ভালো লাগছে দেশটা আবার পাকিস্তানের দ্বিজাতিতত্ত্বের চেতনায় ফিরে যাচ্ছে!

পাঠ্য পুস্তকে হিন্দু লেখকের নাম বাদ দিলে জাতীয় সংগীত টাও তো হিন্দুর লেখা বাদ দিন দিতে হবে ।
Susupto Pathok (সুষুপ্ত পাঠক):

আলহামদুলিল্লাহ পাঠ্যপুস্তক থেকে অমুসলিম লেখকদের লেখা বাদ দিয়ে মুসলমান লেখকদের ইসলামী ভাবধারার লেখা স্থান দেয়া হয়েছে!  গত বছর চরমোনাই পীর ছাহাব, হেফাজত আমীর আহমদ শফি হুজুর যে যে লেখাগুলোর নাম ধরে হুংকার দিয়েছিলেন সেগুলোই বাদ দেয়া হয়েছে।  যেমন,  নবম শ্রেণির বাংলা বই ‘সাহিত্য সকংলন’ থেকে সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পালামৌ’ ও জ্ঞানদাসের ‘সুখের লাগিয়া’, ভারতচন্দ্রের ‘আমার সন্তান’, লালন শাহের ‘সময় গেলে সাধন হবে না’, রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘স্বাধীনতা’ ও সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘সাঁকোটা দুলছে’ বাদ দিয়ে যুক্ত করা হয়েছে শাহ মোহাম্মদ সগীরের ‘বন্দনা’, আলাওলের ‘হামদ’, আব্দুল হাকিমের ‘বঙ্গবাণী’, গোলাম মোস্তফার ‘জীবন বিনিময়’ ও কাজী নজরুল ইসলামের ‘উমর-ফারুক’।

শুধু একটাই দুঃখ এত কিছু করেও আমরা বুক ফুলিয়ে নিজেদের মুসলমানবাদী বলতে পারি না! একই রকম কাজ করতে চেয়ে নরেন্দ্র মোদী ঠিকই হিন্দুত্ববাদের ক্রেডিট নিয়ে নিচ্ছে!  বিশ্ব মোদীকে হিন্দুত্ববাদী হিসেবে চিনলেও আমরা যে কিসের শরমে নিজেদের অসাম্প্রদায়িক বলি আল্লাহ মালুম! 

তবু আলহামদুলিল্লাহ যে এবার জাতীয় সংগীতের খতনা সমাগত!  কারণ অষ্টম শ্রেণির বাংলা দ্রুতপঠন থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বাংলাদেশের হৃদয়’ বাদ দেওয়া হয়েছে। আনন্দপাঠ থেকে উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর ‘রামায়ণ-কাহিনি’ বাদ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সপ্তম শ্রেণির বাংলা বই সপ্তবর্ণাতে নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘লাল ঘোড়া’ বাদ দিয়ে যুক্ত করা হয়েছে হবীবুল্লাহ বাহারের ‘মরু ভাস্কর’। অন্যদিকে, ষষ্ঠ শ্রেণির দ্রুতপঠন আনন্দপাঠ থেকে শরৎচন্দ্রের ‘লালু’ ও সত্যেন সেনের ‘লাল গরুটা’ বাদ দেয়া হয়েছে। 

ভালো লাগছে দেশটা আবার পাকিস্তানের দ্বিজাতিতত্ত্বের চেতনায় ফিরে যাচ্ছে!

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted