"পশ্চিম বংগে নন্দী ভৃঙ্গী দের সঙ্গে নাচা নাচি করুন??"
ডাঃ মৃনাল কান্তি দেবনাথ
কলকাতার এক নামী দৈনিক সংবাদ পত্রের 'প্রধান সম্পাদক' এর সঙ্গে আমার ভালো পরিচয় ছিলো, এখনো আছে। তবে তিনি এখন আর সেই পত্রিকার সম্পাদক নেই।
আজ থেকে প্রায় ৪ বছর আগে, একদিন তার অফিসে বসে তাকে সরাসরি প্রশ্ন করলাম, " আপনারা জেনে শুনে পশ্চিম বঙ্গ কে এমন অন্ধকার গর্তে ফেলে দিলেন কেনো"?
আমার প্রশ্ন করার কারন, তখন সেই পত্রিকায় ( এবং আরো একটি বহুল প্রচারিত পত্রিকায় ) প্রতিদিন বাংলার দুইজন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবি , শিক্ষাবিদ নিয়মিত এক মহিলাকে ওপরে তোলার জন্য যা লেখার প্রয়োজন তার থেকেও বেশী বিশেষনে ভুষিত করে লিখতেন। এমন একটা সুর তাদের লেখায় থাকতো যে 'এই মহিলা রাজ্যের হাল ধরলে পশ্চিম বঙ্গ স্বর্গ ভুমি হবে'।
সেই পত্রিকায় লিখতেন দুজনে, আর একটি পত্রিকায় (দৈনিক প্রচারে দুই নম্বরে) 'প্রধান সম্পাদক' তার মৃত্যু অবধি লিখেছেন ,তারপর তার বোন লিখে গেছেন।
আমার বক্তব্য হলো, বর্তমান বাঙ্গালীর ঘাড়ের ওপরে মস্তিষ্ক অবশ্যই আছে, কিন্তু তারা সেই মস্তিষ দিয়ে ভাবে না। খবরের কাগছে যা লেখে তাই " আপ্ত বাক্য, চরম সত্য, " বলে মনে গেথে নেয়। সেই কথাই বাড়িতে, পাড়ার চায়ের দোকানে নিত্য আলোচ্য বিষয়। এই ভাবেই জনমত তৈরী হয়।
সুতরাং, ভোট কাকে দিতে হবে সে কথা বাঙ্গালী নিজের মাথা দিয়ে ভাবে না ,ঠিক করে না। বাঙ্গালী ভাবের ঘোরে আর কিছু পাবার লোভে ভোট দেয়। মতামত ঠিক করে দেয় 'খবরের কাগজ', টি ভি সাংবাদিকেরা।
তাই আমি প্রশ্ন করেছিলাম, ওই দুটি দৈনিক পত্রিকার একটির সম্পাদক কে। "আপনারা যখন প্রতিদিন, মাসের পর মাস এক 'পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডারে' ভোগা ব্যাক্তিকে এতো ওপরে তুললেন তখন কি বোঝেন নি "চোর তাড়াতে ডাকাত ডেকে নিয়ে আসছেন?"
সম্পাদক মশাই, তার মস্তিষ্ক নীচু করে বেলেছিলেন, ' আমরা ঠিক বুঝে ঊঠতে পারিনি'।
আমি তখন প্রশ্ন করেছিলাম, " তা এখন কি করবেন? বাংলা তো প্রায় শেষ, এবার শুধু অন্তর্জলি যাত্রার বাকী'।
তিনি উত্তর দিয়েছিলেন " আমি জানি না। আমার কাছে উত্তর নেই"।
ওই সম্পাদক মশায় পদত্যাগ করে দক্ষিন ভারতে মেয়ের বাড়ি বসে আছেন। অন্য পত্রিকাটির সম্পাদিকা ও আর নেই।
যারা লিখতেন তাদের একজন 'মন্ত্রী' হয়ে বসে আছেন, আর একজন বাড়ীতে বসে থাকেন, বোধ হয় ডিপ্রেশানে ভুগছেন। এদের লেখায় অনুপ্রানিত হয়ে যারা ভোট দিয়েছিলেন এবং লোভের বশে (কিছু পাওয়ার লোভে) মাথা থেকে সেই 'ভুত' নামাতে পারেন নি, তারা প্রস্তুত হোন, "ঈশ্বরের বিচারের জন্য"।
আপনারা সবাই পাপ করেছেন ৩৪ বছর, মহাপাপ করে চলেছেন বিগত ৯ বছর। আর কতো??? এবার প্রায়শ্চিত্ত করুন।
হ্যা, এটাও সত্যি। প্রায়শ্চিত্ত করবেন কিসের আশায়। ৩৪+৯= ৪৩ বছরে পশ্চিম বংগ তো 'জঙ্গল থেকে শ্মশান হয়ে গেছে'।
কিছু নন্দী ভৃঙ্গী সেখানে দাপাদাপি করছে। এবারে তাদের ই ধরুন। কিন্তু কিছু লাভ হবে না। 'পশ্চিমবঙ্গ' নামক এক মহা শ্মশানে ওই নন্দী ভৃঙ্গী দের সঙ্গে ধেই ধেই করে নাচুন-- এছাড়া আর কি উপায়?????
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................