যারা রোমিলা থাপার আর ইরফান হাবিব পড়ে ভারতের ইতিহাস জানার চেষ্টা করে তারা বিকৃত ইতিহাস পড়ে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে।

ব্রিটিশের দালালি, জেনে বা না জেনে কারা করেছে, তা যেদিন ভারতের সত্য ইতিহাস লেখা হবে সেদিন জানা যাবে। তাই অন্যের কথায় কান না দেওয়াই ভালো।

 যারা অজ্ঞানী তাদের জ্ঞান দিতে নেই। 

ডাঃ হেডগেওয়ার ১৯২৫ সালে আর এস আর এর প্রতিষ্ঠা করলেও তিনি প্রথম জীবনে কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। এমনকি, গান্ধী যখন এক হাস্যকর "খিলাফত আন্দোলন " শুরু করেন, তখন ডাঃ হেডগেওয়ার গান্ধীজীকে এর ফলশ্রুতি কি হতে পারে তা বলেছিলেন। 

কিন্তু গান্ধী অন্য কারো কথায় কোনোদিন কান দেন নাই। তা সত্বেও ডাক্তারজী "খিলাফত আন্দোলনে গান্ধীজীর সঙ্গে যোগ দেন। 

এই আন্দোলনের ফলশ্রুতি কি হয়েছিলো ??? 

ভারতের মুসলিম সমাজ  জাগ্রত হয়ে তাদের নিজেদের জন্য আলাদা দেশ গঠনের জন্য দলে দলে "মুসলিম লীগ" এ যুক্ত হয় । গান্ধীর খিলাফত আন্দোলন ভারতের ত্রিখন্ডিত হবার পথের সুচনা করে। 'মহম্মদ আলী ভাতৃদ্বয়' যাদের নিয়ে গান্ধী 'খিলাফত আন্দোলন করেন তারাই আগে গিয়ে 'মুসলিম লীগ' এর সংগে যুক্ত হয়। 

আরো যেটা হয় সেটা হলো 'মালাবারে মোফলা' বিদ্রোহের নামে হিন্দুদের গনহত্যা। 

যারা রোমিলা থাপার আর ইরফান হাবিব পড়ে ভারতের ইতিহাস জানার চেষ্টা করে তারা বিকৃত ইতিহাস পড়ে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। 

গান্ধীকে মহাত্মা নামে ভুষিত করা রবীন্দ্রনাথের মহানতা। নেতাজীর গান্ধী ব্রিগেড এবং নেহেরু ব্রিগেড নাম দেওয়া মহা দেশনায়কের উদারতা। নেতাজীর প্রতি যে অবিচার ওই দুইজন করেছে তার ইতিহাস পড়ে দেখে বুঝে নেওয়া উচিত। 

 'অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী,' তাই অজ্ঞানীর কথায় দুঃখ পেতে নেই, আর অযথা প্রতিবাদ ও করতে নেই। শুধু নিজেকে সজাগ রাখতে হয়।

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted