বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিনজন শনাক্ত৷

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিনজন শনাক্ত৷ 
তো কি হয়েছে??? 

সব কিছু ভাল করে না জেনেই এখন ডজন খানি মাক্স আর দোকানে যা পান সব হ্যান্ড স্যানিটাইজার ঘরে নিয়ে চলে আসবেন??

এত পিনিক কেন আপনাদের ভাই!

আপনি কি জানেন? 
আক্রান্ত তিনজনের মধ্যে একজন সম্প্রতি ইতালি থেকে দেশে এসেছে। আরেকজন তার পরিবারেরই সদস্য। তার মানে ভাইরাসটা বাতাসে উড়ে আসে নাই।এই ভাইরাসের ডানা বা পাখা কিছুই নাই।কেউ একজন এইটাকে শরীরে বহন করে নিয়ে এসেছে ।

আচ্ছা তারপর ও ধরেন এই 'করোনা' রোগে আপনি আক্রান্ত হলেন! তো??? এখন কি আপনার মৃত্যু নিশ্চিত?

আপনি তো জানেন যে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্ত ৯০ হাজারের বেশি ছড়িয়ে গেছে। কিন্তু এইটা জানেন না যে, ঐ ৯০ হাজারের থেকে ৫০ হাজার লোক সুস্থ হয়ে বাড়িতে সাধারণ জীবন যাপন করছে!

তারমানে এই 'করোনা' কি ভবাবহ কোন ভাইরাস নয়?

তাহলে বলছি,শুনেন- এই ভাইরাসে আক্রান্তদের মাত্র ১.৫% লোকের জীবন ঝুকিপূর্ণ। মানে ২০০ জন আক্রান্ত হলে ৩ জন হয়রো মারা যেতে পারে। তাও ভাল চিকিৎসা যদি না পায় সে ক্ষেত্রে। 

আর করোনায় আক্রান্তের ৮১% লোকের সাধারণ সর্দি-জ্বর হয়। যেটা ৫-৭ দিনের মধ্যেই সেরে যায়। যেভাবে ৯০ হাজারের মধ্যে ৫০ হাজার বর্তমানে পুরোপুরি সুস্থ। 

আর বাকি ১৯% এর মধ্যে ১৪% আক্রান্তের কন্ডিশন কিছুটা গুরুতর হতে পারে। (কিছুটা)  

এবং সবশেষে বাকি ৫% এর কন্ডিশন ঝুকিপূর্ণ হতে পারে। কিন্তু এই  ৫% হলো যারা বয়স্ক এবং আগে থেকেই হার্ড,কিডনি,লিভার,ফুসফুসের সমস্যা জনিত বড় কোন রোগে ভুগছেন সেসব মানুষ।

এই করোনা শিশু দের জন্য একদম বিপদজনক নয়।
সত্যিই বিপদজনক নয়। এই পর্যন্ত ১-৯ বছরের মধ্যে ৪১৯ জন শিশু আক্রান্ত হয়েছে যার মধ্যে সবাই এখন সুস্থ। 

এবং কিশোর,তরুনরা এই রোগে আক্রান্ত হয় না। সত্যিই হচ্ছে না! এইপর্যন্ত  ৯-৩৯ বছরের মধ্যে শুধুমাত্র একটা রহস্যজনক মৃত্যু ছাড়া আর কেউই আক্রান্ত হয়নি,মারা যাওয়া তো দূরের কথা।

আর এই ভাইরাসটি ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর উপর তাপমাত্রায়  ছড়াতে পারে না। আপনি খোঁজ নিয়ে দেখলেই দেখবেন আজকাল যেসব দেশে করোনার উপদ্রব বেশি সেসব দেশে এখনো শীত পড়ছে অথবা ওগুলো শীত প্রধান দেশ।

সুতারাং মে মাসের পর এই করোনা আর খুঁজেই পাওয়া যাবে না।

তাহলে কেন হুমড়ি খেয়ে এক্সট্রা মাক্স আর হ্যান্ড স্যানিটাইজার কিনতেছেন? 

সবাইকে অনুরোধ করছি প্যানিকড হবেন না। প্যানিকড হলে পরিস্থিতির আকার ভয়াবহ হবে৷ সবচাইতে বড় ভয় হবে এ ঘটনাকে পূজি করে ফেইক নিউজ পোর্টালগুলো মিথ্যা নিউজ ছাপিয়ে পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত করার চেষ্টা করবে।

হয়তো আজকে সন্ধ্যায় চা দোকানে তিন জন থেকে মুখে মুখেই তিনশ জন হয়ে যাবে আক্রান্তের সংখ্যা। আর মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজারের দাম আরো বেড়ে যাবে। 
ক্ষতি কারো না, আমার আপনারই হবে।

আর ডাক্তারদের অনুরোধ করছি আপনারা এটা নিয়ে সচেতনতা পোস্ট লিখুন। করোনার ফেটালিটি রেট যে খুবই কম সেটাও বুঝান সবাইকে। পজেটিভ ব্যপার গুলো বেশি বেশি শেয়ার করুন। নেগেটিভিটি বর্জন করুন। গুজব দূর্যোগের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করুন।

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted