মানুষ কতখানি গার্বেজ হলে পরে "কট্টর ধার্মিক" "কট্টর সেকুলার" শব্দ দুটি সমান্তরাল ও সমার্থক হিসেবে ব্যবহার করতে পারে?
বলছিলাম পারভেজ আলমের কথা। ব্লগার হিসেবে তিনি যে বিদেশে এসাইলাম নিয়েছিলেন তার কারণ ছিলো কট্টর ধার্মিক মুসলমান জঙ্গিরা তার প্রাণহীন ঘটাতে পারে। কোন "কট্টর সেক্যুলারের" ভয়ে কি তাকে দেশ ছাড়তে হয়েছিল? দিনের পর দিন খিলাফত জিহাদের মত মধ্যযুগীয় অসভ্য চিন্তার পক্ষে গার্বেজ লেখার কারণে কোন "কট্টর সেক্যুলার" কি তাকে হত্যার উশকানি দিয়েছিল?
দেয়নি। বরং আমেরিকার বিচারসভায় আইনপ্রণেতা হিসেবে মুহাম্মদের মূর্তি থাকার কথা লেখার কারণে নয়ন চ্যাটার্জী নামের ইসলামিক জঙ্গি পেইজ থেকে তার বিরুদ্ধে উশকানি দেয়া হয়েছিল। তবু সেক্যুলাররা সমানভাবে তাদের কাছে কট্টর উগ্র! ফ্রড মজহারের শিষ্য হিসেবে পারভেজের সেক্যুলার চুলকানি অবশ্য খুব কমন একটা রোগ!
সম্প্রতি জুনায়েদ সাকির মসজিদ রাজনীতির পক্ষে দালালী করতেই সেক্যুলারদের ধার্মিকদের মতই কট্টর বলা হয়েছে কারণ সাকির মসজিদে গিয়ে বয়ান দেয়া নিয়ে বামেদের ডাইনে মোড় নেয়ার ঘটনায় ফেইসবুকে হাসি ঠাট্টা করেছে নাস্তিক সেক্যুলাররা। দেশটাকে ইরানের আদলে ইসলামিক কমিউনিস্ট শাসনে আনার খোয়াব বহু বামের দীর্ঘদিনের। এটা করতে হলে ইসলাম নিয়েই রাজনীতি করতে হবে। বাংলাদেশে এই তত্ত্বের প্রধান পুরুষ ফরহাদ মজহার। অনলাইনে এনার এক্টিভ শিষ্যদের বেশিরভাগ সাম্রাজ্যবাদীদের দেশে বাস করে ফেইসবুকের চিপায় চুপায় ঘাপটি মেরে বিপ্লব ফলায়। এরা এখন মসজিদকে সকল রাজনৈতিক সামাজিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের কেন্দ্র করতে প্রচার চালাচ্ছে। যেমন পারভেজ আলম লিখেছে, "মসজিদ জিনিসটা নবীর আমলে পুরোপুরি একটা পাবলিক প্লেস ছিল বলেই মনে হয়। মসজিদ শুধু তার অনুসারীদের এবাদতের জায়গাই ছিলনা, সামাজিক কেন্দ্র এবং রাজনৈতিক সংসদও ছিল। "
কট্টর ধার্মিকরা নাকি মসজিদকে শুধু ধর্মকর্মের কেন্দ্র বানিয়ে ফেলেছে। এখন তাহলে আমাদের রাজনীতি সামাজিকতা মসজিদকে কেন্দ্র করে করতে হবে? সেক্যুলারিজম বলে রাষ্ট্রকে ধর্ম থেকে আলাদা করতে হবে। নরেন্দ্র মোদী মন্দিরকে রাজনৈতিক কেন্দ্র বানালে হিন্দুত্ববাদ ভারতকে দুইভাগ করে ফেলবে! পারভেজ আলমের ভাইরা ভারতে সেক্যুলার সংবিধান লঙ্ঘন করলে দেশভাগের হুমকি দেন। আমেরিকা ইউরোপ চার্চকে রাজনীতির কেন্দ্র বানালে ফ্রড মজহার ও তার আন্ডাবাচ্চারা সবাই একরাতের মধ্যে সেক্যুলার হয়ে চেঁচানো শুরু করে দিবে। এত ভন্ড এত শঠ এরা!
পারভেজ আলম এক জায়গায় লিখেছেন, "কট্টর ধার্মিক ও কট্টর সেকুলাররা সারা বাংলাদেশ জুরে ছড়িয়ে থাকা হাজার হাজার মসজিদকে, এই পাবলিক স্পেসগুলাকে পবিত্রতার আবরণে জড়িয়ে রাখতে চান; সর্বজনের ব্যবহার থেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে চান। ...মসজিদকে সর্বজনের অধিকারে ফেরত আনাটা তাই একটি বিপ্লবী কাজ।"
মুহাম্মদ নিজে মুনাফিকের মসজিদ নাম দিয়ে নিজের জন্য ও তার অনুসারীদের জন্য মদিনায় প্রতিষ্ঠিত একটি মসজিদকে অপবিত্র ও তা নামাজের জন্য বয়কট করেন এবং পরবর্তীতে সেটাকে ভেঙ্গে মলমুত্র ত্যাগের স্থান বানান। পারভেজ আলম কুরআনের এই আয়াতের কথা জানেন না সেটা আমি ধরে নিলাম। অপরদিকে সেক্যুলাররা মসজিদ মন্দির গির্জাকে সব সময় রাষ্ট্র রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে চায়। আর মসজিদকে ফের রাজনীতি হাতিয়ার করাটা যে বামাতীদের একটা বিপ্লব সেটা তো তাদের স্বীকারোক্তিতে প্রমাণিত। অবধারিতভাবেই তাই মোল্লাতন্ত্র আর ইসলামিক বিপ্লবীদের এখন কমন শত্রু সেক্যুলার নাস্তিক প্রগতিশীলরা। তারই প্রতিফলন ঘটছে সবখানে ...।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................