“পশ্চিম বঙ্গ এবং জেহাদী পরিকল্পনা”
ডাঃ মৃনাল কান্তি দেবনাথ
পশ্চিম বঙ্গ ইংরেজ আমলে বৃহত্তর ‘বাংলা প্রদেশের’ অংশ ছিলো। তার আগে ‘মুসলমানি শাসনে’ বাংলা এবং আসামের (বরাক উপত্যকা) এক অংশ বাংলার শাসকেরা শাসন করতো। ছিলো বারো ভুইঁয়া। তার মধ্যে মাত্র একটি হিন্দু শাসনে ছিলো ,বাকি এগারোটি মুসলমানদের হাতে। দীর্ঘ সময় মুসলিম শাসনে থাকায় বাংলায় ‘ধর্ম পরিবর্তন করানো এবং করা’ একটি অবশ্য করনীয় কর্ম ছিলো। শাসকের হাত ধরে বাংলায় এসেছিলো পীর, দরবেশ ইত্যাদি। তারাই শাসকদের পরিচালনা করতো। শাসকেরা দরগা বানাতে হাজার হাজার একর জমি মুসলমান পীরদের দান করেছিলো। সেই জমি জায়গা গরীব হিন্দুদের ধর্ম পরিবর্তনের বিনিময়ে দান করা হতে শুরু করলো।
যা বলা হয় যে, উচ্চ শ্রেনীর অত্যচারে নিম্ন শ্রেনীর হিন্দুরা ধর্ম ত্যাগ করেছে তা সর্বৈব সত্যের অপলাপ। তাই যদি হতো তাহলে আজ আর কোনো নিম্ন শ্রেনীর হিন্দু থাকতো না। শাসক হুসেন শাহর আমলে এই পীর, দরবেশদের রম রমা লক্ষ্য করার বিষয়। শ্রী চৈতন্য দেব সেই অবস্থা থেকে নিম্ন বর্গের হিন্দুদের উদ্ধার করেন। কিন্তু পরবর্তি সময় বিশেষ করে সিরাজদ্দৌলার সময় হিন্দুদের ওপরে অত্যাচার মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। ইংরেজ এসে সেই অত্যাচার বন্ধ করে।
ইংরেজদের হাতে শাসন ক্ষমতা চলে যাওয়াতে বাংলার মুসলমানেরা হিন্দুদের আজো ক্ষমা করে নি। সারা হিন্দুস্তান ‘দারুল ইসলাম’ বানানোর অত্যুগ্র বাসনা স্বযত্নে পুষে রেখে মনে মনে হিন্দুদের প্রতি এক চরম ঘৃনা এই ধর্মান্তরিত মুসলমানদের মনে গ্রথিত করে দেওয়া হয়েছে সুকৌশলে। তাদের নিজস্ব পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং ধর্মীয় স্থানে।
‘জেহাদী’ পরিকল্পনায় সক্রিয় মদত দিচ্ছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা বিভাগ, সৌদি অর্থ, এবং আমাদের ই মধ্যেকার কিছু রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব, শুধু মাত্র নিজেদের ব্যাক্তিগত রাজনৈতিক স্বার্থে। এরা সক্রিয়, বর্তমানে অতি সক্রিয়।
আসামের বরাক উপত্যকা আজ মুসলিমদের দখলে। সেখানে মুসলিম দল, কংগ্রেসের সহায়তায় এক ‘বিষবৃক্ষ’ আজ মহীরুহ হয়ে দাড়িয়েছে। এদের বেশীর ভাগ বিগত ৩০-৪০ বছর আগে পুর্ব পাকিস্তান থেকে এসে বস বাস শুরু করেছে।
পশ্চিম বঙ্গে এই মুসলিম অনুপ্রবেশ শুরু হয়েছে জ্যোতি বসুর সক্রিয় অনুমোদনে। সেই অনুমোদন প্রথা আজো অব্যাহত। বর্তমান শাসক দল এদের ভোটেই জেতে। বারাসত লোকসভা কেন্দ্রে ৭০০০০ ভোট এই অনুপ্রবেশকারীরাই দিয়েছে বিজেপির বিরুদ্ধে। অন্য স্থানীয় মুসলিম্রা তো আছেই।
পশ্চিম বংগে আজ হায়দ্রাবাদ থেকে আসা একটি দল তাদের শাখা প্রশাখা ছড়াচ্ছে। ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা নিজস্ব দল ঘোষনা করেছে। ‘জেহদী’রা ধীরে ধীরে এক কাট্টা হয়ে এগোচ্ছে। হিন্দুরা নিজেদের ভাগ করে নিয়েছে শাসক দলের সঙ্গী হয়ে, বিজেপির সঙ্গী হয়ে এবং বেশ কিছু আছে কংগ্রেস এবং সি পি এম এর সংগে।
জেহাদীরা আজ পশ্চিম বংগে ২৮ %। এই সংখ্যা বেড়ে ৪০% হতে সময় লাগবে মেরে কেটে দশ বছর। দশ বছর অতি অল্প সময়। কিন্তু তারপর????????
আমি নিশ্চিত, আগামী দশ বছরে পশ্চিম বঙ্গে হিন্দু সংখ্যা লধু হয়ে যাবে। কাশ্মীরী পন্ডিতদের মতো অবস্থা হবে পশ্চিম বঙ্গের হিন্দুদের। জায়গা হবে আবার কোনো “রিফিউজি কলোনী’ তে। ছত্তিশগড়ের মানা ক্যাম্পে এখন আর কেউ বাস করে না। সেখানে পুর্ব পাকিস্তানের ‘আহাম্মুখ উদবাস্তুদের’ থাকার জায়গা গুলো বেশ ভালোই আছে ( আমি দেখে এসেছি)। আজ যারা শাসক দলের নেতা বনে প্রচুর অর্থ করে ফেলেছে, আগামীতে তাদের এবং অন্য হিন্দুদের জায়গা হবে ওই ‘মানা ক্যাম্পে’। তিন চারতলা বাড়ি ফেলে থাকতে হবে টিনের চালা ঘরে। যা কিনা আমার বাবার প্রজন্ম এবং আমার প্রজন্ম কে থাকতে হয়েছে।
জেহাদীরা, মুখে শান্তির কথা বলে। মনে মনে এবং প্রকাশ্যেও ঘৃনা করে পৌত্তলিকদের। প্রার্থনা গৃহে সেটা প্রতি শুক্রবার কাফের দের ঘৃনা করতে শেখানো হয়। কিন্তু, তাই বলে সবাই ঐ রকম???? না না, একদল প্রকাশ্যে ‘উগ্রবাদী’, অন্য দল চুপচাপ উগ্রবাদের সমর্থক। এর বাইরে কিছু নেই। তাই তো খানেরা বিয়ে করে হিন্দু মেয়েদের, ছেলে পুলেদের নাম দেয় আরবী। একজন তো দিয়েছে ‘তৈমুর’। এরা সবাই একই মনোভাবের। তফাত কিছু নেই। মনে রাখবেন “ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার” এবং অন্য তিনটি প্লেনের চালকেরা ছিলো উচ্চ শিক্ষিত। অশিক্ষিত, শিক্ষিত, ধনী, নির্ধন ,এক ভাবনায় সবাই এক। মুখে যেটুকু দেখায় বা বলে সেটা ভন্ডামী।
জেহাদী সংষ্কার তৈরী হয়েছে আরবে ১৫০০ বছর আগে। বৈদিক সংষ্কার তৈরী হয়েছ ভারতে ১২০০০ বছর আগে। দুটি সংষ্কার , জীবনে চলার পথ , চিন্তা ভাবনা দাড়িয় আছে দুই বিপরীত মেরুতে। কিন্তু এরা বাস করছে একটি ভুখন্ডে। একত্র সহবাসে সংঘাত হবেই। সেই সংঘাত দিয়েই দেশ ভাগ। চলতি সংঘাত শুরু হয়েছে বেশ কিছুদিন। এই সংঘাত শুধু চলবে তাই নয়, প্রতিদিন বাড়বে। একদল আগ্রাসী, আর এক দল সেই আগ্রাসনের শিকার। আগ্রাসীদের একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি পরিকল্পনা আছে সঙ্ঘাত নিয়ে। হিন্দুদের তার কিছু নেই। শান্তি শান্তি, সহনশীলতা (কাপুরুষতার অপর নাম), সবাই মানুষ, মানবিকতা ইত্যাদির বেড়াজালে বদ্ধ একটি জাতি। সংঘাত একটি জাতির সঙ্গে , যারা ঐ সব কিছুই মানে না। তারা শুধু জানে ,তাদের নবী আর একটি ‘কেতাব’। অন্য সব চুলোয় যাক।
(***** এই সংঘাতের ভয়ঙ্কর রুপ এবং পরিনাম**** পরের অংশে******)
****
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................