আমরা মুসলমান জঙ্গিরাও মুসলমান।

দুটি মুসলিম ভাই যখন ক্রিকেট খেলে তখন লাঞ্চ ব্রেককে তারা জুম্মা ব্রেক বানিয়ে ঢেলে। বাংলাদেশ পাকিস্তান টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টে নির্ধারিত লাঞ্চ ব্রেক ৪০ মিনিটকে বাড়িয়ে ১ ঘন্টা করা হয় জুম্মার জামাতের জন্য! বাংলাদেশ পাকিস্তান টিমের 


খেলোয়াড়দের জুম্মার নামাজের জন্য টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এই বিরল ‘জুম্মা ব্রেক’ ঘটে গেলো। আলহামদুরিল্লাহ, আমরা যদি মুসলিম দেশ হিসেবে আইসিসিতে সংখ্যায় বেশি হতাম তাহলে ক্রিকেটের সঙ্গে ইসলাম মিশিয়ে এতদিনে ‘ইসলামিক ক্রিকেটের’ জন্ম দিতাম। আমাদের ইসলামিক ব্যাংকিং আছে, ইসলামিক গেইমস, ইসলামিক সাহিত্য, ইসলামিক অর্থনীতি, ইসলামিক আরো শত শত জিনিস থাকার পরও এখন পর্যন্ত ইসলামিক ক্রিকেট ইসলামিক ফুটবলের জন্ম দিতে পারিনি। দিতে পারলে সারা বিশ্বকে টাকনু পর্যন্ত প্যান্ট পরে ফুটবল খেলাতে বাধ্য করাতাম। অলরেডি ইরান হিজাব পরে এসে তাদের দেশে নারী এথলেটেডদের বাধ্য করেছিলো খেলতে। গোটা বিশ্বকে কব্জা করতে পারলে আমরা হয়ত কাফেরদের খেলাধুলার অধিকারই কেড়ে নিতে পারতাম!

আরেকটা কথা, পাকিস্তান সফর নিয়ে আমরা হুদাই ডরাইছি। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের উপর পাকিস্তানের আইএস তালেবান লস্কর জইশ মুহাম্মদের জঙ্গিদের হামলা করার কোন সম্ভাবনাই ছিলো না। কারণ আমরা মুসলমান জঙ্গিরাও মুসলমান। আমরা সুন্নি ওরাও সুন্নি। কাফের মুশরিক ছাড়া জঙ্গিরা কোন সুন্নি মুসলমানের উপর হামলা চালায় না। মুশফিকের মত মুমিন এই দিকটা চিন্তা করে দেখে নাই। গাধা একটা!

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted