বাংলাদেশের সমস্ত সিনেমা হল করোনা ভাইরাসের কারণে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে সিনেমা হল এমনিতেই দর্শকের অভাবে ২৫০০ থেকে ৫০টিতে এসে ঠেকেছে। বাকিগুলোও বন্ধ হবে দর্শক খড়ায়। কাজেই এগুলো বাংলাদেশে প্রকৃত জনসমাগমের স্থান নয়। ফুটবল কিংবা ক্রিকেটের ঘরোয়া লীগেও দর্শকদের চেয়ে গ্যালারিতে কাকের সংখ্যাই বেশি হয় । কাজেই এগুলো বন্ধ করে ফলাফল খুব বেশি পজিটিভ আসবে না।...
বাংলাদেশের আসল জনসমাগম ঘটে মসজিদে। জুম্মার নামাজে বামপন্থীরাও যায়! এটা বন্ধ করবে কে? স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়েছে। হাটহাজারী মাদ্রাসা বন্ধ করবে কে? কয়েক হাজার কওমী মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্রাবাস কে বন্ধ করবে? কাকরাইল মসজিদের তাবলীগের জমায়েত কে ঠেকাবে?
বাংলাদেশে এই ধরনের ভাইরাস প্রতিরোধ করার মত সামাজিক কাঠামো নেই। এই সত্যটা মেনে নেয়াই ভালো। বাংলাদেশের ঢাকায় যারা বাস করে তাদের ৯৯ ভাগই নগরে বসবাস করার জন্য নুন্যতম যোগ্যতা রাখে না। ঢাকার বাইরে থেকে এসে যারা কয়েক প্রজন্ম ঢাকায় বসবাস করছে তারাও ঢাকাকে একটা বেশ্যার চাইতে বেশি কিছু মনে করে না। ঢাকা নোংরা একটা শহর কারণ এখানে যারা বাস করে তারা এটাকে নিজের 'দেশ' মনে করে না। নিজের বাসার বাইরে গোটা শহর তাদের কাছে ডাস্টবিন। এখানে বসবাসকারীরা ফুটপাতে হাঁটতে হাঁটতে মাঝখানে দাঁড়িয়ে যায়। চেঁচিয়ে মোবাইলে কথা বলে। থুতু ফেলবে চায়ের দোকানের তার বসার বেঞ্চের সামনেই। হাঁচি কাশি দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ বলতে শিখেছে কিন্তু মুখে হাত দিয়ে আড়াল করার শিক্ষা এরা পরিবার সমাজ কোথাও থেকে পায়নি। এই বিপুল জনবসতি আর ঘিঞ্জি শহরে ততোধিক অসভ্য নাগরিকদের দিয়ে করোনার মত ভাইরাস মোকাবিলা করা যাবে না। জাতিগত এই গোদের উপর বিষ ফোঁড়া হচ্ছে ধর্মান্ধতা! এত কিছুর সঙ্গে সরকারের উদাসিনতা মিলে ভাবাই যাচ্ছে না কিছু! যে সরকার ডেঙ্গু মোকাবিলা করতে পারেনি তারা করোনা মোকাবিলা করতে পারবে এটা আশা করার জন্য অনেক বেশি আশাবাদী হওয়া লাগে।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................