ভন্ড মুসলমানের কারণেই বাংলাদেশে শরীয়া শাসন কায়েম করা যাচ্ছে না। এরা ওয়াজে গিয়ে হুজুর যখন বলে ইসলামে নারী নেতৃত্বে হারাম ঠিক কিনা বলেন " - তখন এরা ঠিক ঠিক বলে এসে আবার খালেদা হাসিনাকে ভোট দেয় !
ভারতের হিন্দু বামপন্থীরা একারণে বলে বাংলাদেশের মানুষ মৌলবাদী হলে কোন মহিলাকে প্রধানমন্ত্রী বানাত না। তাদের কাছে ভারত হচ্ছে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র কিন্তু পাকিস্তান উদার ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র কারণ পাকিস্তানীরা বেনজীর ভূট্টকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছে! এটা লজ্জ্বার কথা যে কাফেররা আমাদের মুসলমান ভাইদের সেক্যুলার তকমা দিচ্ছে মুসলমানদের মুনাফিকির সুযোগ নিয়ে। বাংলায় প্রবাদ আছে "ধর্মেও আছি জিরাফেও আছি"। আপনারা অনেকেই এই প্রবাদের উৎস কি জানেন না। কেন আমরা ৯০ ভাগ মুসলমান হওয়ার পরও এখনো শরীয়া কায়েম করতে পারলাম না সেটা জানতে প্রবাদের কাহিনীটি জানা জরুরী।
জয়পুরের মহারাজা জাহাজে করে আফ্রিকা থেকে তার চিড়িয়াখানার জন্য এই জোড়া জিরাফ আনলেন। এই অদ্ভুত প্রাণী ভারতবর্ষে কেউ আগে দেখেনি। মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ল জিরাফ দেখতে। আশেপাশের দেশী রাজারা ঈর্ষায় একটি চাল খেলল। মন্দিরের পুরোহিত ও মসজিদের মোল্লাদের দিয়ে ফতোয়া দেয়ালো যে, এই অদ্ভুত প্রাণীর কথা যেহেতু বেদ কুরআনের কোথাও কিছু বলা নাই সেহেতু এটা ঈশ্বরের সৃষ্টি নয় এটা শয়তানের সৃষ্টি! কাজেই এটা দেখলে পাপ হবে। সোজা দোযগে বা নরকে যেতে হবে ...। প্রচারণায় কাজ হলো। লোকজন জিরাফ দেখা বন্ধ করে দিলো। কিন্তু প্রাণীটি দেখার মনের গোপন ইচ্ছা বেশিদিন দমন করা সম্ভব হলো না। যারা এখনো দেখেনি তাদের কৌতূহল আরো বেশি। জয়পুরের মহারাজা একটা চালাকি করে চিড়িয়াখানা রাতের বেলাও খোলা রাখল। এতে কাজ হলো। লোকজন রাতের আঁধারে চুপিসারে গিয়ে জিরাফ দেখে আসে। মজাটা হচ্ছে ফতোয়া দেয়া পুরোহিত মোল্লারাও মুখ ঢেকে রাতের আঁধারে জিরাফ দেখে আসতে লাগল। এক পর্যায়ে ধরা খেতে হলো। পাবলিক তখন বলা শুরু করল এরা দিনের বেলা ধর্মে থাকে আর রাতের বেলা জিরাফে থাকে। এরা ধর্মেও আছে জিরাফেও আছে!
মুসলমানরা জিরাফ আর ধর্মের ব্যালেন্স করতে গিয়ে এই কারণেই নগ্ন ভাস্কর্য দেখে ধর্মে আঘাত পায় কিন্তু নিজে কারিনা কাপূর সেজে থাকে! লালন ভাস্কর্য দেখলে এদের অজু থাকে না কিন্তু এদের মোবাইল মিয়া খলিফার পর্ণতে ভর্তি থাকে। এরা শরীয়া চায় কিন্তু আমেরিকায় যেতে লটারী ধরে। এরা রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার কাছে ফোন করে রবীন্দ্র সংগীত শুনতে চায় আবার শরিয়ত বয়াতী জেলে গেলে পক্ষ নেয়। এই মুনাফিকদের কারণেই বাংলাদেশে হিজাব পড়ে মহিলারা ডিসি এসপি হচ্ছে অথচ আল্লাহপাক মহিলাদের বেগানা পুরুষের দৃষ্টির বাইরে ঘরের মধ্যে থাকতে বলেছেন। ইনশাআল্লাহ দেশে শরীয়া কায়েম হলে এইসব হিজাবী পর্দানশীন মুসলমান প্রধান মহান হোমরা চোমরা মহিলাদের বেত মেরে ঘরে ঢুকানো হবে! হয় জিরাফের থাকো না হয় ধর্মে থাকো - ভন্ডামী চলবে না!
-সাফ কথা, শরীয়া চাই দিতে হবে দিয়ে দাও!
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................