নাগরিত্ব আইন ফাইন কিচ্ছু না, আসলে সবাই দাঙ্গা লাগার অপেক্ষায় আছে। দাঙ্গাটা দরকার হিন্দুত্ববাদীদের, দাঙ্গাটা দরকার দারুল ইসলামবাদীদের...। বাম, কংগ্রেস সবার দরকার...। দাঙ্গার আগুনে আলু পোড়া দিয়ে খাওয়ার আশায় সবাই বসে আছে...।
ভারতবর্ষে শত শত বছর ধরে হিন্দু মুসলমান পাশাপাশি বসবাস করেও কেউ কারোর হতে পারেনি, পারবেও না। তাই দাঙ্গা যদি নাও লাগে তবু বিভেদের দেয়াল ভাঙ্গার কোন সুযোগ নেই।
সাম্প্রদায়িক পরিচয় বহাল রেখে অসাম্প্রদায়িকতা আশা করা মূঢ়তা। ভারতের তথাকথিত মুসলিম শাসনের উত্তোরাধিকার মনে করা ভারতীয় মুসলিমরা ভারতের হিন্দুত্ববাদীদের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তেই থাকবে। নরেন্দ মোদী ভারতে দু-দুবার কেমন করে নির্বাচিত হতে পারল যেখানে হিন্দু ধর্মের সর্বভারতীয় কোন একক ধর্মীয় বিশ্বাস ঐতিহ্য ঐক্যই নেই? সাধারণ ভারতীয় হিন্দুদের সমর্থন কেমন করে পেলো বিজেপি সেই উত্তর কি কেউ খুঁজে দেখেছে?
দিল্লির নির্বাচনে কংগ্রেস ও বামপন্থিদের জবাব দিয়েছে দিল্লিবাসী। একইভাবে তারা প্রমাণ করেছে বিজেপির ধর্মীয় কার্ড তাদের আকর্ষণ করেনি। এখন মরিয়া নরেন্দ মোদির প্রয়োজন মুসলিমদের জিহাদী চেহারা বেরিয়ে আসা। তাদের দারুল ইসলাম কায়েমের অলীক স্বপ্ন দিল্লির রাস্তাঘাটে শাহরুখদের মত যুবকরা প্রদর্শন করলে সেটা নরেন্দ মোদিরই লাভ। বামপন্থিদের, কংগ্রেসের আত্মঘাতি রাজনীতি, হিজাব টুপির রাজনীতি, মুসলিম জাতীয়তাবাদের সঙ্গে মিউচুল করা রাজনীতি ভারতের হিন্দুদের ভীত ও আস্থাহীন করলে সেটা নরেন্দ মোদির দশ বছরের দুর্বল অর্থনীতি স্বত্ত্বেও তৃতীয়বারের মত নির্বাচিত হতে দেখলে অবাক হবো না। আপাতত নির্বাচন রাজনীতি বাদ। দিল্লিতে যেন আর একটি মানুষও মারা না যায়। আগুন লাগার চাইতে ছাইচাপা হয়ে থাক। মানুষ যখন তার ধর্মীয় পরিচয় ছেড়ে বেরুতে পারবে না তাহলে তাই থাক। সেপিয়েন্সের কয়েক লক্ষ বছরের ডিএনএ-তে সেরকমই সহিংসতার নকশা আঁকা আছে। আমি আসলে কোন আশা দেখি না…।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................