ইসলামিক ছাগুদের কমন একটা বিষয় হচ্ছে নাস্তিক বলতেই তারা বামপন্থী।
ইসলামিক ছাগুদের কমন একটা বিষয় হচ্ছে নাস্তিক বলতেই তারা বামপন্থী বলে চালিয়ে দেয়। তার জলজ্যান্ত উদাহরণ ইসলামিক জঙ্গি পেইজ নয়ন চ্যাটার্জী বইমেলায় জামাত দিয়ে হুজুরদের নামাজের বিরোধিতাকারীদের বামপন্থী হিসেবে ট্যাগ মেরেছে। প্রকৃতপক্ষে বামপন্থীরা বইমেলায় হুজুরদের নামাজের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। নাস্তিকদের বামপন্থীরাই 'ইসলাম বিদ্বেষী' বলে। বিগত বছরগুলিতে এই বামপন্থীরাই ইসলামের পক্ষে প্রকৃত সৈনিক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। তারাই নাস্তিকদের বিরুদ্ধে ইসলাম অবমাননার অভিযোগ তুলেছে। কেউ বাথরুমে কুরআন রাখলে ইসলাম বিদ্বেষের অভিযোগ তুলেছে। কুরআনের উপর চায়ের কাপ রাখলেই তারা দেশে দাঙ্গা বাঁধার হুমকি দেয়। হুজুররা কুরআন ছেঁদা করে ইয়াবা পাচার করে। কুরআনের সামনে ধর্ষণ করে। কুরআন পুড়িয়ে গুলিস্তান ভরিয়ে ফেলেছিল। তাই বলা চলে হুজুরদের চেয়ে ইসলাম অবমাননা নিয়ে বামেরা সবচেয়ে সতর্ক। কিন্তু ট্রাজেডি হচ্ছে এতকিছু করেও ইসলামিকদের কাছে বামাতীরা ইসলাম বিরোধী! ছাগুদের এটা জানার ভুল নয়। এটা তাদের একটা কৌশল। অন্য দিকে বামাতীরা নিজেদের ইসলাম বিরোধী প্রচারণা থেকে উদ্ধার হতে এখন "মোহাম্মদী নাস্তিক " টাইপ একটা টার্ম বের করেছে। এরা নবী মুহাম্মদের সব রকম বিতর্কিত চরিত্রকে আড়াল করতে অনলাইনে ফাইট চালায়। জঙ্গিদের আড়াল করতে সব দোষ নন্দঘোষ আমেরিকা ইউরোপের উপর চাপিয়ে ইসলামিক খিলাফতবাদীদের জিহাদকে পৃষ্ঠপোষকতা করে চলেছে। আরবী নামের বামাতীরা ইউরোপ আমেরিকায় বসে ইসলাম বিদ্বেষী বলে নাস্তিকদের বিরুদ্ধে অনলাইনে জিহাদ চালিয়ে 'সৃজনশীল নাস্তিকতা ' নাম দিয়ে ইসলামাবাদ থেকে হিন্দু ভারত ইহুদি সেক্যুলার বিরোধী প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে। এরমধ্যে সুইডেন প্রবাসী এক বামাতী গোলাম সরওয়ার নামের একজন মোহাম্মদী নাস্তিকতা চালিয়ে বাংলাদেশের নাস্তিকদের বিজেপি আরএসএস এজেন্ট, র মোসাদের টাকায় ইসলামের বিরুদ্ধে লেখালেখি চালায় বলে নিয়মিত খিস্তি করে চলেছে। দেশে যখন ইসলামিক মৌলবাদের উত্থান চলছে তখন অনলাইনে সীমিত স্পেসে কাজ করা নাস্তিকদের বাংলাদেশের জন্য হুমকি বলে প্রচার করছে। সেক্যুলার লেখকদের নিয়ে নানা রকম অপপ্রচার, অসত্য তথ্য প্রচার কোনটাই বাদ নেই। সুষুপ্ত পাঠকের পরিচয় ঠিকানা বের করার চেষ্টা ইসলামিকদের বরাবরই ছিলো। এখন "মোহাম্মদী বামাতীদেরও" সেই প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে। আসিফ মহিউদ্দীন কোথায় চাকরি করে, বাসা কোথায়, বেতন কত এগুলো বেরিয়ে আনার জন্য সম্প্রতি তাদের প্রচেষ্টা আমরা দেখেছি। এখন নতুন উৎপাত সুষুপ্ত পাঠকের পরিচয় বের করতে ফাঁদ তৈরি করা। সরওয়ার ইনবক্সে সেক্যুলার অন্যান্য লেখকদের কাছে গিয়ে তাদেরকেই সুষুপ্ত পাঠক বলে দাগিয়ে দিচ্ছে! অনেকেই আমাকে ব্লগ জমানায় সরাসরি চিনতেন। তারা যাতে অসাবধানতাবশত আমার সম্পর্কে তথ্য দিয়ে ফেলেন এই তাদের আশা। যেমন জাকির তালুকদার আমাকে আরএসএসের ভাড়াটে লেখক বলে পোস্টে উল্লেখ করায় কেউ একজন তাকে নিশ্চিত করেছে আমার হিন্দুত্ববাদী হওয়ার দূরতম কোন কারণ নেই। এইভাবে সে আমার বিষয়ে নিশ্চিত হয়েই আরেকজনের কাছে ইনবক্সে বলেছেন সে আমার নাড়ি নক্ষত্র সব জানেন! সম্প্রতি সরওয়ারের এরকম একটি ইনবক্সের স্ক্রেণশর্ট আমার হাতে এসেছে যেখানে সে আমাদের একজন সুলেখককে সুষুপ্ত পাঠক হিসেবে দাবী করে অন্ধকারে ঢিল ছুড়েছেন। কাজেই সবাই সাধু সাবধান! তথ্য বের করার চেষ্টা চলছে। সবাই সবার তথ্য রক্ষা করে চলুন।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................