পৃথিবীর সমস্ত জ্ঞানী মানুষের সমাবেশ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবী নিয়ন্ত্রণ করছে, জ্ঞান দিয়ে। পৃথিবীর সমস্ত জ্ঞানী মানুষের সমাবেশ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। তৎকালীন ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী কলকাতার দু'জন ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে,দু'টি প্রভাবশালী আব্রাহামিক ধর্মের চিন্তাবিদ দ্বারা - তাঁরা যেভাবেই হোক যথেষ্ট প্রভাবিত হয়েছিলেন। ওই দুই ব্যক্তিত্ব দেশে ফিরে, উভয় বঙ্গের শহর এলাকায় যে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বিশাল নেটওয়ার্ক গড়ে তোলেন, তা বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে। ওই দুই প্রতিষ্ঠানের  প্রথমটি, 'যত মত তত পথ' ও 'সর্বধর্ম সমন্বয়' -  নামক দু'টি তত্ত্ব প্রচার করে, আলোড়ন সৃষ্টি করে। পৃথিবীতে সহস্রাধিক ধর্ম আছে, তার মধ্যে ২২ টি ধর্ম অত্যন্ত জনপ্রিয় ; কিন্তু ওখানে উপাসনা করা হয় - কেবল মাত্র দু'টি টাকাওয়ালা আব্রাহামিক ধর্মের।  ওই দুই ধর্মের কেবল অর্থবল-ই শুধু নয়, লোকবল, বাহুবল,রাষ্ট্র সংখ্যা - সবদিক দিয়েই তারা হিন্দুদের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। ওই সমন্বয়বাদী ধর্মীয় সংগঠনে গিয়ে শক্তিশালী দুই আব্রাহামিক ধর্মের  উপাসনা দেখে - শিক্ষিত হিন্দু সমাজ, ওই ধর্ম দু'টির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে এবং ওই দুই আব্রাহামিক ধর্মের ধর্মগ্রন্থ পাঠ করে, শিক্ষিত হিন্দু সমাজ ধর্মান্তরিত না হলেও, ওই দুই বিদেশি ধর্মের প্রশংসায় তারা পঞ্চমুখ হয়ে ওঠে। ওই প্রশংসা-বাণী শুনতে শুনতে, সাধারণ অল্প শিক্ষিত হিন্দুরা, ওই দুই আব্রাহামিক ধর্মের প্রতি মোহাচ্ছন্ন হয়ে ওঠে।

হিন্দুরা বর্ণভেদে বিভক্ত। বিষয় বৈরাগ্যবাদের সর্বগ্রাসী প্রভাবে, হিন্দুদের মধ্যে দারিদ্র্যের হার অত্যাধিক। 

সর্বধর্ম সমন্বয়বাদী ধর্মীয় সংগঠনটি, সহজ-সরল হিন্দুদের মধ্যে, আব্রাহামিক ধর্ম দু'টির প্রচার ক্ষেত্র তৈরি করে দেয়ার ফলে -  ওই দুই বিদেশি ধর্মের ধর্মযাজকরা, টাকার লোভ দেখিয়ে - দরিদ্র ও অবহেলিত শ্রেণীর হিন্দু ও আদিবাসীদের সহজেই ধর্মান্তরিত করে ফেলতে সমর্থ হয়। উত্তর পূর্ব ভারতের পাঁচটি রাজ্যে হিন্দুরা রাতারাতি সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়ে যায়।

ভারতের সেক্যুলার পরিবারতান্ত্রিক শাসকরা, সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের বঞ্চিত করে,হিন্দুর প্রদত্ত ট্যাক্সের টাকায় - সংখ্যালঘুদের ধর্ম প্রচারে বেপরোয়া আর্থিক প্রণোদনা দিতে থাকে। তা আবার যেন-তেন প্রণোদনা নয়। যেমন,প্রতি বছর রাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে, সংখ্যালঘুদের বিমানে চাপিয়ে - রাজার হালে বিদেশ থেকে তীর্থ করিয়ে আনা হয়। অথচ হিন্দুদের নিজের দেশে তীর্থ করতে হলে, ট্যাক্স দিতে হয়। সরকারি সুযোগ সুবিধা প্রাপ্তির লোভে, বহু দরিদ্র হিন্দু, ওই দুই প্রভাবশালী আব্রাহামিক ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে ভারতে আশঙ্কাজনক ভাবে কমছে -  হিন্দু জনসংখ্যা হার।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষিত হয়ে আসা দ্বিতীয় ধর্মীয় সংগঠনটি, বাংলাদেশের ধনী হিন্দুদের হাত করে - বিশাল অর্থব‍্যয়ে ভুয়া ভিডিও দেখিয়ে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে যে, তারা পৃথিবীর প্রায় সমস্ত দেশের মানুষকে সনাতন ধর্মাবলম্বী বানিয়ে ফেলেছে। সহজ-সরল সাধারণ হিন্দুরা বিদেশের খবর জানেনা, তারা ঐসব দুষ্ট লোকের মিষ্টি কথায় প্রভাবিত হয়ে,ওই ধর্মীয় সংগঠনটি-তে যোগ দিয়ে - কল্পনার সমুদ্রে হাবুডুবু খাচ্ছে। ওই ধর্মীয় সংগঠনটি এখন পশ্চিমবঙ্গে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করছে।

ওই দ্বিতীয় ধর্মীয় সংগঠনটি, সনাতন ধর্মের মূল ধর্মগ্রন্থ সমূহকে আড়াল করে, পৌরাণিক কিছু কল্পকাহিনীকে অত্যন্ত অশ্লীলভাবে উপস্থাপনার পাশাপাশি - ওই দুই প্রভাবশালী আব্রাহামিক ধর্মের প্রবক্তা-দ্বয়ের নাম ও  মহত্ত্ব, এরা কূটকৌশলে কিছু পৌরাণিক গ্রন্থে ঢুকিয়ে দিয়েছে। এই ষড়যন্ত্রকারীদের অপকর্মের ফলে, সম্পূর্ণ বিজ্ঞান-নির্ভর পবিত্র সত‍্য-সনাতন ধর্মের উপর, অশ্লীল কল্পকাহিনীর কলঙ্ক-দাগ লেগে গেছে। 
যার ফলে এমন বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে - এখন অনেকেরই বদ্ধমূল ধারণা যে, ওই অশ্লীল কল্পকাহিনী-ই বুঝি,  সনাতন ধর্মের মূলতত্ত্ব। 

এই বিশেষ ধর্মীয় সংগঠনের আড়ালে লুকিয়ে থাকা - পূর্বোক্ত দুই প্রভাবশালী আব্রাহামিক ধর্মের ধর্মযাজকরা, সাধারণ হিন্দুদের মগজ ধোলাই করছে - এই বলে যে, দেখো তোমাদের ধর্ম কত অশ্লীল -নোংরা! আর তোমাদের ধর্ম গ্রন্থের মধ্যে আমাদের ধর্ম প্রবক্তার নাম উল্লেখ করে বলা হয়েছে - তাঁকে অনুসরণ করতে।

ওই সব বিকৃত পৌরাণিক গ্রন্থের  অশ্লীল উদ্ধৃতির বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে, অনেক সাদা মনের হিন্দু, ধর্মান্তরিত হয়ে - নগদ নারায়ণ লাভ করছে।

এই দুই ধর্মীয় সংগঠন এবং হিন্দু নামধারী সেক্যুলার রাজনীতিবিদদের  ষড়যন্ত্র অত্যন্ত গভীর। যা সাধারণ হিন্দুরা সহজে বুঝতে পারবে না। এজন্য পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ আমার হাতে থাকা সত্ত্বেও,আমি ওই দুই ধর্মীয় সংগঠনের নাম সরাসরি প্রকাশ করলাম না। 

অগনিত ধর্ম-অন্তপ্রাণ হিন্দু, পূণ‍্য লাভের আশায়,ওই দুই ধর্মীয় সংগঠনে যাতায়াত করে। তাছাড়া, ওই দুই সংগঠনের সাথে যুক্ত অধিকাংশ ধর্মযাজক, এই গভীর ষড়যন্ত্রের কথা জানেন না। জানলে তাঁরা ওই দুই সংগঠনে থাকতেন না।

আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। পার্টিশন-এর সময় অবিভক্ত বাংলায় ৪৬ শতাংশ হিন্দু ছিল ; এই সমস্ত জঘন্য ষড়যন্ত্রের ফলে, এখন হিন্দুর সংখ্যা ৩০ শতাংশে নেমে এসেছে।  হিন্দু জাতির অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে, এখন আর চক্ষুলজ্জার খাতিরে সত্য লুকিয়ে রাখার সুযোগ নেই।

রচয়িতা
--------------
দেবাশীষ মুখার্জী

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted