নের কথা শুনে সর্বরোগের মহৌষধ কালোজিরা গলায় আটকে গেলো।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................