পুরনো হিন্দু কবি লেখকদের লেখা বাদ দেয়া দোষের কিছু নয় বরং মানসিক যন্ত্রনা থেকে মুক্তি।

সক্ষমতা অর্জন ঃঃপাঠ্যবইয়ে হিন্দু লেখকদের  লেখা বাদ 

মাদ্রাসায় আরবি ক্লাসে ছাত্ররা পড়ে বিধর্মীরা কাফের, রবীন্দ্রনাথ বিধর্মী, সে ঈমান আনেনি,  তাই সে দোজখে যাবে।  আবার বাংলা ক্লাসে পড়ে রবীন্দ্রনাথের কবিতা। এটা ছাত্রদের মনের উপর বিশাল মানসিক নির্যাতন। তার চেয়ে রবীন্দ্রনাথের রচনা তুলে দেয়াই ভাল। সবদিকেই সবাই সন্তুষ্ট থাকে, মানসিক যন্ত্রনা থেকে মুক্তি হয় । 
আগে হয়ত সে রকম মানসম্মত মুসলিম কবি-সাহিত্যিক ছিল না, তাই হয়ত হিন্দু কবি -লেখকের রচনা পাঠ্যবইয়ে রাখা লেগেছিল। কিন্তু এখন আর সে কথা খাটে না। এখন যথেষ্ট মানসম্পন্ন মুসলিম কবি-লেখক ও তাদের রচনা আছে। 
যেমন,  বংগবন্ধুর অসমাপ্ত  আত্মজীবনী, এটা সকল সরকারী কর্মকর্তার টেবিলে থাকবেই। সেখান থেকে দুয়েক পাতা পাঠ্যবইয়ে দিলে খারাপ হয় না। অপরদিকে জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার জীবনী নিয়েও মাহফুজ উল্লাহ, শফিক রেহমান প্রভৃতি কালজয়ী লেখকেরা বই লিখে বসে আছে। সামনে সেগুলো ও হয়ত স্থান পাবে।
কামাল চৌধুরী, বিখ্যাত কবি ও ক্ষমতাধর আমলা। তার কবিতাও পাঠ্যবইয়ে আছে। অপরদিকে কবি আব্দুল হাই শিকদারও জ্বালাময়ী কবিতা লিখে বসে আছে,  সেগুলোও আসার অপেক্ষায়। 
জে কে রোলিং হ্যারি পর্টার লিখে দুনিয়া মাত করেছিল।
একটা সিরিজের পরের বই আসতে দেরি হচ্ছিল। কিন্তু সেই দেরি সহ্য হচ্ছিল না চীনের শিশুদের। তাই  চীন দেশে মুল লেখকের  বই আসার আগেই চীনারা হ্যারি পর্টার লিখে বাজারে ছেড়ে দেয়। এটা তাদের সক্ষমতা অর্জন। কেউ নিজের যোগ্যতা ও দক্ষতা  দিয়ে সক্ষমতা অর্জন করলে তাকে খাটো করার কিছু নেই। 
নেলসন ম্যান্ডেলা,  মহাত্মা গান্ধী ও উইনস্টন চার্চিল - এরা রাজনীতিবিদ এবং লেখকও।  এদের লেখা অনেক বই ও রচনা আছে। কিন্তু মহাত্মা গান্ধীর লেখা কোন রচনা ভারতে কোন শ্রেনীর পাঠ্যবইতে নেই। উইন্সটন চার্চিল তো সাহিত্যে নাকি নোবেলও পেয়েছিল। তার কোন রচনা বৃটিশের পাঠ্যবইতে আছে কি না জানতে হবে। 
যেহেতু  পাঠ্যবইতে স্থান দেয়ার মত যথেষ্ট মুসলিম লেখক-কবির জন্ম হয়েছে, তাই আগে তাদের স্থান দিতে, পুরনো হিন্দু কবি লেখকদের লেখা বাদ দেয়া দোষের কিছু নয় বরং মানসিক যন্ত্রনা থেকে মুক্তি এবং ঈমানী ও সাংবিধানিক দায়িত্ব।

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted