পূর্ব বাংলা পশ্চিম বাংলা এক হোক,
হিন্দুত্ববাদ নিপাত যাক!!
🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄
©উত্তম_অরণ/২৬ জানুয়ারী, ২০২০ইং
অনেক দিন আলোচনা সমালোচনা লিখি না, অনেক বিরাগভাজন হয়েছি সবার কাছে তবুও লিখার জন্যে হাতটা যেন কচমচ করে।
তাই ইচ্ছে করছে ডেলে দেই 😊 যাদের কাছে নতুন করে বিরাগভাজন হবো, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা থাকবে নিশ্চয়ই 😍।
বাংলা বিহার উড়িষ্যা আমাদের প্রাণ, যে প্রাণের মুল ভিত্তি বাংলা। এই অঞ্চলটাই বাঙালিদের অভয়ারণ্যে হওয়ার কথা ছিলো। বিধির বাম তা আর হলো না। আমাদের ভাগ করে দিয়েছে ইংরেজ শাসক আর হিন্দু মুসলিম দ্বন্দ্ব। সেই দ্বন্দ্ব থেকে আমরা আজও বেরিয়ে আসতে পারিনি। কিন্তু আজও আমরা স্বপ্ন দেখি বাংলা আবার এক হবে। ভরতের হিন্দুত্ববাদ নিপাত যাবে?
ধর্মের ভিত্তিতে ৪৭ সালে দেশ ভাগ হলেও ভারত কেন হিন্দুত্ববাদের দিকে ঝুঁকছে সেই চিন্তায় আমাদের ঘুম নাই অথচ আমাদের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম 😉
রাঙামাটিতে গত ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৯ ইং "পার্বত্য_কাব্যের" প্রতিষ্ঠা বাষিকীতে বিশেষ অথিতি তার বক্তব্যে বাংলাকে এক করার জন্যে উদ্বাত্ত্ব আহ্বান জানিয়েছেন, ভারতের হিন্দুত্ব বাদী মোদির বিরুদ্ধে এখনই সোচ্চার হওয়ার দাবি করছেন। তার কথায় - যে ভাবেই হোক হিন্দুত্ববাদকে প্রতিহত করতে হবে। প্রয়োজনে দুই বাংলা এক হবে।
আমিও চাই- দুই বাংলা এক হোক।
আমার সেখানে কিছু বলার ইচ্ছে থাকলেও বলতে পারিনি। তবে উক্ত বিশেষ অতিথিকে ব্যক্তিগত ভাবে একটি প্রশ্ন করাতেই উনি আমার উপর নাখোশ হয়েছেন। সেই প্রশ্নটি আমি করলে যে কেউ আমার উপর নাখোশ হতে বাধ্য কারণ আমরা আমাদের বাঙালি নয় বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদকে বিশ্বাস করি। তা বাংলাদেশের গত ১০ বছরের পাঠ্যবইয়ের দিকে নজর দিলেই বুঝতে পারি।
একটা সময় আমরা পড়েছি - অ তে অজগর, ন তে নতুন, এখন - অ তে অজু, ন তে নামাজ। এভাবে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন করে ইসলামি শিক্ষার দিকে অগ্রসর হচ্ছে বাংলা।
তা পাঠ্যবইয়ে দিকে নজর দিলেই দেখি - গত বছর চরমোনাই পীর ছাহাব, হেফাজত আমীর আহমদ শফি হুজুর যে যে লেখাগুলোর নাম ধরে হুংকার দিয়েছিলেন সেগুলোই বাদ দেয়া হয়েছে। যেমন, নবম শ্রেণির বাংলা বই ‘সাহিত্য সকংলন’ থেকে সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পালামৌ’ ও জ্ঞানদাসের ‘সুখের লাগিয়া’, ভারতচন্দ্রের ‘আমার সন্তান’, লালন শাহের ‘সময় গেলে সাধন হবে না’, রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘স্বাধীনতা’ ও সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘সাঁকোটা দুলছে’ বাদ দিয়ে যুক্ত করা হয়েছে শাহ মোহাম্মদ সগীরের ‘বন্দনা’, আলাওলের ‘হামদ’, আব্দুল হাকিমের ‘বঙ্গবাণী’, গোলাম মোস্তফার ‘জীবন বিনিময়’ ও কাজী নজরুল ইসলামের ‘উমর-ফারুক’।
অষ্টম শ্রেণির বাংলা দ্রুতপঠন থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বাংলাদেশের হৃদয়’ বাদ দেওয়া হয়েছে। আনন্দপাঠ থেকে উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর ‘রামায়ণ-কাহিনি’ বাদ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সপ্তম শ্রেণির বাংলা বই সপ্তবর্ণাতে নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘লাল ঘোড়া’ বাদ দিয়ে যুক্ত করা হয়েছে হবীবুল্লাহ বাহারের ‘মরু ভাস্কর’। অন্যদিকে, ষষ্ঠ শ্রেণির দ্রুতপঠন আনন্দপাঠ থেকে শরৎচন্দ্রের ‘লালু’ ও সত্যেন সেনের ‘লাল গরুটা’ বাদ দেয়া হয়েছে।
পাঠ্যবই থেকে জাতীয় ভাবে হিন্দু লেখকদের লেখা বাদ দিয়ে ইসলামি সংস্কৃতি গড় উঠা দেশের কত জন কবি সাহিত্যক প্রতিবাদ করেছেন? আপনারা স্বপ্ন দেখেন-
পূর্ব বাংলা পশ্চিম বাংলা এক হবে,
হিন্দুত্ববাদ নিপাত যাবে!!
আমিও বলি হিন্দুত্ববাদ নিপাত যাক কিন্তু এই কথার সাথে সাথে কি আপনারা বুক ফুলিয়ে স্লোগান তুলতে পারবেন - ইসলামিতন্ত্র নিপাত যাক!
আপনারা কি কখনো বলেছেন- রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকতে পারবে না? রাষ্ট্রের কোন ধর্ম হয় না! সেগুলো না বলে ভাষার নামে যে কূট-কৌশল অবলম্বন করছেন, তা ইসলামিতন্ত্রের ধারক বাহক ছাড়া কিচ্ছু নয়।
বাংলা ভাষাটা ব্যবহার কূট-কৌশল মাত্র।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................