দাঙ্গা কেন হয় ?
আমরা যারা সাধারন মানুষ, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কেউ দাঙ্গা চাই না। তাহলে দাঙ্গা কারা করছে? দাঙ্গার কারণ সমূহ যদি আমরা চিহ্নিত করা যায়, তাহলে সম্ভাব্য দাঙ্গার কবল থেকে নিরীহ মানুষদের রক্ষা করাও সহজ হবে।
পাকিস্তানে বা আফগানিস্তানে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয় না। কেন হয় না? ওখানে সাংবিধানিক ভাবে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। ওই দুই রাষ্ট্রে বসবাসকারী সংখ্যালঘুদের দাঙ্গা করা দূরে থাকুক, অস্তিত্ব-ই টিকিয়ে রাখতে পারে নি। ওই বিষয়ে আমি আর কোন কথা বলবো না ; আলোচনা করা যাক, ভারতের দাঙ্গা প্রসঙ্গ-এ।
আমি স্বাধীন ভারতের দাঙ্গার ইতিহাস নিয়ে নাড়াচাড়া করতে গিয়ে দেখলাম, হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে সাধারণত দাঙ্গা হয় না ; সিংহ ভাগ দাঙ্গা-হাঙ্গামা হয়, মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলে। সাম্প্রতিক দিল্লির দাঙ্গা-ও সংঘটিত হয়েছে, মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলে। সেক্যুলারিজমের ভেকধারী তাহির হোসেনের মহাপরিকল্পনায় সংঘটিত দিল্লির দাঙ্গায় - অন্যান্য সব দাঙ্গার মতোই - অধিক ক্ষয়-ক্ষতির শিকার হয়েছে, হিন্দুরা। অথচ ইরানের মতো দেশ- যেখানে কোন বিধর্মী-কে জীবিত থাকতে দেওয়া হয় নি - সেই দেশ ইরান, জাতিসংঘে ভারতের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত মুসলিম গণহত্যার অভিযোগ এনেছে।
বিষয়টি এমন, একচেটিয়া মার খেয়ে যাচ্ছে হিন্দুরা ; আবার অপপ্রচারের শিকার হয়ে, বদনামের ভাগিও হচ্ছে হিন্দুরা। এখন কথা হচ্ছে, হিন্দুদের এই পরিণতির জন্য - কে বা কারা দায়ী ?
এজন্য দায়ী সেক্যুলারিজম নামক এক মারাত্মক ভাইরাস। এই ভাইরাস টিকিয়ে রেখেছে - লালন পালন করেছে, গান্ধী-নেহেরু পরিবার। ১৯৪৭ সালের আগে যারা 'লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান' - বলে হিন্দুর গলা কাটতো ; পার্টিশনের পরে তারা পাকিস্তানে যেতে চাইলে, জওহরলাল নেহেরুর নেতৃত্বে সেক্যুলাররা তাদের পাকিস্তানে যেতে দেয়নি।
সেক্যুলাররা তাদের ভারতে রেখে দিয়েছে, হিন্দু জাতিকে তিলে তিলে শেষ করে দিতে। সেক্যুলারিজমের মুখোশ পরিহিত তাহির হোসেন, পিস্তল শাহরুখের মতো পাকিস্তান-পন্থীদের মাষ্টার মাইন্ড - ভারতের প্রতিটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার নেপথ্যে।
সেক্যুলার নেহেরু, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত জাতিসংঘের ভেটো পাওয়ার গ্রহণ করেনি ; কারণ ভেটো পাওয়ার পেলে হিন্দু জাতির বৈশ্বিক প্রভাব বেড়ে যাবে। সেক্যুলার গান্ধী-নেহেরু পরিবার, হিন্দুদের গরিব বানিয়ে রাখতে - আমেরিকা, ইউরোপ ও জাপানের বিনিয়োগ, ভারতে ঢুকতে দেয়নি ; কারণ ওই বিনিয়োগ ঢুকলে হিন্দুরা ধনী হয়ে যাবে ; হাতে টাকা এলে হিন্দুরা শিক্ষিত হবে - শিক্ষিত হিন্দুরা ভারত ভূমিতে টিকে থাকার কৌশল খুঁজে পাবে।
সেক্যুলার সরকার, হিন্দুদের ধর্ম শিক্ষা নিষিদ্ধ করে, সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় শিক্ষায় প্রণোদনা দান করতে থাকে - যাতে হিন্দুদের ধর্মান্তরিত করে,তারা হিন্দু জনসংখ্যা-কে টপকে যেতে পারে। হিন্দু জাতিকে স্থায়ীভাবে বিভক্ত করে রাখতে,অর্থনৈতিক প্রেক্ষিতে সংরক্ষণ না দিয়ে, বর্ণভিত্তিক সংরক্ষণ ব্যবস্থা চালু করে - সেক্যুলার ষড়যন্ত্রকারীরা।
শুধু তা-ই নয়,হিন্দুরা যাতে ধর্মান্তরিত হতে উৎসাহিত হয়,এজন্য সেক্যুলার সরকারগুলো,হিন্দুদের বঞ্চিত করে, সংখ্যালঘুদের জন্য বিশেষ আর্থিক সাহায্য প্রদানের ব্যবস্থা করে। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, হিন্দুরা না বুঝে - ঐ সমস্ত সেক্যুলারদের বছরের পর বছর ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে - নিজেদের মৃত্যুর কূপ নিজেরাই খনন করেছে।
না। ভুল অনেক হয়েছে। আর নয়। ভারতে ৯৮% আয়কর দেয় হিন্দুরা। হিন্দুর রক্ত জল করে আয় করা টাকা দিয়ে, হিন্দুর শত্রুদের পরিপুষ্ট করতে দেওয়া যাবে না! হিন্দুদের আত্মরক্ষা ও অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে, ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ব্যবস্থা নামক প্রতারণার ফাঁদটি-কে ধ্বংস করে দিতে হবে। দীর্ঘদিন ধরে গড়ে ওঠা এই প্রতারক চক্র-কে উচ্ছেদ করা, একদিনের কাজ নয় - সহজ কাজ নয়। আবার অসম্ভবও নয়।
ভুল অনেক হয়ে গেছে। ভুলের পুনরাবৃত্তি আর একটুও হতে দেওয়া যাবে না । হিন্দুদের প্রতিটি পদক্ষেপ এখন থেকে অত্যন্ত হিসাব-নিকাশ করে ফেলতে হবে।
হিন্দুরা যদি সেকুলারদের ক্ষমতার বাইরে রাখতে পারে, তাহলে সেক্যুলাররা হিন্দুদের আর তেমন কোন স্থায়ী ক্ষতি সাধন করতে পারবেনা না। তাতে তারা যতই সাম্প্রদায়িক-সহিংসতা করুক, উলঙ্গ হয়ে মাসের পর মাস রাস্তায় বসে থেকে, অসামাজিক কার্যকলাপ করুক। কাজেই এ জন্য প্রতিটি হিন্দুকে প্রতিজ্ঞা করতে হবে যে, তারা ভুলক্রমেও আর সেক্যুলারদের একটা ভোট দেবে না। সেক্যুলারদের ভোট দেওয়ার মানে হচ্ছে, নিজের ধর্ম ও জাতির সাথে বেইমানি করা। কিন্তু সাধারণ হিন্দুরা বিষয়টা বোঝে না ; তারা সেক্যুলারদের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হচ্ছে। এ জন্য যারা সচেতন হিন্দু, তাদের কর্তব্য - সাধারণ হিন্দুদের বোঝানো যে, সেক্যুলারদের ভোট দিয়ে নিজেদের ধ্বংস ত্বরান্বিত করবেন না। সেক্যুলারদের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার মানে হচ্ছে, পাকিস্তানপন্থীদের ক্ষমতা থেকে দূরে রাখা। হিন্দু ভোট যদি একত্রিত হয়,তাহলে পাকিস্তানপন্থীরা চিরদিনের জন্য ক্ষমতার বাইরে ছিটকে যেতে বাধ্য। তারপর ধাপে ধাপে শাসনতন্ত্র পরিবর্তন করে, কল্যাণ রাষ্ট্র স্থাপন করা যাবে।
রচয়িতা
-------------
দেবাশীষ মুখার্জী।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................