সবুজের মাঝে ছোপ ছোপ নীল ফুল! টুকটুকে তার লাল ফল! মাথার উপরে নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা…। প্রায় এক লক্ষ বছর আগে এরকম ঝকঝকে বসন্তের দিনে আমাদের কোন এক পূর্ব পুরুষ সেই টুকটুকে লাল ফলটি খেয়ে ঢলে পড়েছিলো মাটিতে। বিষে ভরা ফলের কি অপরূপ ফুল! প্রকৃতি যেন এক মায়াবিনি ঘাতক। গোটা আফ্রিকায় যখন হোমো সেপিয়েন্স চড়ে বাড়াচ্ছিল তখন ম্যালেরিয়া থেকে বাত জ্বর, পিতরোগের এমন মহামারী লেগেছিলো যে আফ্রিকানদের ডিএনএই বদলে গেলো! মাত্র পঞ্চাশ বছর আগেও ‘রূপসী বাংলায়’ ম্যালেরিয়া একটা প্রজন্মকে বদলে দিয়েছিলো। সবুজ প্রকৃতি, জলাধারে আকাশের প্রতিচ্ছবি… সবটাই আসলে ম্যালেরিয়ার প্রজনন ক্ষেত্র। করোনা ইবালা ডেঙ্গু সবাই এই গ্রহবাসী। কেউ বলতে পারে না এই পৃথিবীতে মশাদের কোন অধিকার নেই। মশারা যদি চিন্তা করতে পারত তাহলে তাদের ধর্মগ্রন্থ বলত মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে মশাদের রক্তের জোগান দিতে। বেয়ারা মশাদের কেউ কেউ হয়ত প্রশ্ন তুলত তাহলে মানুষের দুটো হাত কি করতে ঈশ্বর বানাতে গেলো? রক্ত খেতে গেলে মানুষ কেন তাদের হাত দুটো ব্যবহার করে? গরু কেন শিং দিয়ে গুতো দিতে আসে? আমাদের মাংসের যোগান দিতে যাদের জন্ম তাদের শিং দিলো কোন কারিগর? পৃথিবীটা জীবনের এক সমাহার। খাদ্য আর খাদকের এক নিকৃষ্ট চক্রের সমাহার।সবাই সবাইকে খেয়ে বাঁচে। আর সবাই ভাবে এই পৃথিবীটা তাদের জন্যই বানানো হয়েছে…। এই অর্থহীন গন্তব্যহীন জীব জগতের নিষ্ঠুর পরজীবী জীবনযাপনের সঙ্গে হোমো সেপিয়েন্সের সৃষ্ট ঈশ্বরের পৃথিবীর কোন মিল নেই। পৃথিবীটা এমনই বেঢপ আর ভুল চক্রে ঘুরছে যে সূর্যের আলো তার সবখানে সমানভাবে পড়ছে না। তাই কোথাও ছয় মাস অন্ধকার আলোহীন। ‘সূর্যের অতি ক্ষতিকর বেগুণি রশ্মি’ মানুষের চামড়ায় ক্যান্সার সৃষ্টি করে। কেন এমনটা হবে? পৃথিবীতে মানুষের জন্ম তো খুবই সাধারণ একটা চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখে। ঈশ্বর মানুষ দিয়ে ভরে দিলেন তার নির্দেশ পালন করতে। শয়তান তাকে বিপথগামী করবে এই ছিলো শয়তান আর ঈশ্বরের সঙ্গে বাজি। তার মধ্যে পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ শক্তি, অক্সিজেন, জীবাণু, সূর্যের ক্ষতিকর বেগুণি রশ্মি… মানুষের পাপ পূণ্যের হিসাবের বাইরে। মানুষ বিষ খেয়ে বিষ চিনেছে। মানুষ কল্পনায় দেবতাকে বিষপান করিয়ে নীলকন্ঠ বানিয়েছে আসলে সে নিজে বিষ খেয়ে বাকীদের চিনিয়ে গেছে কোনটা ফল কোনটা বিষ। পৃথিবীটা যে মানুষের জন্য বানানো হয়নি মানুষ এখন এটা বুঝে গেছে। পৃথিবী আর বিশ্বব্রহ্মাণ্ড একটা দুর্ঘটনা মাত্র। গরু লেজটি মশা মাছি তাড়াতে ব্যবহার করে। বাল্যের এই গরুর রচনা আমাদের সুক্ষ্মভাবে শেখানো চেষ্টা করে গরুর লেজটি কেউ বুদ্ধি করে বানিয়েছিলো বলেই গরু মশা মাছি থেকে রক্ষা পাচ্ছে। এই রচনা যারা বানিয়েছে তারাই গরুকে খাদ্য বানিয়েছে। ছাগল মহিষ মানুষের খাদ্য হয়েছে। কিন্তু মানুষ কি নিপুনভাবে কল্পনা বিলাশ করেছে এদের লেজটি মশা মাছি তাড়াতে কোন বুদ্ধিমান সত্ত্বা তৈরি করে দিয়েছিলো। ভাবছেন এত কথা বলছি কেন? এই যে মহামারী হয় পৃথিবীতে, এত জীবাণু, রোগ, সংক্রমণ আমাদের নির্দেশ করে আমাদের অদেখা এক পৃথিবীকে। আমরা আসলে গর্ত থেকে বের হওয়া ইঁদুরের আকস্মিক শিকার হওয়া জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন কেউ নই। এই সত্যকে আমরা জেনে গিয়েছি বলেই পৃথিবীর নিয়ন্ত্রক হয়েছি। কলেরা বসন্ত রোগের রণচন্ডি দেবীরা এখন টিকার প্রভাবে বিলুপ্ত। মানুষের মাঝে খুব বুদ্ধিমানরা বুঝেছিল প্রকৃতি গন্তব্যহীন এক বিস্তার। আমাদের টিকে থাকতে হলে প্রকৃতির খাদ্য খাদক চক্র থেকে কেবলই নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা নিতে হবে। বিষ খেয়েই আমরা বিষ জয় করেছি। এ এক অন্তহীন লড়াই যা দেড় লক্ষ বছর ধরে করে আসছি। সেই বনেবাদারে ফল ফুল খেয়ে চিনে নেবার কাল থেকে ...।

q টুকটুকে তার লাল ফল! মাথার উপরে নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা…। প্রায় এক লক্ষ বছর আগে এরকম ঝকঝকে বসন্তের দিনে আমাদের কোন এক পূর্ব পুরুষ সেই টুকটুকে লাল ফলটি খেয়ে ঢলে পড়েছিলো মাটিতে। বিষে ভরা ফলের কি অপরূপ ফুল! প্রকৃতি যেন এক মায়াবিনি ঘাতক। গোটা আফ্রিকায় যখন হোমো সেপিয়েন্স চড়ে বাড়াচ্ছিল তখন ম্যালেরিয়া থেকে বাত জ্বর, পিতরোগের এমন মহামারী লেগেছিলো যে আফ্রিকানদের ডিএনএই বদলে গেলো! মাত্র পঞ্চাশ বছর আগেও ‘রূপসী বাংলায়’ ম্যালেরিয়া একটা প্রজন্মকে বদলে দিয়েছিলো। সবুজ প্রকৃতি, জলাধারে আকাশের প্রতিচ্ছবি… সবটাই আসলে ম্যালেরিয়ার প্রজনন ক্ষেত্র। করোনা ইবালা ডেঙ্গু সবাই এই গ্রহবাসী। কেউ বলতে পারে না এই পৃথিবীতে মশাদের কোন অধিকার নেই। মশারা যদি চিন্তা করতে পারত তাহলে তাদের ধর্মগ্রন্থ বলত মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে মশাদের রক্তের জোগান দিতে। বেয়ারা মশাদের কেউ কেউ হয়ত প্রশ্ন তুলত তাহলে মানুষের দুটো হাত কি করতে ঈশ্বর বানাতে গেলো? রক্ত খেতে গেলে মানুষ কেন তাদের হাত দুটো ব্যবহার করে?

গরু কেন শিং দিয়ে গুতো দিতে আসে?  আমাদের মাংসের যোগান দিতে যাদের জন্ম তাদের শিং দিলো কোন কারিগর? 

পৃথিবীটা জীবনের এক সমাহার। খাদ্য আর খাদকের এক নিকৃষ্ট চক্রের সমাহার।সবাই সবাইকে খেয়ে বাঁচে। আর সবাই ভাবে এই পৃথিবীটা তাদের জন্যই বানানো হয়েছে…।

এই অর্থহীন গন্তব্যহীন জীব জগতের নিষ্ঠুর পরজীবী জীবনযাপনের সঙ্গে হোমো সেপিয়েন্সের সৃষ্ট ঈশ্বরের পৃথিবীর কোন মিল নেই। পৃথিবীটা এমনই বেঢপ আর ভুল চক্রে ঘুরছে যে সূর্যের আলো তার সবখানে সমানভাবে পড়ছে না। তাই কোথাও ছয় মাস অন্ধকার আলোহীন। ‘সূর্যের অতি ক্ষতিকর বেগুণি রশ্মি’ মানুষের চামড়ায় ক্যান্সার সৃষ্টি করে। কেন এমনটা হবে? পৃথিবীতে মানুষের জন্ম তো খুবই সাধারণ একটা চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখে। ঈশ্বর মানুষ দিয়ে ভরে দিলেন তার নির্দেশ পালন করতে। শয়তান তাকে বিপথগামী করবে এই ছিলো শয়তান আর ঈশ্বরের সঙ্গে বাজি। তার মধ্যে পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ শক্তি, অক্সিজেন, জীবাণু, সূর্যের ক্ষতিকর বেগুণি রশ্মি… মানুষের পাপ পূণ্যের হিসাবের বাইরে। মানুষ বিষ খেয়ে বিষ চিনেছে। মানুষ কল্পনায় দেবতাকে বিষপান করিয়ে নীলকন্ঠ বানিয়েছে আসলে সে নিজে বিষ খেয়ে বাকীদের চিনিয়ে গেছে কোনটা ফল কোনটা বিষ। পৃথিবীটা যে মানুষের জন্য বানানো হয়নি মানুষ এখন এটা বুঝে গেছে। পৃথিবী আর বিশ্বব্রহ্মাণ্ড একটা দুর্ঘটনা মাত্র। গরু লেজটি মশা মাছি তাড়াতে ব্যবহার করে। বাল্যের এই গরুর রচনা আমাদের সুক্ষ্মভাবে শেখানো চেষ্টা করে গরুর লেজটি কেউ বুদ্ধি করে বানিয়েছিলো বলেই গরু মশা মাছি থেকে রক্ষা পাচ্ছে। এই রচনা যারা বানিয়েছে তারাই গরুকে খাদ্য বানিয়েছে। ছাগল মহিষ মানুষের খাদ্য হয়েছে। কিন্তু মানুষ কি নিপুনভাবে কল্পনা বিলাশ করেছে এদের লেজটি মশা মাছি তাড়াতে কোন বুদ্ধিমান সত্ত্বা তৈরি করে দিয়েছিলো।

ভাবছেন এত কথা বলছি কেন? এই যে মহামারী হয় পৃথিবীতে, এত জীবাণু, রোগ, সংক্রমণ আমাদের নির্দেশ করে আমাদের অদেখা এক পৃথিবীকে। আমরা আসলে গর্ত থেকে বের হওয়া ইঁদুরের আকস্মিক শিকার হওয়া জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন কেউ নই। এই সত্যকে আমরা জেনে গিয়েছি বলেই পৃথিবীর নিয়ন্ত্রক হয়েছি। কলেরা বসন্ত রোগের রণচন্ডি দেবীরা এখন টিকার প্রভাবে বিলুপ্ত। মানুষের মাঝে খুব বুদ্ধিমানরা বুঝেছিল প্রকৃতি গন্তব্যহীন এক বিস্তার।  আমাদের টিকে থাকতে হলে প্রকৃতির খাদ্য খাদক চক্র থেকে কেবলই নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা নিতে হবে। বিষ খেয়েই আমরা বিষ জয় করেছি। এ এক অন্তহীন লড়াই যা দেড় লক্ষ বছর ধরে করে আসছি।  সেই বনেবাদারে ফল ফুল খেয়ে চিনে নেবার কাল থেকে ...।

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted