একশো কোটি কাফের বনাম ২৫ কোটি 'শান্তির দুত।

একশো কোটি কাফের বনাম ২৫ কোটি 'শান্তির দুত'
মৃনালানন্দ হিন্দু

হিন্দুস্তানে (ভারত লেখা বাদ) প্রায় ১০০ কোটি হিন্দু। সাধারন দোকানদার থেকে শুরু করে পৃথিবীর তৃতীয় ধনী (মুকেশ অম্বানী) আমাদের হিন্দু। ( হিন্দু ধর্ম পালন না করলেও হিন্দু বাবা মায়ের সন্তান তো আপনারা সবাই।)


যারা আমাদের ঘৃনা করে, যাদের কাছে আমরা মালায়ুন, কাফের, যারা বলে একজন কাফেরকে মারতে পারলে 'গাজী' হয়া যায় ( ইতিহাস বলে ১২ বছরের আকবর দিল্লীর হিন্দু রাজা হিমু যখন চোখে তীর লেগে মাটিতে পড়েছিলেন তখন সেই আহত হিমুর মাথা কেটে নিয়ে ছিলো, কারন 'গাজী' উপাধি পাওয়া যাবে)

তাহলে, এই ১০০ কোটি হিন্দু (আসল এবং নামধারী) যদি প্রতিজ্ঞা করে, যারা আমাদের ঘৃনা করে, আমাদের সংগে প্রতারনা করে আমাদের দেশের তিন ভাগের একভাগ নিয়ে নিয়েছে, তার পর ও এখানে রয়ে গিয়ে নিয়ত আমাদের সর্বনাশ করে চলেছে তাদের দোকানে খাবো না, তাদের থেকে কিচ্ছু কিনবো না, তাদের কাছে কাজ করবো না, কাজ দেবো না, বন্ধুত্ব করবো না, ঘোরা ঘুরি করবো না, তাহলে এই ২৫ কোটি কি করবে ,কি দশা হবে?????? 

এই রকম 'অসহযোগ আন্দোলন হিন্দুরা করেছিলো ইংরেজের বিরুদ্ধে। 

চারন কবি মুকুন্দ দাস গেয়েছিলেন--- "ছেড়ে দে রেশমী শাড়ি, বঙ্গ নারী , কভু আর পরিস না"। সেটা 'বঙ্গ ভঙ্গ'এর সময়। বাঙ্গালী সব ইংরেজী জিনিষ পত্র বয়কট করেছিলো। ইংরেজ মাথা নত করতে বাধ্য হয়েছিলো।

সেই বাঙ্গালী হিন্দুরা আজ-- দেদার বিরীয়ানী খাচ্ছে আমিনিয়া, আরসালানে, শেরোয়ানী পরে বিয়ে করতে যাচ্ছে, পুজা পার্বনে ধুতি পাঞ্জাবী ঊঠে গেছে, আর বাপ ঠাকুরদার পাঞ্জাবী হয়ে গেছে আফগানী পাঠানদের লম্বা ঝোলা (দেখতে বিশ্রী), ধুতি পরা, বিক্রি বন্ধ কারন চোংগা পাজামা যা নেহেরু পরতো, সেটাই চল হয়েছে। হাজি গাজিদের না হলে বাড়ি করা যায় না, তাদের ডেকে এনে বাড়িতে জায়গা দিয়ে নিজের মেয়েকে পড়ানোর নাম করে প্রেমের যুযোগ করে দেওয়া হয়, মেয়েটি ইলোপ হয়ে গেলে খুব একটা মনঃকষ্ট হয় না। 

আমি এখন একজন উগ্র হিন্দু। তাই আমার দেশ মাকে কেউ গাল দিলে আমি তার নামে বাংলা অভিধানের সর্বোথৃষ্ট গাল বেছে বেছে দেবো উত্তম ভাষায়। আমার দেশকে আবার টুকরো করার শ্লোগান দিলে আমি তাকে ( আমার কোনো ক্ষমতা না থাকলেও) গদ্দার এর সমতুল্য করে আমার লেখায় তুলোধনা করবো, না হয় একটা মহাকাব্যই লিখে নিজের পয়ষা ( সারদা নারদার নয়,একেবারে আয়কর দেওয়া টাকা)  খরচ করে ছাপিয়ে বিনা মুল্যে বিতরন করবো। আর আমাকে মেরে দিলে তোমরা এসে কেওড়াতলায় নিয়ে যেও, কারন আমার ছেলে জার্মানী থেকে উড়ে আসার আগেই ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে যাবে। যোগী সম্প্রদায়ের হিন্দু তাই মাটিতে পুতে দিলেও আপত্তি নেই ( যোগীদের মৃতদেহ আগে পোড়ানো হতো না, পুতে দেওয়া হতো) । তোমাওরা কেউ মুখে আকটু আগুন দিয়ো তাহলেই চলবে। অনেক ভাইপো আছো তো!!!! 

আমি বলি কি -- 
" হিন্দু ভজো, হিন্দু চিন্ত, হিন্দু করো সার।
হিন্দু বিনা হিন্দুস্তানে উপায় নাইকো আর।।"

ইতি---- মৃনালানন্দ হিন্দু

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted