এই সমাজ ধুলোয় মিশে যাক।

“এই সমাজ ধুলোয় মিশে যাক।“
ডাঃ মৃনাল কান্তি দেবনাথ

অনেক বছর আগে, সময়টা হবে ১৯৭৬-৭৭ সাল। তেঘরিয়াতে থাকতাম এবং সেখানেই প্রাকটিস করতাম।

একজন বেশ ওজনদার কমরেড আমার ক্লিনিকে মাঝে মাঝে এসে আড্ডা দিতেন। আমি রোগী দেখতাম, উনি অপেক্ষারত রোগীদের সঙ্গে লেনিন ,মার্ক্স আওড়াতেন। আমার তাকে কিছু বলা ছিলো অসম্ভব। তিনি বছর খানেক পরেই বিধায়ক হন এবং সি পি এম এর ‘চিপ হুইপ’ হন ,তারপর পরই আমাকে দেশ ছাড়া করান।

তা একদিন তিনি বললেন, “ সন্তানেরা হচ্ছে বাবা মায়ের যৌন তৃপ্তির ফসল”। কমরেডের বক্তব্য বলে কথা, কেউ কোনো প্রতিবাদ করতে পারলো না। আমিও না। 

সুতরাং, আজ যখন দেখি, বসন্তোৎসব ( দোল পুর্নিমার সাম্প্রতিক সংষ্করন) উপলক্ষ্যে ‘রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ব বিদ্যালয়ে ‘অল্প বয়ষী মেয়েরা” খোলা পিঠের ওপরে লাল আবির দিয়ে কদর্য ভাষা লিখে আসে, তখন আর অবাক হই না। কারন এদের শরীরে ‘জিনগত মিউটেশান’ হয়েছে। এরা তাদের বাবা মায়ের ‘যৌন তৃপ্তির ফসল’। 

আর একজন ‘রায়’ মশায়, যার নাম হওয়া উচিত “ অন্ধকার রায়” তার সম্বন্ধেও নতুন করে কিছু বলার নেই। তার ছেলে মেয়ে আছে কি না জানি না। থেকে থাকলে তারা তো ওই রায় এবং তার ‘যৌন সাথীর’ ফসল। 

এরা এবং এদের যারা অর্থ জোগায়, সেই পেত্রো ডলারের ( আরবী- নাপাক স্তানের) মালিকদের মন সব সময় “লিঙ্গ ময় কোষে” অবস্থান করে। যৌনতা, অশ্লীলতা ছাড়া এরা আর কিছু জানে না বোঝে না। এরা বাস করে এক ‘অন্ধকার নরকের জগতে’। সেখানে শ্বাপদ, অশরীরী আত্মারা ঘুরে বেড়ায়, তাদের সঙ্গে এরা সহবাস করে এবং প্রজন্ম তৈরী করে। সুতরাং এদের বিকৃত ভাবনা চিন্তা, কুকর্ম ছাড়া আর কিছু নেই। 

‘বাংলার সংষ্কৃতি’ বলে অনেকে চেচামেচি করেন। আজ সেটা ‘নরকের সংষ্কৃতি’। এই নরকের সংষ্কৃতি তৈরী শুরু হয়েছে সেই যাটের দশক থেকে। বামপন্থী দের হাত ধরে সেই ‘নরকের সংষ্কৃতির’ পুর্নতা প্রাপ্তি হয়েছে বর্তমান ‘অপ সংষ্কৃতির’ ধারক এবং বাহক শাসক শ্রেনী এবং শাসক হবার আশায় উদ্বেলিত শ্রেনীর মধ্য দিয়ে। 

আজ সারা বাংলায় এমন কেউ নেই, একটি রাজনৈতিক দল নেই, একটি কোনো ধর্মীয় সংগঠন নেই, একটি কোনে আইন জীবী নেই, একটি কোনো স্বজ্জন ব্যাক্তি নেই যে বা যারা এর বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে পারে। যদি থাকতো, তাহলে ওই “ অন্ধকার রায়”, তার সঙ্গী সাথীরা, তাদের প্রশ্রয় দাতারা আজ হয় জেলে থাকতো নইলে ‘চিরতরে নরক বাস করতো’। 

আজ, যিনি বলেন “গরু খাই, খাবো”, তাকে ছাড়া কোনো মহাত্মার প্রতিষ্ঠিত সঙ্ঘের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয় না, নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। রথ যাত্রায় সেই “গরু খোরকে” দিয়ে রথের দড়ি টানানো হয়। যিনি নিজেকে হিন্দু বলতে গর্ব বোধ করতেন , তার প্রতিষ্ঠিত সংগঠনের মহারাজেরা আজ সেই গরু খোরের পদাশ্রিত।

বাংলার আকাশ, বাংলার বাতাস আর পুন্য হবে না। আজ সেখানে ‘ঘোর অমানিশা’। এর বিরুদ্ধে এই সোসাল মিডিয়া ছাড়া কোথাও কোনো প্রতিবাদ নেই, প্রতিরোধ নেই। যারা এই অপকর্ম করছে তারা ‘যৌন সাথী’ নিয়ে মদ,গাজা খেয়ে বিছানায় লেপ্টে আছে।  যারা বিনা প্রতিবাদে একটু আহাঃ উহুঃ করছে তারাও কিছুদিন পরে ‘এই ভাইরাসের’ আক্রমনে মারা পড়বে।

“অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে , দুজনেই সমান দোষে দোষী”

ভগবান পরশুরাম ২১ বার পৃথিবীকে ‘নি-ক্ষত্রিয়’ করেছিলেন। ঈশ্বর আর অবতীর্ন হবেন না। কিন্তু আমি ‘কায়- মনো- বাক্যে’ প্রার্থনা করি---- কোনো মহামারী, প্রাকৃতিক দুর্য্যোগ বা পারমানবিক যুদ্ধ হোক এবং এই সমাজ ধুলোয় মিশে যাক। শিবের তান্ডব নৃত্য চাই। 
এরাও শেষ হোক, আমিও মরে গিয়ে এদের হাত থেকে বেচে যাই।।

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted