বহে সমান্তরাল বিশ্ব।

বহে সমান্তরাল বিশ্ব
এই সময়ের মানে এই ২০২০র থেকে আরো শ পাঁচেক বছর পরের এক সময়।পৃথিবী অনেক শান্ত আর বসবাস যোগ্য হয়েছে।মানুষ সেই কার্দাশেভ মাপকের মানে স্কেলের প্রথম ধাপের কাছে চলে গিয়েছে।এ ছাড়া যোগাযোগের অভূতপূর্ব সব প্রযুক্তি এসেছে।
মানুষ জরা কে প্রায় অতিক্রম করে গড় আয়ু করে ফেলেছে দুশো  বছর।ধর্মের ষাঁড় আজ অবলুপ্ত,জাদুঘরে ঠাঁই পেয়েছে সব ধর্মের বই বা এই সম্পর্কিত কাজ।মানুষের সংখ্যা কম, খাওয়ার তৈরী বা জমি অপর্যাপ্ত তাই দেশে দেশে মারামারি বা সীমান্ত ইত্যাদি আজ ইতিহাস।এই রকম এক সময়ে এক দল গবেষক অতীব আগ্রহের এক কাজের উপরে ব্যস্ত।সেই পাঁচশো বছর আগের পৃথিবীর পশ্চিম বাংলার এক মানুষের দেহ সংরক্ষণ করা হয়েছিল।লোকটি দেহদান করার মহৎ কাজ করেছিল তবে নানান কারণে ওই দেহ কাজে লাগানো যায় নি ফলে সংরক্ষণ করেই রাখা হয়েছিল।আজকের বিজ্ঞানের অসাধারণ প্রয়োগে তার দেহে প্রাণ সঞ্চার করা গিয়েছে।আশ্চর্যের বিষয় তার স্মৃতি বা পূর্ব বৈশিষ্ট ও অটুট রাখা গিয়েছে।এই মানুষটির নাম ছিল পুলিন,তার সাথে আলাপ করার জন্য এই সময়ের গবেষকরা আজ এক বৈঠকে বসেছে।এই সময়ে সংবাদ মাধ্যম ইত্যাদির কোনো ভিড় দরকার হয় না,সরাসরি দেখা বা মত বিনিময়ে আর কোনো বড় যন্ত্র ইত্যাদি লাগে না তাই গোটা পৃথিবী বা সৌর জগতের সর্বত্র যেখানেই মানুষ থাকে তার কাছে সব খবর চলে যায়।এই মহেন্দ্রক্ষণে,গবেষকদল এই পুলিন বলে পুনর্জীবিত করা মানুষটি কে নিয়ে তাদের আলাপ শুরু করে।মানুষের ভাব বিনিময়ের ক্ষেত্রে ভাষার সমস্যা চলে গিয়েছে অসাধারন এক অনুবাদকের কারণে।পুলিনের সাথে তার সময়ের ভাষাতেই কথা বলা শুরু করে এই গবেষকরা।
“পুলিন বাবু “ একটু নরম সুরে লোকটি নিজের পরিচয় দেয়, আমার নাম অনিকেত,আমি এই আমাদের কয়েকজনের যে দল দেখছেন ওটার নেতৃত্ব দিচ্ছি মানে প্রকল্পের নেতা ভাবতে পারেন।লোকটি আলাপ শুরু করে।

“হ্যাঁ, কিসের প্রজেক্ট দাদা? আমি কি চিড়িয়াখানার জন্তু? "  খ্যাঁক করে উঠলো পুলিন,ঠিক সেই সময়ের ঐতিহ্য ধরেই।
“ রাগ করবেন না, আপনি তো জানেন আপনার পরিণত বয়েসে মৃত্যুর পরে আপনার দেহ আপনি দান করেছিলেন।ভাগ্যিস করেছিলেন, তাই তো আপনাকে আমরা ফিরিয়ে আনতে পেরেছি।আমরা সাক্ষাত পেয়ে প্রীত বোধ করছি পুলিন বাবু!” আরো মসৃণ সুরে লোকটি বলে।
“বাবু না, আমাকে কমরেড পুলিন বলুন।আমরা ওই বুর্জুয়া বাবুতে বিশ্বাসী না "
“কমরেড? আচ্ছা … তা আপনার জন্য কি করতে পারি কমরেড পুলিন? একটু চা খাবেন বা অন্য কিছু ?
“লাল চা আর সঙ্গে একটা সিগারেট দিন! ব্যাটারা শেষের দিকে সিগারেট খেতেই দেয় নি " বেশ হুকুমের সুরে বলে পুলিন
অনিকেত লোকটি একটা পেটেন্ট হাসি মুখে টেনে বলে “ এই সময়ে তো আর সিগারেট নেই,তবে আপনার ওই সিগারেট স্মৃতি ধরে কিছু করা যায় ,তবে চা হয়ে যাবে।"
তার কথার শেষের আগেই একটা সেই সেবিকা একটা চশমা হাজির হয়।পুলিন অবাক হয়ে বলে , "চশমা? কিসের চশমা? চাইলাম সিগারেট আর দিলেন চশমা ! "
ওটা চোখে লাগিয়ে নিন কমরেড,আপনার সিগারেটের তৃপ্তির জন্যই ওটা আনানো হয়েছে।"
পুলিন,চোখে চশমা লাগিয়ে বসতেই সেই সেবিকা যেন ম্যাজিকের মতো একটা সিগারেট এনে দিলো।কায়দা করে সিগারেট মুখে নিতেই সেই সেবিকা যেন ম্যাজিকের মতো লাইটার দিয়ে ওটা ধরিয়ে দিলো।আহ!সেই সুখ,সেই স্বাদ!
তৃপ্ত পুলিন, একটু অবাক হয়েই বললে ,"আমার সেই সময়ের সিগারেট ,পেলেন কোথায় মশাই ? এখন তো থাকার কথা না "
অবিচল ভঙ্গিতে অনিকেত বলে লোকটা বলে উঠলো " আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম,আপনার এই সিগারেট খাওয়া বা তৃপ্তি পাওয়া সবই এক ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ভাবতে পারেন "
বিষয়টি না বুঝলেও মন তৃপ্ত হওয়ায় কথা বাড়ালো না পুলিন।খুশি চেপে রেখেই আগের মতো রাশভারী কন্ঠে জিজ্ঞাসা করে , " আচ্ছা ,আপনারা কোন দেশের , নিশ্চই কোনো ধনতান্ত্রিক দেশের গোলামী চলছে!"
ততোধিক মোলায়েম কণ্ঠে অনিকেত বলে "আপনি ভুল করছেন,আজকের এই পৃথিবীতে ওই আপনার সময়ে প্রায় অচল তত্ব পুরোপুরি বাতিল হয়েছে।এখন আর কোনো অভুক্ত অভাবী মানুষ নেই।যা আছে তা হলো মানুষের জানার আগ্রহের আর সমানে বেড়ে যাওয়া শক্তির চাহিদা মেটানোর জন্য চেষ্টা।এই যে মেয়েটি কে দেখলেন এ ও একটি উচ্চমানের রোবট ,কোনো কায়িক পরিশ্রমের কাজে মানুষ আর আজকাল সময় নষ্ট করে না "
হতাশ  পুলিন বলে ওঠে “আমি মানি না! নিশ্চই আপনারা এই সব প্ল্যান করেই করছেন,সব জুমলা!“
অবিচল লোকটি বলে ”আমরা বুঝতে পারছি,আপনি সদ্য জেগে উঠেছেন,আপনাকে সব দেখিয়ে আর বুঝিয়ে দিতে সময় লাগবে,তবে যেহেতু আপনি একজন অতীব বিশেষ মানুষ তাই আজকে আপনাকে একটা মানুষের অসাধারণ আবিস্কারের ভাগিদার করতেই এই জায়গায় এনেছি”
পুলিন অধৈর্য হয়। একে তো বেজার করে দেওয়ার খবর দিলো তার উপরে সকাল সকাল কি গ্রহ উপগ্রহের ফালতু প্যাচাল।আচ্ছা এদের এখানে কোনো পার্টি অফিস নেই? জিজ্ঞাসা করবে কি না ভাবার আগেই আবার ওই  লোকটা প্যাঁচাল শুরু করে।
"আপনার বোধহয় বিরক্ত লাগছে কমরেড পুলিন, চিন্তা করবেন না, বেশি সময় নেবো না,যাই হোক আসুন ওই বিষয়টা বলি। নরম সুরে লোকটি বলে চলে "আপনাদের সময়ের সেই মহান স্টিফেন হকিং এর চিন্তার হিসেবে আমরা অজস্র আলোর পাল তোলা সব নিরীক্ষক মানে ছোট সব উপগ্রহ প্রায় আলোর গতিতে পাঠিয়েছি নানান তারকার জগতে।একই সাথে মহাকাশে নানান কোনাতে টেলিস্কোপ বসিয়ে খুঁজে পেয়েছি মানুষ থাকতে পারে এই রকম অজস্র বসবাস যোগ্য গ্রহ।এই রকম এক গ্রহ ঠিক যেন আমাদের জমজ এক গ্রহের খোঁজ পাওয়া আপনাদের সময়ের সেই ২০২০ তে।মাত্র বিশ আলোকবর্ষ দূরে এই গ্রহ।এরপরে এক বিশাল সংযোগসূত্র মানে এই উপগ্রহ গুলোর আলোর মাধ্যমে যোগাযোগের পথ করেছে মানুষ ফলে গ্রহটির পুরো পুরি পর্যবেক্ষণ করার রাস্তা হয়েছে।তবে এতো দূরত্বে যাওয়ার গতি বা সময়-যান বানাতে না পারার জন্য সরাসরি যাওয়া সম্ভব হয় নি।যেমন বলছিলাম,সেই গ্রহের আশেপাশে নিরীক্ষণের জন্য আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ করেছিলাম।তথ্য আসতে সময় লাগে তবু যা পেয়েছি তাতে গোটা পৃথিবী অতীব চমকে গিয়েছে"
পুলিন এবার যেন খেপেই যায় " কি সব ভাট বকছেন দাদা!একটু সোজা ভাবে বলুন না!কঠিন সব বাংলা শব্দ! যত্তসব আল ফাল!"
লোকটি লজ্জা পায় যেন "এহে, মার্জনা করবেন মানে সরি সরি, আমাদের অনুবাদক মানে ট্রান্সলেটর বোঝে নি আপনার বাংলা ওই সময়ে একটা মিশ্র মানে খিচুড়ি হয়েছিল।ঠিক আছে, একটু আপনার স্টাইলেই বলছি।
হয়েছে কি জানেন, একটা থিওরি আগেই ছিল, এই আমাদের মতো আরো বিশ্ব বা ধরুন এই পৃথিবীর মতো আরো পৃথিবী আছে এই মহাবিশ্বে।তাতে হয়তো এই আমার আপনার মতো একই মানুষ ঘুরে বেড়াচ্ছে।এই আমি বিজ্ঞান নিয়ে এই জায়গায় কাজ করি আবার ওই জায়গায় আমার মতো কোনো লোক হয়তো বাদামভাজা বিক্রি করছে বা ধরুন পান বিড়ি বিক্রি করছে ওই আপনার সময়ের মতো।
অপ্রতিভ পুলিন বলে "ইয়ে ভালো, বেশ ভালো, কিন্তু একটা জিনিস বুঝলাম না,আপনারা এখনো এই সিগারেট বিড়ি চালাচ্ছেন? "
স্বভাব বিরুদ্ধ ভাবেই একটু জোরে হেসে উঠে লোকটি বলে "না , ওই সব অনেকদিন পৃথিবীতে নেই,আপনি যা উপভোগ করলেন ওই একটু আগে যা বললাম, ওটা হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সরি আর্টিফিসিয়াল ইন্টালিজেন্সি আর কল্প জগৎ সরি ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সাথে আপনার ব্রেনের মেমোরির যোগ করে সেই সময়ের উপভোগ করার প্রযুক্তি,চশমা আর আপনার ওই চশমার ডাটি মানে হ্যান্ডেলে বসানো মাইক্রো কিছু চিপস আর একটি সিগারেটের মতো বস্তু আর সঙ্গে আপনার মস্তিষ্কের স্মৃতিকোষএর সাহায্যে ওই সুখ পেয়েছেন।" লোকটি একটু থামে এবার
পুলিন এবার সত্যিই আতংকিত হয়।ভয়ে ভয়ে বলে "মানে আপনারা কি আমার মাথায় কিছু বসিয়ে...."
অভয় দিয়ে লোকটি বলে , " না না , ওই আগের জনগণ কে নিয়ন্ত্রণের কুকাজ আমরা করতেই পারি না।এই সময়ে মানুষের স্বাধীনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন বিষয়।স্রেফ আপনি যখন সংরক্ষিত মানে ওই প্রিসার্ভ হয়ে ছিলেন তখন গবেষণার স্বার্থে আপনার স্মৃতির মানে মেমরির ব্যাকাপ নেওয়া হয়েছিল।এইসব আর এই যুগে হয় না কমরেড পুলিন"
সতর্ক পুলিন তবু ভরসা করে না ,বলে "তা ,আমাকে কি দেখাবেন বলছিলেন যেন ?"
লোকটি যেন সম্বিত ফিরে পায়,বলে হ্যা হ্যা ,আপনাকে এই গ্রহটি মানে পৃথিবীর এই জমজটি কে দেখাবো।হয়েছে কি জানেন, ওই যে গ্রহটি আমরা পেয়েছি তাতে অদ্ভুত ভাবে সব কিছু একদম আমাদের মতো।আর হ্যা আপনার সেই সময়ের দেশ মানে ভারত বা বাকি সব একই ধরণের।একটা যেন ক্লোনিং। "
পুলিন এবার সত্যিই আগ্রহী হয় "বলেন কি! তা আর কি দেখা গেছে ?"
-সেই একই বিষয়, বুঝলেন তো, সেই একই কেস।সেই যা ছিল সব এক!সে এক মহা মজার জিনিস ! আমাদের এই আজকের পৃথিবীতে ওই গ্রহের কাজ কারবার দেখার জন্য গোটা পৃথিবী বসে থাকে।কি সব কারবার!“
পুলিন,আগ্রহী হয়ে বলে , "আমাকে দেখাবেন ? "
“নিশ্চই! ওটার জন্যই তো আপনাকে নিয়ে এলাম।এখন কোনো পৃথিবীবাসীর আর সেই আগের মতো নিজের এলাকা ঘর এইসব নেই।তাই আমরা ভাবলাম,আপনার ওই সময়ের স্মৃতি ধরে যদি অন্য কিছু দেখা যায়। আর আশ্চর্যের বিষয়। আপনার সময় কাল আর এই পৃথিবীর ওই সময় কাল ও একই প্রায়।আর আপনার এই দেখার বিষয় নিয়েও গোটা পৃথিবী জানতে বসে আছে "
"বেশ , স্টার্ট করুন না তা হলে "
অনিকেত মৃদু স্বরে কাকে যেন কিছু বলেন।পুলিনের সামনে একটি ত্রিমাত্রিক রূপ শূন্যেই ধীরে ধীরে ফুটে ওঠে ঠিক এই সৌর জগতের মতো আরো এক সৌর জগৎ।খালি গ্রহের সংখ্যা যেন একটু কম।
কিমাশ্চর্য্যম!তিন নম্বরে সেই পৃথিবীর মতোই নীল রঙের একটা গ্রহ।ক্রমশ আরো কাছে আসতে থাকে ওই জগৎ।
পুলিন কে লোকটি জিজ্ঞাসা করে "আপনার তো বসবাস ছিল পশ্চিমবঙ্গে,তা যে জায়গায় থাকতেন তার নাম একটু যদি বলেন তবে এই গ্রহের ওই জায়গার ছবি ও আমরা দেখতে পারি। "
যারপরনাই বিস্মিত পুলিন ফিসফিস করে বলে "কল্যাণীতে ছিলাম "
লোকটি আবার কাকে কি যেন বলে, অবাক পুলিন দেখে ক্রমশ ঠিক তার সময়ের গুগল আর্থ এর ধাঁচে ওই গ্রহের ছবি জুম হতে থাকে।আরে!এই তো সেই ভারত!একেবারে একই ধরণের পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশ!সেই খাড়ি অঞ্চল আর সেই একই রূপ!ক্রমশঃ তার পরিচিত এলাকার ছবি এমনকি সেই সময়ের রাস্তা ঘাট ইত্যাদি সব স্পষ্ট হয়ে উঠতে থাকে।লোকে একই ভাবে চলাচল করছে।ওই তো তার বাড়ির পাশের সেই মোড়।বেশ কিছু লোক দাঁড়িয়ে আছে,স্মৃতি ভিড় করে আসে।লোকগুলোর সবই যেন তার পরিচিত।এ যেন এক সময়ের সিঁড়ি দিয়ে তাঁর সময়ে ফিরে এসেছেন তিনি।ভিড়ের মধ্যে একটা চেহারা বড় বেশি টানছে।কে ওই ছেলেটি?
“জুম, জুম, জুম!” স্থান কাল ভুলে চিৎকার করে ওঠে কমরেড পুলিন।
আরো কয়েকবার জুম করার পর তাঁর এবং সেই আলাপ করা লোকটি বা আশেপাশের আরো কয়েকজনের মুখে কথা নেই আর।
এবার স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে মানুষটাকে, হাঁটু পর্যন্ত।লোকটা প্রায় তরুণ, মুখে না ছাঁটা দাড়ি গোঁফ,চোখে চশমা , সেই একই ধরণের পাঞ্জাবি,বাঁ হাতে ঠিক পুলিনের সময়ের মতো একটা স্মার্ট ফোন।আর ডান হাতে একটা চৌকো মতো কি যেন
কমরেড পুলিন  বিস্ফারিত চোখে তাকিয়ে রইলেন সেই চেহারার দিকে।চেহারাটা তাঁর পরিচিত, তিনি প্রায়ই এই চেহারাটা কোথাও দেখেন, কিন্তু কোথায় দেখেন, তা কিছুতেই তাঁর মনে পড়ছে না।
আরেক দফা জুম করার পর কমরেড পুলিন  চিনতে পারলেন চেহারাটাকে।রোজ সকালে আয়নায় চেহারাটা দেখতেন তিনি।সেই একই ক্ষয়াটে মার্কা চেহারা।সেই একটা কৃত্রিম হাসি।কি সাংঘাতিক!তার দেখা এই লোকটি যে তার একদম কার্বন কপি,না কার্বন না,ওই যাকে বলে ক্লোন ঠিক তাই!কিন্তু ডান হাতে ওটা কি ?
কমরেড পুলিন অস্ফূট গলায় নিজেই বলে উঠলো , “হাতে কী?”
আরো এক দফা জুম করার পর তার সঙ্গে আলাপ করা সেই অনিকেত নামের লোকটি মন্দ্রকণ্ঠে বলে উঠলো “কৌটো মহাশয়,সরি কমরেড!লেখা আছে মুক্ত হস্তে দান করার চাঁদার কৌটো!"

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted