ভারত রাষ্ট্রটি হিন্দু জাতির শেষ ভরসা।

আওরঙ্গজেব নিজে যেরকম ছিলেন গোঁড়া প্রকৃতির, তেমনি তিনি ছিলেন ভয়ঙ্কর হিন্দু বিদ্বেষী। তার অন্যতম কারণ, হিন্দুদের সমর্থন ছিল তার বড় ভাই দারাশিকোর দিকে। ওনার বিশ্বস্ত সেনাপতিবৃন্দ ছিলেন উজবেক বংশোদ্ভূত। কিছু রাজপুত ও জাঠ হিন্দু সেনাপতি যে ছিলেন না,তা নয়। তবে তারা কম গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন। শিবাজীর বিষয়টা ছিল ভিন্ন। তিনি তাঁর মাতৃভূমি বিদেশি দখলদারদের কবল থেকে উদ্ধার করার জন্য লড়াই করেছেন।  আদিল শাহী সালতানাতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয় করার পর, শিবাজীর মুসলিম সেনাপতি প্রতিপক্ষের নারীদের মাল এ গনিমত হিসেবে ব্যবহার করার অনুমতি চেয়েছিলেন। কিন্তু শিবাজী প্রতিপক্ষের নারীদের সসম্মানে মুক্তি দিয়েছিলেন। 

সেক‍্যুলার শাসকরা ভারতে মধ্যযুগের ইতিহাস আড়াল করে রেখেছে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে ঐ ইতিহাস পড়ানো হয়। কিন্তু বিদেশি দখলদাররা, তাদের বিজয়ের কাহিনী,তাদের রচিত বিভিন্ন গ্রন্থে লিখে রেখে গিয়েছেন। স্থানীয় হিন্দুদের প্রতি তাদের আচরণ, তাদের প্রতি তাদের ঘৃণা-বিদ্বেষ-অত্যাচার,দেবালয় ধ্বংস ও রূপান্তর প্রভৃতি কাহিনীর - কোন কিছুই আর এই তথ্যপ্রযুক্তির যুগে গোপন নেই। তাদের আচরণ তালেবান - আই এস শাসকদের থেকেও নৃশংস ছিল। তার ফলে ভারতের বিরাট সংখ্যক মানুষের মানসিকতার বিরাট পরিবর্তন ঘটে গেছে। হিন্দুরা অন্য দেশে গিয়ে নারী নির্যাতন করেনি, লুণ্ঠন করেনি,গণহত্যা করে নি।তারা নিজেরা বিদেশি দখলদার কর্তৃক অত্যাচারিত হয়েছে। সেই ইতিহাস গোপন করে রাখা তো কোনো মহত্বের কাজ হতে পারেনা।

স্পেন ও পর্তুগাল দীর্ঘদিন আরব দ্বারা শাসিত হয়েছে। কিন্তু দখলদার আরবদের বিরুদ্ধে তাদের বিজয় লাভের পর, একজন  আরব-ও জীবিত ফিরে যেতে পারেনি।সেই সঙ্গে  সমস্ত নিরীহ ইহুদিদের পর্যন্ত তারা মেরে ফেলে - যা ইতিহাসে রিকনকুইস্তা নামে পরিচিত।
ব্রিটিশ ন্যায্য ভাবে ভারত বর্ষ ভাগ করে দিয়ে যায়। ভারতের ভাগে যত সংখ্যক মাইনরিটি ছিল ; পাকিস্তানেও সমসংখ্যক মাইনরিটি ছিল। ব্রিটিশ উভয় দেশকে বলেছিল, মাইনোরিটি বিনিময় করে নিন। কিন্তু ঝামেলা বাঁধাল ভারতের সেক‍্যুলাররা। নেহরু বললেন, পাকিস্তান থেকে  মুসলমানরা এসে ভারতের মাইনরিটির মনোবল বৃদ্ধি করুক। পরে তারা  ভারতকে যে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে পরিনত করল, সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠের জন্য কোন অসুবিধা নেই, মাইনরিটির জন্য বিশেষ সুবিধা রাখা হয়েছে। ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে বিরাট বৈষম্য করা হয়েছে। এর ফলে ভারতের হিন্দু জনসংখ্যা হার দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে,আর মাইনরিটির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে, আগামী ৫০ বছরের মধ্যে ভারত অস্তিত্ব সংকটে পড়ে যাবে।

ভারত রাষ্ট্রটি হিন্দু জাতির শেষ ভরসা। ভারত রাষ্ট্রটি ধ্বংস হয়ে গেলে, হিন্দুজাতি পৃথিবীর বুক থেকে মুছে যাবে। আমার কাজ সত্যানুসন্ধান করা এবং স্বজাতিকে সতর্ক করে দেওয়া।

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted