মনে রাখতে হবে অভিজিৎ রায়কে বিজ্ঞান বিষয়ক লেখালেখি করার জন্য হত্যা করা হয়নি। বিবেকানন্দকে স্ববিরোধী বলার জন্য কোন রামকৃষ্ণ মিশনারীও তাকে হত্যা করেনি। ইন্দ্রর ধর্ষণকামীতার কারণে অভিশাপে তার শরীরের অসংখ্য ভগের (যোনি) জন্ম নেয় সে থেকেই "ভগবান" নামের জন্ম এমন কথা লেখার জন্যও কোন সনাতনী অভিজিৎকে হত্যা করেনি। শুধুমাত্র ইসলাম নিয়ে লেখার জন্যই তাকে হত্যা করা হয়েছে। শুধুমাত্র 'বিশ্বাসের ভাইরাস' লেখার কারণেই তাকে 'সালাফি সেক্যুলার' শুনতে হয়েছিল...।
যেন অভিজিৎ রায়ে অনুপ্রাণিত হয়ে এদেশের তরুণরা নাস্তিক মুক্তচিন্তক হতে না পারে তার জন্যই এখন নাস্তিকতাকে "ইসলাম বিদ্বেষ" বলা হচ্ছে। এমনকি অভিজিৎ আজ বেঁচে থাকলে তাকেও নব্য নাস্তিক, ঘৃণাজীবী, ইসলাম বিদ্বেষী শুনতে হত। ইসলামিক বামপন্থীরা চায় না বিশ্বাসের ভাইরাস বিনাশ হোক। এই রাষ্ট্র চায় না অভিজিৎ রায়ের কোন বই আর প্রকাশিত হোক। অভিজিৎতের নাম উচ্চারণও নিষিদ্ধ বাংলা একাডেমিতে। অভিজিৎ হত্যার বিচার হলে ইসলামিক শক্তি নাখোশ হবে তাই বিচারের বাণী নিরবে নিভৃতে কাঁদে। অভিজিৎ হত্যার পর কলম চলবে বলা যোদ্ধাও এখন বিদেশে অন্য যুদ্ধে লিপ্ত। যারা লিখছে তারা সবাই উগ্র নাস্তিক। এই উগ্র নাস্তিকের কারণে দেশে এত সমস্যা। মোল্লাতে সমস্যা নেই, ওয়াজ মাহফিলে কোন সমস্যা নেই। সিরিয়াতে বানের স্রোতের মত আইএসে যোগ দেয়া বাংলাদেশী ছেলেমেয়েতে কোন সমস্যা নেই। সমস্যা কেবল মুহাম্মদকে নিয়ে ফেইসবুকে লিখলে! এমনকি অভিজিৎ বিজ্ঞান লেখক ছিলো এটা বড় করে তুলে ধরে তার ধর্মবিষয়ক লেখালেখি আড়াল করতে হবে যাতে ইসলাম বিরোধিতা এদেশের নাস্তিকতায় স্থান না পায়। অভিজিৎতের এই মৃত্যু দিবসে তাই কেবল ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আমাদের সজাগ থাকলে হবে না, ঐ বদমাশ ইসলামিক বামাতীদের বিরুদ্ধেও সজাগ থাকতে হবে।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................