"ট্রাম্পের সফরকে লক্ষ্য করেই দিল্লীতে শুরু হয় হিংসাত্মক কর্মকান্ড"
বাংলাদেশে পুলিসের সাথে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ শত শত বার হয়েছে। পুলিস বা সাধারণ কেউ নিহত হলে আমরা কি তা নিয়ে কারও মাঝে উত্ফুল্লতা দেখেছি? না, আমরা দেখিনি কারন আমরা কোনসময়ই সহিংস আন্দোলনকে মেনে নিতে পারিনি মানবিক কারনে। কিন্তু একদল দিল্লীতে পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে সামাজিক মাধ্যমে উল্লাস প্রকাশ করছে। যেন বিষাক্ত পিশাচ।
গান্ধী অসহিংস আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন কিন্তু চৌরিচাওরার পুলিস হত্যার পর আন্দোলন থেকে সরে এসেছিলেন।
আজ দিল্লীতে পুলিস সদস্যরা যখন লাঠি হাতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ব্যস্ত ছিল তখন আন্দোলনকারীদের হাতে হাতে বন্দুক ছিল। এই বন্দুকগুলি কিভাবে আন্দোলনকারীদের হাতে এলো? সরকার কেন এসব জানতো না? ট্রাম্পের দিল্লী সফরের সময় যখন নিরাপত্তা ব্যবস্থা সবচেয়ে শক্ত থাকার কথা ছিল তখন কি করে জঙ্গীবাদীরা আন্দোলনে যুক্ত হল?এরপর রতনলালকে গুলি করে হত্যা করে যারা উত্ফুল্লতা প্রকাশ করছে, তাদেরকে কেন সরকার এরেষ্ট করছেনা? এ আন্দোলন অহিংসতার আড়ালে একটি সহিংস আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল -কেন সরকার তার বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নিলোনা? একে কি আন্দোলন বলা চলে? এতো এতো গুলি এতো এতো হত্যা কান্ড ঘটার পর যারা আনন্দ প্রকাশ করছে তারা কারা? তারা যদি ভারতে বাস করে তবে তাদের অবশ্যই প্রকাশ্য বিচার হওয়া দরকার। অহিংস নাম দিয়ে যে সহিংসতার চর্চা করা হচ্ছে তা এবার বন্ধ করতেই হবে। চক্রান্ত বহুদূর থেকে করা হচ্ছে তাই পাকিস্তানী কার্তুজ পাওয়া গেছে। অহিংস নীতি অক্ষুন্ন রাখতে এই সহিংস হিংসাশ্রয়ী পরিবেশ থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে হবে । মানুষের মধ্যে মিথ্যা তথ্য বিলিয়ে যারা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে তাদেরকে জেলে পুডতে হবে। আর মোদী সরকার আইন করার আগে গ্রাউন্ড সিচুয়েশন বিচার না করে অন্যায় করছেন এবং একে প্রশাসনিক ভাবে মোকাবিলা না করে দীর্ঘায়ীত করে জটিল করেছেন। শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে যাই বলুক তিনি লৌহমানবী- আর তার ফলে লাভ হচ্ছে দেশের। শাপলা চত্তরের লক্ষ লক্ষ জনতাকে কয়েক মিনিটে দমাদম সাফ করে ফেলেন। কতলাশ পড়ল কেউ জানেনা। কেউ বলে হাজার; কেউ বলে শত। সরকার বলল কুড়ি। ব্যাস সব মাথা নীচু করে পালাল। মোদীর নেতৃত্বে তেমন দৃঢ়তার অভাব সুস্পষ্ট। এই দুর্বলতা না কাটালে ভারতে আইনশৃংখলা রক্ষা করা যাবেনা। ধর্মের আড়ালে পাকিস্তানের এজেন্টরা এই অবস্থার সৃষ্টি করেছে।
এটা আসলে হিন্দু মুসলিম লড়াই নয়। এটা হচ্ছে আইনমান্যকারী এবং আইন অমান্যকারীদের লড়াই। গনতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার আইন প্রনয়ন করার জন্যই ক্ষমতায় যায়। কারোও দয়ায় যায়না; ভোটে জিতে যায়। কিছু মানুষ আইন অমান্য করলে আইনী ও প্রশাসনিক উপায়ে তাদের মোকাবেলা করতে হবে। কোন করুণা বা আপোষ মোটেই কাম্য হতে পারেনা। পুলিশ হত্যাকারী আন্দোলনকারীদের গান্ধী ত্যাগ করেছিলেন, বর্তমানের গান্ধীবাদীরা কি পুলিশ হত্যাকারীদের সংসর্গ ত্যাগ করতে পারবে? কোথায় এখন মানবতাবাদীরা?
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................