দলান্ধ ছাড়া সত্যকে কেউ অস্বীকার করে না। নিচে আলফ্রেড নোবেলের যে পোস্টটি আমি কপি করেছি, তা নিয়ে আপনি বিতর্ক করুণ। আপনার দলের পরে আনুগত্য থাকতেই পারে।
তবে আপনি অস্বীকার করতে পারবেন না মানববাদের প্রধান শত্রু মৌলবাদকে আমরা উৎখাত করেছিলাম একাত্তরে, মুক্তিযুদ্ধের ভিতর দিয়ে। গোলামাজমকে দেশে ফিরিয়ে আনাসহ ইসলামী মৌলবাদকে রাজনীতিতে পুনর্বাসন করে জিয়া। ইসলাম একটা ভয়ঙ্কর অমানবিক দর্শন, যা শুধু মানুষের ব্যক্তিজীবনে আধ্যাত্মিক শূন্যতা মোকাবেলা করে মানসিক শান্তিতে বিশ্বাসী নয়, যা রাষ্ট্রসহ টোটাল মানবসম্প্রদায়কে গ্রাস করতে চায়। জাতির শিল্প সাহিত্য বিজ্ঞানচেতনা সব গ্রাস করে।
সেসব সকলের জানা। আজ শুধু বলব, তারেক জিয়া যদি ক্ষমতায় আসেও, ইসলামের হাতেই মরবে। তারেকের আম্মা যদিও মরেন নি, তবে তার বিগত ষোল বছরের নরক ভোগ আওয়ামী লীগের জন্য নয়, ইসলামের জন্য। তাঁর হাতে লালিত ইসলামিস্টরা ৬৪ জেলা একযোগে বোমা হামলা, বিচারক হত্যা করেছে। শেখ হাসিনাসহ সেকুলার রাজনীতির পক্ষের সকল নেতাকে গ্রেনেড মেরে উড়িয়ে দিতে চেয়েছে। সেই পরিণতি তিনি ভোগ করেছেন। কিন্তু তারেক জিয়া ক্ষমতায় এলেও বাঁচবেন না। লিখে নিন!
"হঠাৎ যদি বিএনপি নামক দলটা বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে নাই হয়ে যায় , তবে কি আফসোস করবেন?
বিএনপির জন্মই হয়েছিল পেছনের দরজা দিয়ে। বিচারপতি সায়েমের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে জিয়া বলেছিলেন, আমিই রাষ্ট্রপতি! ' অ্যান্থনি মাসকারেনহাসের এই কথাগুলো আপনার বিশ্বাস নাও হতে পারে। ছোটবেলা থেকে " স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া" এই মিথ্যা কথা শুনতে শুনতে জিয়াকেই হয়তো আপনি স্বাধীনতার ঘোষক ভেবে নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা এই জিয়ার ইতিহাস জানেন?
বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভ্রুণ হত্যাকারী এই মানুষটিকে চিনতে আপনাদের কি খুব কষ্ট হচ্ছে ? পাকিস্তানের যে সোয়াত জাহাজে করে বাঙালিদের হত্যা করার জন্য পাকিস্তানিরা অস্ত্র এনেছে, নিজ দেশের সাথে গাদ্দারি করে পাকিস্তানের জাঞ্জুয়ার অনুরোধে সেই জাহাজ খালাস করতে যাচ্ছিলেন জিয়াউর রহমান। বাঙালিদের হত্যা করার জন্য সোয়াত জাহাজ খালাস করতে সেদিন জিয়াকে বাধা দিয়েছিলেন দুঃসাহসী দেশপ্রেমিক মেজর রফিকুল ইসলাম। সেদিন তার পাশে থাকা ক্যাপ্টেন অলি জিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, " আর এক পা আগালে আমরা গুলি করতে বাধ্য হবো।"
মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়া ছিলেন পাকিস্তানের গুপ্তচর।১৯৫৯ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত জিয়াউর রহমান পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগে কর্মরত ছিলেন।পাকিস্তানীরা যেখানে বাঙালি সেনা অফিসারদের কোন গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখতো না, কালো , খাঁটো , বাঙাল আরও নানাভাবে উপহাস করতো সেখানে জিয়া পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা কর্মকর্তা হিসেবে পাকিস্তান সরকারের খরচে বিদেশে প্রশিক্ষণের জন্য পর্যন্ত গিয়েছেন।শুনতে অবাক লাগলেও বিষয়গুলো সত্য।। জিয়াউর রহমানের বায়োগ্রাফি দেখলেই এর সত্যতা পাবেন।
জিয়া একজন উচ্চাভিলাসী ও ক্ষমতালোভী সেনাকর্মকর্তা ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাত্র ১১ দিন পর ২৪ শে আগষ্ট জিয়া বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর প্রধানের পদ দখল করেন।দূর্ভাগ্যক্রমে জিয়াকে মেজর থেকে মেজর জেনারেল করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।এর জন্য তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও কে ফোর্সের প্রধান মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফকে হত্যা করেন। সেনাপ্রধান হওয়ার উপযুক্ত হওয়ায় মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফকে হত্যা করে রাস্তা পরিষ্কার করেছিলেন জিয়া।৭ ই নভেম্বরের কর্ণেল তাহেরের সিপাহী জনতা বিপ্লব চুরি করা ও তাকে প্রাণে বাঁচানো কর্ণেল তাহেরকে ও বিনা বিচারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেন জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান তার ক্ষমতায় ১৪৩ জন সেনা কর্মকর্তাকে ফাঁসি সহ সেনাবাহিনীর প্রায় তিন হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নির্মমভাবে হত্যা করেন। জেলখানার ভেতরে জাতীয় চার নেতার হত্যাকারীও ছিলেন জিয়াউর রহমান।
পাপ যেমন বাপকে ছাড়ে না, ঠিক তেমনি জিয়াকেও খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করেছিলেন সেনাবাহিনীর কর্ণেল মতিউর রহমান।
মৃত্যুর আগে জিয়া সকল রাজাকারকে জেলখানা থেকে ছেড়ে দিয়ে বাঙালি জাতির সর্বনাশ করেছেন। ত্রিশ লক্ষ শহীদের হত্যাকারী রাজাকারদের নির্বাচন ও রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছেন। পাকিস্তানে পালিয়ে যাওয়া জামায়াতের আমীর গো আযমকে বাংলাদেশে ফেরত এনেছেন।১৯৭৯ সালে আমেরিকা ও পাকিস্তানের আইএসআই এর মাধ্যমে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের ভিত্তি স্থাপন করেছেন। মৃত্যুর আগেই দেশের এক এক করে সব সর্বনাশ করেছিলেন জিয়াউর রহমান।
জিয়া যেমন করে গো আযমকে কোলে বসিয়ে রাজনীতি করেছেন, ঠিক একই পদ্ধতিতে গো আযমকে কোলে বসিয়ে রাষ্ট্র চালিয়েছেন খালেদা জিয়া। শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য দুধ দিয়ে জামায়াত নামক কালসাপ দীর্ঘদিন ধরেই পুষছিলো বিএনপি।যে কালসাপ দিয়ে বিএনপি ২১ শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা করে শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে গিয়ে ২৩ জন আওয়ামী লীগ কর্মী ও ৫০০ এর অধিক মানুষকে পঙ্গু বানিয়ে দিয়েছিল, সেই কালসাপের আন্ডা বাচ্চা শিবির , এনসিপি ও হেফাজত বিএনপিকে দংশন করতে আজ ফনা তুলে বসে আছে। আজ নয়তো কাল জামায়াতের হাতেই বিএনপি ধ্বংস হবে।একেই বলে "রিভেঞ্জ অফ নেচার"।।"
সত্য সবসময় সুন্দর।
_আলফ্রেড নোবেল
১২ জুলাই, ২০২৫
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................