এতকাল শুনে আসছিলাম ভারতে হিন্দুরা মুসলমানদের গরুর মাংস খেলেই পিটিয়ে মারে, নামাজ পড়তে বাধা দেয়, নির্যাতিত নিপীড়িত মোসলেমদের রক্ষা করতে বাংলাদেশ থেকে পীর সাপ চরমোনাই তাই ভারত আক্রমণ করতে প্রায়ই হুংকার দিত। এখন শুনলাম ভারতে করোনা সংক্রমক রোধে মন্দিরগুলো জমায়েত বন্ধ করতে পারলেও মসজিদগুলো বন্ধ করা যাচ্ছে না!
দিল্লিতে তাবলীগ জামাতে যোগ দেয়া ৬ জন মুসল্লি করোনায় মারা গেছে। দিল্লির বাংলাওয়ালী মসজিদে জামাতে নামাজ পড়া দুই হাজার মুসল্লি ও তাবলীগে যোগ দেয়া সবার মধ্যে ব্যাপকভাবে করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশংকা করা হচ্ছে। তাহলে কি লাভ হচ্ছে লকডাউন করে মসজিদ খোলা রেখে? নরেন্দ্র মোদী যেহেতু কসাই নাম কিনেছেনই, এবার সবার মঙ্গলের জন্য মসজিদগুলো গায়ের জোরে বন্ধ করে দিন!
ছোঁয়াচে রোগ সংক্রমণ ছড়ানো একটি ফৌজদারি অপরাধ। টুপি পরে যারা এই লকডাউনে মসজিদে যাবে তারা ফৌজদারি অপরাধ করছে। এদের আইন দিয়েও প্রতিরোধ করা যায়। এই বদমাশগুলোকে এখনি আটকাতে না পারলে ভারতে মৃতের হার অস্বাভাবিক আকার ধারণ করতে পারে!
বাংলাদেশের 'সংক্রামক রোগ আইন, ২০১৮' অনুযায়ী সংক্রমক রোগ যারা ছড়াবে বা সরকারি নির্দেশনা অমান্য করবে তাদের ৩ মাসের জেল ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা যায়। এই ফৌজদারি অপরাধটাই করে চলেছে স্বয়ং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও বাইতুল মোকাররম মসজিদ। বাংলাদেশ সরকার এক দিকে জনগণকে ঘরে থেকে জনসমাগম এড়াতে বলছে অন্যদিকে ইসলামী ফাউন্ডেশন ও মসজিদগুলোকে দিয়ে লোকজনকে জনসমাগম করাচ্ছে! এটা রাষ্ট্রীয় বদমাশী!
ইসলামী ফাউন্ডেশন বলেছেন যারা মনে করবে মসজিদে আসলে সংক্রমণ হতে পারেন তারা আসবেন না। এটা হচ্ছে কটাক্ষ! ইমোশনাল ব্লাকমেইল। মসজিদ আল্লার ঘর এখানে আসলে কোন বিপদ হবে না। ইসলামী ফাউন্ডেশন যেন কটাক্ষ করে বলতে চাইছে যারা এই কথায় বিশ্বাস করবে না তারাই মসজিদে আসবে না ...।
বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর ইসলামী ফাউন্ডেশন করা হয়েছিল জাতিকে ইসলামী মৌলবাদী হওয়ার তালিম দিতে। না হলে কথিত ৭২ সালের ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশে ইসলামী ফাউন্ডেশন করা হলো কেন? জনগণকে কেন ধর্মের সুরসুরি দেয়া হলো? সেই ইসলামী ফাউন্ডেশন আজ বাংলাদেশের সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্যোগের সময় পুরো জাতিকে ধর্মান্ধ হতে উশকানি দিচ্ছে!
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................