কোরানের কিছু বাণী।যেসব কারণে খোদা এবং কোরান সর্বশ্রেষ্ঠ!!!

কোরানের কিছু বাণী। নিজে পড়বেন এবং অন্যকে পড়তে দিবেন। কারণ (জোর দাবি), কোরানের বাণী আমাদের জীবনবিধান, চিরন্তত সত্য এবং অপরিবর্তনীয়! অতএব কোথায়, কখন, কোন পরিপ্রেক্ষিতে, কী কারণে খোদা এসব বাণী নাজেল করেছিলো, সেই প্রশ্ন তুলবেন না।

যেসব কারণে খোদা এবং কোরান সর্বশ্রেষ্ঠ!!!

• সূরা ৫:৫১ —  হে বিশ্বাসীগণ! ইহুদী ও খৃস্টানদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, তারা পরস্পর পরস্পরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে কেউ তাদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করলে সে তাদের একজন হবে। 
• সূরা ২:১৯১ — আর যেখানে পাও, তাদের হত্যা কর, এবং যেখান থেকে তোমাদের বের করে দিয়েছে, তোমরাও সেখান থেকে তাদের বের করবে। ...তোমারা তাদের হত্যা করবে, এটাই তো অবিশ্বাসীদের পরিণাম। 
• সূরা ৯:১২৩ — হে বিশ্বাসগণ! অবিশ্বাসীদের মধ্যে যারা তোমাদের নিকটবতীর্ তাদের সাথে যুদ্ধ কর এবং তারা তোমাদের মধ্যে কঠোরতা দেখুক...। 
• সূরা ২:২১৬ — তোমাদের জন্য যুদ্ধের বিধান দেওয়া হল। যদিও এ তোমাদের কাছে অপছন্দ, কিন্তু তোমরা যা পছন্দ করা না সম্ভবত তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর এবং তোমরা যা পছন্দ কর সম্ভবত তা তোমাদের জন্য অকল্যাণকর।  
• সূরা ৪৭:৪ — অতএব যখন তোমরা অবিশ্বাসকারীদের সাথে যুদ্ধে মোকাবিলা কর তখন তাদের গর্দানে আঘাত কর, পরিশেষে যখন তোমরা তাদের সম্পূর্ণভাবে পরাভূত করবে তখন তাদের মজবুত করে বাঁধবে; অতঃপর তোমরা ইচ্ছা করলে তাদের মুক্ত করে দিতে পার অথবা মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দিতে পার। তোমরা যুদ্ধ চালাবে যতক্ষণ না তারা অস্ত্র সংবরণ করবে। এটিই বিধান। এ এজন্য যে, আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাদের শাস্তি দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি চান তোমাদের এককে অপরের দ্বারা পরীক্ষা করতে। যারা আল্লাহর পথে নিহত হয় তিনি কখনই তাদের কাজ বিনষ্ট হতে দেন না। 
• সূরা ৯:৫ — অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে অংশীবাদীদের যেখানে পাবে বধ করবে এবং প্রত্যেক ঘাঁটিতে তদের জন্য ওঁৎ পেতে থাকবে, কিন্তু যদি তারা তওবা করে, যথাযথ নামায পড়ে এবং যাকাত দেয় তবে তাদের পথ ছেড়ে দেবে...।  * (অংশীবাদী অর্থাৎ ঃ যারা প্রতিমাপূজক এবং ইসলাম ধর্মে অবিশ্বাসী)।
• সূরা ৫৬:৬৭—৭৫ — সুতরাং তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে? সেখানে (বেহেস্তে) রয়েছে ফলমূল, খেজুর ও আনার, ...সেখানে থাকবে সুশীলা ও সুন্দরী রমণীগণ, ...সুলোচনা ও তাঁবুতে অবস্থানকারিণী এ সকল রমণী, ...এদের ইতিপূর্বে মানুষ অথবা জ্বিন স্পর্শ করেনি। ...তারা সুন্দর গালিচা বিছানো সবুজ চাদরের উপর হেলান দিয়ে বসবে।   
• সূরা ৪:৩৪ — পুরুষ নারীর কর্তা, কারণ আল্লাহ তাদের এককে অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন, এবং এ (শ্রেষ্ঠত্ব) এ জন্য যে পুরুষ (তাদের জন্য) ধন ব্যয় করে। ...স্ত্রীদের মধ্যে যাদের অবাধ্যতার আশংকা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তারপর তাদের শয্যা বর্জন কর এবং তাদের প্রহার কর*। (*স্ত্রী ব্যভিচারিণী হলে এ সব ব্যবস্থা অবলম্ব করতে হবে। এগুলো তালাকের পূর্বাবস্থায় প্রযোজ্য)। 
• সূরা ৩৮:৪৪ — পুরুষকে আদেশ দেয়া হয়েছে তার স্ত্রীদের সবুজ ডাল দিয়ে প্রহার করতে কারণ সবুজ ডাল প্রহারের জন্য বেশি উপযুক্ত এবং তা দ্বারা বেশি আঘাত করা সম্ভব।
• সূরা ৬৬:১০  — (অর্থ) স্ত্রীগণ জাহান্নামে যাবে যদি তারা তাদের স্বামীর অবাধ্য হয়। 
• সূরা ২:২২২—২২৩ — লোকে তোমাকে রজঃস্রাব সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করে। তুমি বল, ‘তা অশুচি’। সুতরাং রজঃস্রাবকালে স্ত্রী সঙ্গ বর্জন করবে, এবং যতদিন না তারা পবিত্র হয়, তাদের নিকট (সহবাসের জন্য) যেও না। ...তোমাদের স্ত্রী তোমাদের শস্যক্ষেত্র (স্বরূপ)। অতএব তোমরা তোমাদের শস্যক্ষেত্রে যেভাবে ইচ্ছা গমন করতে পার। 
• সূরা ২:২৮২ — এখানে ধর্ষণের সাক্ষী হিসেবে দুইজন মহিলা সমান একজন পুরুষ ধরা হয়েছে এবং মহিলাদের সাক্ষী মানলে কোর্টেও প্রশ্নবিদ্ধ হয়, তাই বলা হয়েছে। ধর্ষণের সময় অন্তত ৪ জন পুরুষ দেখেছে এমন সাক্ষ্য না দিলে ধর্ষিতার পক্ষে রায় যাবে না, কি বর্বর ইসলামি বিধান, কেউ কি সাক্ষী রেখে ধর্ষণ করে? তাও আবার ৪ জন! 
• সূরা ৪:৩ —  আর তোমরা যদি আশংকা কর যে পিতৃহীনাদের প্রতি সুবিচার করতে পারবে না তবে বিবাহ করবে (স্বাধীনা) নারীদের মধ্যে, যাকে তোমাদের ভাল লাগে, দুই, তিন অথবা চার। আর যদি আশংকা কর যে সুবিচার করতে পারবে না তবে একজনকে অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীকে (ক্রীতদাসী অথবা যুদ্ধবন্দিণীকে)।  
• সূরা ৫:১০ — আর যারা অবিশ্বাস করে এবং আমার আয়াতকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে তারা প্রজ্জ্বলিত অগ্নির অধিবাসী।  
• সূরা ৯:২ — ...আল্লাহ্ অবিশ্বাসীদের লাঞ্ছিত করে থাকেন। 
• সূরা ২:১৯৩ — আর তোমরা তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে থাক, যতক্ষণ না (তাদের) ধর্মদ্রোহিতা দূর হয় এবং আল্লাহ্র দ্বীন (ধর্ম) প্রতিষ্ঠিত না হয়।  
• সূরা ৯: ২৯ — যাদের প্রতি কিতাব অবতীর্ণ হয়েছে তাদের মধ্যে যারা আল্লাহতে বিশ্বাস করে না ও পরকালেও নয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা নিষিদ্ধ করেছেন তা করে না এবং সত্য ধর্ম অনুসরণ করে না তাদের সাথে যুদ্ধ করবে যে পর্যন্ত না তারা নত হয়ে আনুগত্যের নিদর্শন স্বরূপ স্বোচ্ছায় জিযিয়া* দেয়।  *জিযিয়া অর্থাৎ ঃ ইসলামী রাষ্ট্রে অমুসলমানদের নিরাপত্তার বিনিময়ে যে কর দিতে হয়, তাকে জিযিয়া বলে। 
• সূরা ৯:২৩ — হে বিশ্বাসীগণ! তোমাদের পিতা ও ভাই যদি বিশ্বাস অপেক্ষা অবিশ্বাসকে শ্রেয়জ্ঞান করে তবে তাদের অভিভাবকরূপে গ্রহণ করো না। তোমাদের মধ্যে যারা তাদের অভিভাবক করে, তারাই অপরাধী। 
• সূরা ১৪: ১৬ — তাদের (অবিশ্বাসীদের) প্রত্যেকের জন্য পরিণামে জাহান্নাম রয়েছে এবং প্রত্যেককে গলিত পূঁজ পান করান হবে। (এখানে ইংরেজিতে ফুটন্ত পানি লেখা হয়েছে তা ঠিক নয়, গলিত পঁুজ হবে)। 
• সূরা ৫:৩৩ — যারা আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক কাজ করে তাদের শাস্তি এই যে, তাদের হত্যা করা হবে অথবা ক্রুশবিদ্ধ করা হবে অথবা বিপরীত দিক* থেকে তাদের দেশ থেকে নির্বাসিত করা হবে। পৃথিবীতে এটাই তাদের লাঞ্ছনা ও পরকালে তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে। (*বিপরীত দিক থেকে Ñ এর অর্থ ডান হাত বাম পা অথবা বাম হাত ডান পা)। 
• সূরা ২২: ১৯-২২ — এ দুটি দল, এরা তাদের প্রতিপালক সম্বন্ধে বিতর্ক করে; যারা অবিশ্বাস করে তাদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে আগুনের পোশাক, তাদের মাথার উপর ফুটন্ত পানি ঢেলে দেওয়া হবে, যাতে তাদের চামড়া এবং তাদের উদরে যা আছে তা গলে যাবে, এবং তাদের জন্য থাকবে লৌহ মুদ্গার। যখনই তারা যন্ত্রণাকাতর হয়ে জাহান্নাম থেকে বেরুতে চাইবে তখনই তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে তাতে; (তাদের বলা হবে) ‘আস্বাদ কর দহন যন্ত্রণা।’ 
• সূরা ২২:৯ — (যারা) লোকদের আল্লাহর পথ থেকে ভ্রষ্ট করবার জন্য সে দম্ভভরে বিতন্ডা করে। তার জন্য ইহলোকে আছে লাঞ্ছনা, এবং কিয়ামতের দিনে আমি তাদের দহন—যন্ত্রণা আস্বাদ কারব। 
• সূরা ২৫:৬ — “যারা আল্লা ব্যতিত অন্যকে ঈশ্বর বলে মান্য করে, তারা এই পৃথিবীতেই শাস্তি ভোগ করবে এবং শেষ বিচারদিনে তাদের শাস্তি দ্বিগূন হবে এবং তারা তা আজীবন ভোগ করতে থাকবে।” 
• সূরা ৪৮:১৩ — যারা আল্লাহতে ও তাঁর রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে না আমি সে সব অবিশ্বাসীদের জন্য জ্বলন্ত অগ্নি প্রস্তুত রেখেছি। 
• সূরা ৬৯:৩০—৩৭ — ফেরেশতাদের বলা হবে, ‘ধর, তাকে, গলদেশে বেড়ি পরিয়ে দাও’ ‘এবং নিক্ষেপ কর জাহান্নামে।’ ‘পুনরায় তাকে শৃংখলিত কর সত্তর হাত দীর্ঘ এক শৃংখলে,’ ‘সে মহান আল্লাহতে বিশ্বাসী ছিল না’, ‘এবং অভাবগ্রস্তকে অন্নদানে অন্যকে উৎসাহিত করত না,’ অতএব এইদিন সেখানে তার কোন সুহৃদ থাকবে না, এবং ক্ষত—নিঃসৃত স্রাব ব্যতীত কোন খাদ্য থাকবে না, যা অপরাধী ব্যতীত কেউ খাবে না। 
• সূরা ৮:১২ — স্মরণ কর, তোমাদের প্রতিপালক ফেরেশতাগণের প্রতি প্রত্যাদেশ করেন, ‘আমি তোমাদের সাথে আছি’, সুতরাং বিশ্বাসীগণকে অবিচলিত রাখ, যারা অবিশ্বাস করে আমি তাদের হৃদয়ে ভীতির সঞ্চার করব, সুতরাং তাদের স্কন্ধে ও সর্বাঙ্গে আঘাত কর। 
• সূরা ৮:৬০ — এবং তোমরা তাদের সঙ্গে যুদ্ধের জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও অশ্ব প্রস্তুত রাখবে, এ দিয়ে তোমরা আল্লাহর শত্রট্টকে, তোমাদের শত্রুকে সন্ত্রস্ত করবে এবং এ ছাড়া অন্যদের যাদের তোমরা জান না, আল্লাহ জানেন, আর আল্লাহর পথে যা ব্যয় করবে তার পূর্ণ প্রতিদান দেওয়া হবে এবং তোমাদের প্রতি অত্যাচার করা হবে না। 
• সূরা ৯:৩৯ — যদি তোমরা অভিযানে বের না হও তবে তিনি তোমাদের মর্মন্তুদ শাস্তি দেবেন এবং অপর জাতিকে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন এবং তোমরা তাঁর কোনই ক্ষতি করতে পারবে না। 
• সূরা ৯:৭৩ — হে নবী! অবিশ্বাসী ও মুনাফেকদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম কর এবং তাদের প্রতি কঠোর হও। নরক তাদের আবাসস্থল, (এবং) তা কত নিকৃষ্ট পরিণাম! 
• সূরা ৯:১১১ —  নিশ্চয় আল্লাহ বিশ্বাসীদের নিকট থেকে তাদের জীবন ও সম্পদ বেহেশতের মূল্য বিনিময়ে ক্রয় করে নিয়েছেন, তারা আল্লাহর পথে সংগ্রাম করে, (অসৎ ব্যক্তিদের) নিহত করে অথবা (নিজেরা) নিহত হয়। 
• সূরা ৫৬:১৯ — (এখানে বেহেশতের কথা বলা হয়েছে, এখানে ১৭ আয়াত থেকে শুরু করা হলো)। (বেহেশতে) তাদের সেবায় নিয়োজিত থাকবে চির—কিশোরেরা, পানপাত্র, কুঁজা ও প্রস্রবণ—নিঃসৃত সুরাপূর্ণ পেয়ালা নিয়ে, সেই সুরাপানে তাদের শিরঃপীড়া হবে না, তারা জ্ঞানহারা হবে না।  
• সূরা ৫৬:২০-২৪ — (এখানে ২০ থেকে ২৪ আয়াত দেওয়া হলো) ওরা পরিবেশন করবে তাদের পছন্দমত ফলমূল, এবং তাদের ইপ্সিত পাখির মাংস, সেখানে তাদের জন্য থাকবে আয়তলোচনা হুর, (তারা দেখতে) সুরক্ষিত মুক্তাসদৃশ্য। তাদের কর্মের পুরষ্কারস্বরূপ। (এছাড়া ৩৪ থেকে ৩৭ আয়াতে বলা হয়েছে):— তাদের জন্য থাকবে সম্ভ্রান্ত শয্যাসঙ্গিনী; তাদের আমি সৃষ্টি করেছি বিশেষ রূপেথ তাদের করেছি চিরকুমারী, সোহাগিনী ও সমবয়স্কা।  
• সূরা ৭৬:১৯ — (এখানে ১৯-২২ আয়াত পর্যন্ত দেওয়া হলো):— তাদের সেবায় নিয়োজিত থাকবে চির কিশোরগণ, তাদের দেখে মনে হবে তারা যেন বিক্ষিপ্ত মুক্তা, তুমি যখন সেখানে দেখবে, দেখতে পাবে ভোগ—বিলাসের উপকরণ এবং বিশাল রাজ্য। তাদের আভরণ হবে সূক্ষ্ম সবুজ রেশম ও স্থূল রেশম, তারা অলকৃত হবে রৌপ্য নির্মিত কঙ্কণে, তাদের প্রতিপালক তাদের পান করাবেন বিশুদ্ধ পানীয়। বলা হবে, ‘এটিই তোমাদের পুরষ্কার এবং তোমাদের কর্মের স্বীকৃতি।’ 
• সূরা ২:২১৬ —  তোমাদের জন্য যুদ্ধের বিধান দেওয়া হল। 
• সূরা ৯:১২৩ — হে বিশ্বাসগণ! অবিশ্বাসীদের মধ্যে যারা তোমাদের নিকটবতীর্ তাদের সাথে যুদ্ধ কর এবং তারা তোমাদের মধ্যে কঠোরতা দেখুক...।  
• সূরা ৬৬:৯ —  হে নবী! সত্য প্রত্যাখানকারী ও কপটাচারীদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম কর এবং তাদের প্রতি কঠোর হও। তাদের আশ্রয়স্থল জাহান্নাম, তা কত নিকৃষ্ট প্রত্যাবর্তন স্থল! 
• সূরা ৯:৭৩ — হে নবী! অবিশ্বাসী ও মুনাফেকদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম কর এবং তাদের প্রতি কঠোর হও। 
• সূরা ৮:৬৫ — হে নবী! বিশ্বাসীদের সংগ্রামের জন্য উদ্বুদ্ধ কর, তোমাদের মধ্যে কুড়িজন ধৈর্যশীল থাকলে তারা দু’শত জনের উপর বিজয়ী হবে এবং তাদের মধ্যে একশত জন থাকলে এক সহস্র অবিশ্বাসীর উপর বিজয়ী হবে। কারণ তারা এমন এক স¤প্রদায় যার বোধশক্তি নেই। ৬৯ আয়াত:- যুদ্ধে তোমরা যা লাভ করেছ তা বৈধ ও উত্তম বলে ভোগ কর ও আল্লাহকে ভয় কর।        
• সূরা ৪৯:১৫ — তারাই বিশ্বাসী যারা আল্লাহ ও তার রাসূলের প্রতি বিশ্বাস করবার পর সন্দেহ পোষণ করে না এবং জীবন ও সম্পদ দ্বারা আল্লাহর পথে সংগ্রাম করে, তারাই সত্যনিষ্ঠ। 
• সূরা ৮:৫৯—৬০ — আর অবিশ্বাসীগণ যেন কখনও মনে না করে যে তারা পরিত্রাণ পেয়েছে, নিশ্চয়ই তারা (সত্যানুসারীগণকে) হতবল করতে পারবে না। এবং তোমরা তাদের সঙ্গে যুদ্ধের জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও অশ্ব প্রস্তুত রাখবে, এ দিয়ে তোমরা আল্লাহর শত্রুকে, তোমাদের শত্রুকে সন্ত্রস্ত করবে এবং এ ছাড়া অন্যদের যাদের তোমরা জান না, আল্লাহ জানেন, আর আল্লাহর পথে যা ব্যয় করবে তার পূর্ণ প্রতিদান দেওয়া হবে এবং তোমাদের প্রতি অত্যাচার করা হবে না।  
• সূরা ৯:২-৩ — অতঃপর তোমরা দেশে চার মাসকাল পরিভ্রমণ কর ও জেনে রাখ যে তোমরা আল্লাহকে হীনবল করতে পারবে না এবং আল্লাহ অবিশ্বাসীদের লাঞ্ছিত করে থাকেন। মহান হজ্বের দিনে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের পক্ষ থেকে মানুষের প্রতি এ এক ঘোষণা যে আল্লাহর সাথে অংশীবাদীদের কোন সম্পর্ক নেই এবং তার রসূলের সঙ্গেও নয়। ...এবং অবিশ্বাসীদের মর্মন্তুদ শাস্তির সংবাদ দাও।
• সূরা ৮:৬৭ — দেশে সম্পূর্ণভাবে শত্রু নিপাত না করা পর্যন্ত বন্দী রাখা কোন নবীর জন্য সংগত...।  
• সূরা ২৯:৬ — যে কেউ সংগ্রাম করে সে তো নিজের জন্যই সংগ্রাম করে...।  
• সূরা ২৯:৬৯ — যারা আমার উদ্দেশ্যে সংগ্রাম করে আমি তাদের অবশ্যই আমার পথে পরিচালিত করব। 
• সূরা ৬১:৯-১৩ — তিনিই তাঁর রসূলকে প্রেরণ করেছেন পথনির্দেশ ও সত্যধর্মসহ সকল ধর্মের ওপর তাকে শ্রেষ্ঠত্ব দানের জন্য, যদিও অংশীবাদীগণ তা অপছন্দ করে। ...তোমাদের ধনসম্পদ ও জীবন দ্বারা আল্লাহর পথে সংগ্রাম করবে। এটিই তোমাদের জন্য শ্রেয়...। আল্লাহ তোমাদের পাপ ক্ষমা করে দেবেন এবং তোমাদের প্রবেশ করাবেন জান্নাতে...।  
• সূরা ৯:১৪ — তোমরা তাদের সাথে যুদ্ধ করবে। তোমাদের হাতে আল্লাহ তাদের শাস্তি দেবেন, তাদের লাঞ্ছিত করবেন, তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের বিজয়ী করবেন ও বিশ্বাসীদের চিত্ত প্রশান্ত করবেন।  
• সূরা ৪:৯৫—৯৬ — বিশ্বাসীদের মধ্যে যারা অক্ষম নয় অথচ ঘরে বসে থাকে এবং (আর) যারা আল্লাহর পথে স্বীয় ধনপ্রাণ দ্বারা জেহাদ করে তারা সমান নয়। যারা স্বীয় ধন—প্রাণ দ্বারা জেহাদ করে আল্লাহ তাদের যারা ঘরে বসে থাকে তাদের উপর মর্যাদা দিয়েছেন; ...যারা ঘরে বসে থাকে তাদের উপর যারা জেহাদ করে তাদের আল্লাহ মহাপুরষ্কারের ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন।  
• সূরা ৩:১৪২ — তোমরা কি মনে কর যে তোমরা স্বর্গে প্রবেশ করবে, যতক্ষণ না আল্লাহ তোমাদের মধ্যে কে জেহাদ করেছে এবং কে ধৈর্যশীল না জানছেন!   
• সূরা ৬০:৪ — ...“তোমাদের সঙ্গে এবং তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যার উপাসনা কর তার সঙ্গে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই।’...  
• সূরা ৫৮:২৩ (এখানে ২২ হবে কারণ ২৩ কোরআনে নেই) — তুমি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী এমন কোন স¤প্রদায় পাবে না যারা ভালবাসে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধাচরণকেÑ হোক না এ বিরুদ্ধচারীরা তাদের পিতা, পুত্র, ভ্রাতা অথবা এদের জ্ঞাতি—গোত্র। ...তিনি এদের প্রবেশ করাবেন জান্নাতে...।  
• সূরা ৮:৫৫ — সুতরাং তাদের (আল্লাহে অবিশ্বাসীদের) সম্পদ ও সন্তান—সন্ততি তোমাকে যেন বিমুগ্ধ না করে, আল্লাহ তো তার দ্বারাই তাদের পার্থিব জীবনে শাস্তি দিতে চান। তারা অবিশ্বাসী থাকা অবস্থায় তাদের আত্মা দেহত্যাগ করবে। (৫৬ আয়াতে লেখা হয়েছে অবিশ্বাসী স¤প্রদায়েরা কাপুরুষ)।  
• সূরা ৫:৭২ — যারা বলে, ‘আল্লাহই মরিয়ম—তনয় মসীহ্’ তারা নিঃসন্দেহে অবিশ্বাসী, অথচ মসীহ, বলেছিল, ‘হে বনি ইস্রাঈল! তোমরা আমার প্রতিপালক আল্লাহর উপাসনা কর।’ অবশ্য যে কেউ আল্লাহর অংশী করবে নিশ্চয় আল্লাহ তার জন্য স্বর্গ নিষিদ্ধ করবেন ও আগুন তার বাসস্থান, এবং অত্যাচারীদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই।
• সূরা ৯:২৮ — হে বিশ্বাসীগণ! অংশীবাদীরা তো অপবিত্র, সুতরাং এ বছরের পর তারা যেন মসজিদুল হারামের নিকটে না আসে।   
• সূরা ৩:১১৮ — হে বিশ্বাসীগণ! তোমাদের আপনজন ব্যতীত অন্য কাকেও অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা তোমাদের বিভ্রান্ত (অনিষ্ট) করতে ত্রুটি করবে না, যা তোমাদের বিপন্ন করে তাই তারা কামনা করে। তাদের মুখে বিদ্বেষ প্রকাশ পায় এবং যা তাদের অন্তর গোপন রাখে তা আরও গুরুতর। (১১৯ আয়াত):— দেখ! তোমরা বন্ধু ভেবে তাদের ভালবাস; কিন্তু তারা তোমাদের ভালবাসে না।   
• সূরা ৫:১৪ — এবং যারা বলে, ‘আমরা খৃস্টান’ তাদেরও অঙ্গীকার গ্রহণ করেছিলাম, কিন্তু তারা যা উপদিষ্ট হয়েছিল তার একাংশ ভুলে গেছে। সুতরাং আমি তাদের মধ্যে কিয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী শত্রুতা ও বিদ্বেষ জাগরুক রেখেছি...।  
• সূরা ৫:১৭ —  নিশ্চয়ই তারা অবিশ্বাস করে যারা বলে, ‘মরিয়ম—তনয় মসীহই আল্লাহ।’ বল, আল্লাহ মরিয়ম তনয় মসীহ, তার মাতা এবং পৃথিবীর সকলকে যদি ধ্বংস করতে ইচ্ছা করেন তবে তাঁকে বাধা দেবার শক্তি কার আছে?...  
• সূরা ৫:৬৪ — ইহুদীগণ বলে, ‘ আল্লাহ ব্যয়কুণ্ঠ,’ তারাই ব্যয়কুণ্ঠ এবং তারা যা বলে তার জন্য তারা অভিশপ্ত। ...আমি কিয়ামত (শেষ বিচারের দিন) পর্যন্ত স্থায়ী শত্রুতা ও বিদ্বেষ সঞ্চার করেছি।   
• সূরা ৯৮:৬ — গ্রন্থধারী ও অংশীবাদীদের যারা অবিশ্বাস করে তারা জাহান্নামের আগুনে স্থায়ীভাবে অবস্থান করবে; তারাই তো সৃষ্টির অধম।  
• সূরা ৫:৩৬ — যারা অবিশ্বাস করেছে কিয়ামতের দিন শাস্তি থেকে মুক্তির জন্য পণস্বরূপ পৃথিবীতে যা কিছু আছে যদি তাদের তার সমস্ত থাকে তবুও তাদের নিকট থেকে তা গৃহীত হবে না এবং তাদের জন্য মর্মন্তুদ শাস্তি বর্তমান।   
• সূরা ১৫:২ — কখনও কখনও অবিশ্বাসীরা চাইবে যে, তারা মুসলমান হলে ভাল হত।   
• সূরা ৩:৮৫ — এবং কেউ ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্ম চাইলে তা কখনও গ্রহণ করা হবে না এবং সে হবে পরলোকে ক্ষতিগ্রস্থদের দলভুক্ত।   
• ২:২২১ — এবং অংশীবাদী রমণী যে পর্যন্ত না (ইসলাম ধর্মে) বিশ্বাস করে তোমরা বিবাহ করো না। অবিশ্বাসী নারী তোমাদের চমৎকৃত করলেও নিশ্চয় ধর্মে বিশ্বাসী ক্রীতদাসী তা অপেক্ষা উত্তম। ধর্মে বিশ্বাস না করা পর্যন্ত অংশীবাদী পুরুষের সাথে তোমাদের কন্যার বিবাহ দিও না... কারণ, তারা তোমাদের আগুনের দিকে আহ্বান করে...।

• এক বন্ধুর টাইপ করা এবং পাঠানো আয়াতগুলো অভ্রতে কনভার্ট করার সময় কিছু সমস্যা হতে পারে। অনেক আয়াতই সংক্ষেপে উল্লেখ করা আছে তাই সম্পূর্ণটা পড়তে কোরানের সাথে মিলিয়ে দেখবেন। কোরানের কিছু আয়াত একইরকম এবং বারেবারে বলা হয়েছে। 

• বন্ধুর প্রশ্ন:— কোরআন কিভাবে আল্লাহর বাক্য এবং সবচে বড় আশির্বাদ বা দয়া বা সর্বশ্রেষ্ঠ হতে পারে? প্রকৃতপক্ষে তা নয়। মোহাম্মদ কোন পবিত্র মানুষ ছিল না। তিনি আয়েশাকে বিয়ে করেছেন যখন নিজের বয়স (মতান্তরে) ৫০ বছর এবং আয়েশার বয়স ৬ বছর (তথাকথিত এই নবী ওই শিশুর সাথে সেক্স করেছে যখন আয়শার বয়স ৯ বছর)। এটি কি চাইল্ড এ্যাবউইজ (শিশু নির্যাতন) নয়? মোহাম্মদের প্রথম স্ত্রী খাদিজা যখন মৃত্যুবরণ করে তখন মোহাম্মদের বয়স ৪৯ বছর এরপর ৫১ থেকে ৬৩ এই সময়ের মধ্যে তিনি ১১টি বিবাহ করেন! তার স্ত্রীদের মধ্যে জয়নব ছিল তার পালিত পুত্র জায়েদের স্ত্রী। এই উদাহরণ কী পৌরানিক উপকথার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়, কারণ তিনি সকলের নিকট ছিলেন একজন মহামানব এবং আল্লাহর প্রেরিত? বিশ্বের মুসলমানেরা কী সব বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী?
• ©Aroj Ali Junior (10/12/2024)

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted