“লাল-বাল- পাল” আর এস এস প্রতিষ্ঠার মুল সুত্র”

“লাল-বাল- পাল” আর এস এস প্রতিষ্ঠার মুল সুত্র”

ডাঃ মৃনাল কান্তি দেবনাথ 

        ভারতের ‘খন্ডিত স্বাধীনতা’ লাভের আসল ইতিহাস জানতে হলে , আমাদের বিকৃত ইতিহাস জানা বন্ধ করতে হবে। ভারতের খন্ডিত স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন মাত্র দুটি লোক, আর সেই দুটি লোক হচ্ছেন ‘গান্ধী এবং নেহেরু’ এই  বদ্ধ মুল ধারনার আমুল পরিবর্তন করতে হবে।

---

 এই দুটি লোককে বাদ দিয়েও স্বাধীনতা লাভের ইতিহাস রচনা করা যায় (আমার মতে করা উচিত,কারন এরা দেশকে ভাগ করেছে স্বাধীনতা আনেনি), কিন্তু এমন কিছু মানুষ আছেন যাদের বাদ দিয়ে স্বাধীনতা লাভের ইতিহাস হয় না।      

আপাত দৃষ্টিতে এই স্বাধীনতার সংগ্রাম ছিলো “ব্রিটিশ বিরোধী” কারন তারাই ছিলো তৎকালীন উপনিবেশিক। কিন্তু সনাতনী হিন্দুর হৃদয়ে  ছিলো ১০০০ বছরের কান্না, যার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিলো ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে। ব্রিটীশ শাসন অনেক বেশী মানবিক ছিলো, কারন তারা ছিলো সভ্য জাতি। জালিয়ানওয়ালাবাগ, নীল চাষ ইত্যাদি নিয়ে বেশ কিছু ঘটনা অবশ্যই ঘটেছে। কিন্তু একটি সভ্য জাতি কোনো রকমেই অসভ্য হতে পারে না। 

৭১২ সাল থেকে ১৭৫৭ সাল ছিলো অসভ্য বর্বরদের শাসন, ভারতের হিন্দুরা তার শিকার হয়েছে প্রতি পদে। হিন্দুরাই চেয়েছিলো সেই বর্বর দের হাত থেকে বাচতে,তাই ব্রিটীশ ব্যাবসায়ীদের সাহায্যে লম্পট সিরাজদৌলাকে সরানো হরেছিলো। আর তার প্রায় দুশো বছর পর ব্রিটীশের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষিত হিন্দু রাই ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন করেন। 

অনেকে বলেন ব্রিটীশ আমাদের দেশ থেকে সম্পদ লুটে নিয়েছে। কাদের সম্পদ??? হিন্দুদের সম্পদ লূট করেছে আরবী আর তুর্কি দাসেরা, তুরষ্কের খলিফার নির্দেশে এবং সহযোগীতায়। ভারতীয় সম্পদ ৮০০ বছর ধরে গেছে গজনী, সমরখন্দ, বুকারা, ঘুর, ফারগানা, ইরাক, ইরান, এবং ইস্তানবুলে। তার হিসাব আছে লিখিত। ব্রিটিশ যখন আসে তখনো দিকে দিকে মুসলমানী শাসন, হারেম আর সিরাজের লালবাগের ‘মেহফিল খানা’।  ব্রিটিশ রা বানিয়েছিলো ক্যালকাটা ক্লাবের মতো কিছু সান্ধ্য বিনোদনের মতো জায়গা। সিরাজের এবং তার পুর্ববর্তী রা ব্যাস্ত ছিলো একের পর হিন্দু রাজ্য শেষ করে লুট করতে, হিন্দু মন্দির ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিতে। হাম্পিতে (ব্যাঙ্গালোর হায়দ্রাবাদের রাস্তার পাশে) যান দেখে আসবেন মুসলমানী অত্যচারের নমুনা। কুতুব মিনার (পৃথ্বীরাজের পিথোরাগড়ের ধংসস্তুপ), সোমনাথ , কাশী বিশ্বনাথ মন্দির, কৃষ্ণ জন্মভুমি, রাম জন্মভুমি তো মাত্র চারটির কথা বললাম। ভারতে মুসমানী শাসনের সত্য ইতিহাস আজো লুকিয়ে আছে অজস্র হিন্দু রমনীর জহরব্রতে, অগ্নিকুন্ডে , মধ্য প্রাচ্যের প্রতিদেশে, সেখানকার  বাজারে যেখানে হিন্দু রমনীদের গরু ছাগলের মতো বিক্রি করা হতো তাদের সব সম্ভ্রম লুট করার পর এবং নগ্নভাবে বিক্রেতারা বাজারে তাদের দাড় করিয়ে রাখতো। 

ভারতীয় হিন্দুদের আসল ইতিহাস লুকিয়ে রাখা হয়েছে, তৈমুর লংগের তৈরী বিবি খানুম মসজিদ এবং তার পাশে দাড়িয়ে থাকা হিন্দুদের কাটা মাথা ভর্তি মিনার, যা তৈমুর বানিয়েছিলো সমরখন্দে। যান দেখে আসুন। হিন্দুদের আসল ইতিহাস লুকিয়ে আছে হিন্দুকুশ (হিন্দুদের হত্যা) পর্বতের চুড়ায়। হিন্দু দাসদের কাহিনী লুকিয়ে আছে প্রায় ১২ মিলিয়ন "রোমা জীপসীদের" মধ্যে যারা আজো, প্রায় ১০০০ বছর ধরে নাগরিকত্ব বিহীন অবস্থায় ঘুরে বেড়ায় ইউরোপের নানা শহর গঞ্জে।

শুনেছেন কোনোদিন ব্রিটিশ এমন কাজ করেছে????? 

তাই বলি, হিন্দুদের স্বাধীনতা লাভের সংগ্রাম মুলত ছিলো বর্বরদের হাত থেকে ভারতমাতার শৃংখল মোচনের, ব্রিটিশ শুধু উপলক্ষ্য মাত্র। আধুনিক ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস যারা লেখেন, সেই ইরফান হাবিব এবং রোমিলা থাপার লেখেন অসত্য এবং সত্যকে ধামাচাপা দেওয়া ইতিহাস। (চলবে)