CAA 2019বিরোধী আন্দোলন ও কিছু কথাঃ
কৌশিক মুখোপাধ্যায়
কিছু মানুষ ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন বা শরণার্থীর সংজ্ঞা না জেনে অথবা ইচ্ছাকৃত ভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য CAA 2019 এর প্রতিবাদ করছেন। ১৯৭১ সালের ইন্দিরা মুজিব চুক্তি অনুযায়ী(এবং নাগরিকত্ব আইন ১৯৫৫) বাংলাদেশ থেকে আগত হিন্দুরা(এবং বাকীরাও যাদের শরণার্থী হওয়ার কথা) শরণার্থী নয়, তাই তাদেরও ভারতের নাগরিকত্ব পেতে হলে নিজেকে বাংলাদেশী বা পাকিস্থানি হিসেবে ঘোষণা করে আবেদন করতে হবে, শর্ত হচ্ছে তাদের টানা এগারো বছর থাকতে হবে আবেদনের আগে। কিন্তু ২০১৯ এর সংশোধণী পাকিস্থান, আফগানিস্থান, ও বাংলা দেশ থেকে আগত(এই তিন দেশের ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত) হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান, জৈন, পারসি, শিখদের জন্য এগারো বছরের নিয়ম কে পাঁচ বছর করে দেওয়া হোল। তারপর আবেদন ও একবছর পর পুরনো দিন(যেদিন ভারতে এসেছেন) সেদিন থেকেই নাগরিকত্ব।এতে কার কি অসুবিধা থাকতে পারে? মানুষের কাছে প্রকৃত সত্য না জানিয়ে কেন কিছু মানুষ ও সংবাদ মাধ্যম মিথ্যাচার করছে। এই সুযোগে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি গুলো জনগনকে প্রভাবিত করে আন্দোলন সংগঠিত করার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। অধুনা আসামকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য ভাষণ দেওয়ার ভিডিও দেখা যাচ্ছে।
এই সংশোধণী অনুযায়ী সমস্যা তাদেরই যারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী, অর্ত্থাৎ, যারা পাসপোর্ট ভিসা ছাড়া, অথবা পাসপোর্ট ভিসা নিয়ে ভারতে এসে এখানেই থেকে গেছে, ফেরৎ যায়নি। এদের জন্য তো পাসপোর্ট আইন, ও বিদেশী আইন অনুযায়ী ভারত সরকার ব্যবস্থা নিতেই পারে। এইসব অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে ফেরৎ পাঠানোর দায়িত্ব প্রশাসনের, কিন্তু ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য দীর্ঘদিন এই কাজটি করা হয়নি। বরং এদের ব্ল্যাক মেল করে কাজে লাগানো হয়েছে, পয়সা নেওয়া হয়েছে, মিটিং মিছিলে ভীঁড় বাড়ানো হয়েছে, কিন্তু নাগরিকত্ব দেওয়ার চেষ্টা করা হয়নি।কেন এই জিনিস গুলো করা হয়েছে? শুধুই কি ভোটব্যাঙ্ক আর পয়সা(ঘুষ) ইনকামের জন্য?
বিঃদ্রঃ কোন ভুল থাকলে সংশোধন করে দেবেন।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................