২০২০ দিল্লী : উস্কানি দিয়ে সংখ্যালঘু নির্যাতন কি বাংলাদেশে নতুন নাকি ?

২০২০ দিল্লী : উস্কানি দিয়ে সংখ্যালঘু নির্যাতন কি বাংলাদেশে নতুন নাকি ? 
--------------------------------------------------------------------------------------------

উস্কানি দিয়ে সংখ্যালঘু নির্যাতন কি বাংলাদেশে নতুন নাকি ? পূর্ব পাকিস্তান, তদুপরি বাংলাদেশ, কোনটাতেই তো এর খামতি হয় নি ! দিল্লী নিয়ে অশ্রুপাত করার আগে জানুন যে দিল্লীতে দাঙ্গায় অধীক পরিমানে মুসলমান আক্রান্ত হয়েছে কিন্তু একতরফা নিধনযজ্ঞ হয়নি। এর গোড়ার ইতিহাস একটু জানুন:

৫.নারায়নগঞ্জে হিন্দু হত্যা, স্থান: নারায়নগঞ্জ শহর, ১৯৬৪:
উস্কানি: ১৩ জানুয়ারি আদমজী জুট মিলের জেনারেল ম্যানেজার করিম মিল দু’দিনের জন্য বন্ধ করতে বলে কারণ, কলকাতায় তার ভাইকে নাকি হিন্দুরা হত্যা করেছে!
ফল: আদমজি জুটমিলের শ্রমিকরা কাছেই অবস্থিত ঢাকেশ্বরী কটন মিলস-২ এর হিন্দু শ্রমিকদের কোয়ার্টার আক্রমন করে রাতে। ১৪ জানুয়ারি ভোর ৫টায় ঢাকেশ্বরী কটন মিলস-২ আক্রমন করে লুটপাট ও আগুন দেয়। লক্ষ্মীনারায়ন কটন মিলে আশ্রয় নেয়া শ্রমিকদের আক্রমন ও হত্যা করা হয় ! ঢাকেশ্বরী কটন মিলস ও লক্ষ্মীনারায়ন কটন মিলের প্রায় ২৫০০০ হিন্দু শ্রমিককে চার দিন লক্ষ্মীনারায়ন কটন মিলে খাবার ছাড়া আটকে রাখা হয় ঘটনার ছবি তুলতে গিয়ে নটরডেম কলেজের অধ্যাপক রিচার্ড নোভাক; ছুরিকাহত হয় !
ফলাফলঃ নারায়নগঞ্জের পানাম নগরীর হিন্দুরা বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালায়।

৬.চট্টগ্রামসহ বহু জেলা, ১৯৮৮ বাবরি মসজিদ ভাঙার গুজবে হিন্দু নির্যাতন, স্থান: চট্টগ্রাম:
বাবরি মসজিদ ভাঙার প্রক্রিয়া আসলে ঘটে ১৯৯০ সালে, কিন্তু ২৯ অক্টোবর ১৯৮৮ তারিখে জামাতি পত্রিকা ইনকিলাব পত্রিকায় গুজব-সংবাদ ছাপানো হয় যে, ভারতে বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলা হয়েছে।
ফল: চট্টগ্রামসহ কমপক্ষে বারোটি জেলায় হিন্দুদের নির্যাতন করা হয়। এছাড়া হিন্দুদের মারধর, বাড়িঘর ও মন্দিরে লুটপাট ও আগুন দেয়া চলে ব্যাপকহারে !

৭.রামু বৌদ্ধ বিহার হামলা, স্থান: রামু, উখিয়া, কক্সবাজার এবং পটিয়া চট্টগ্রাম, ২০১২:
উস্কানি: ২৯ শে সেপ্টেম্বর একটা ফেক আইডি থেকে উত্তম কুমার বড়ুয়ার ওয়ালে নবীর অবমাননামূলক পোস্ট দেয়া হয় আর ওখানকার মুসলমানদের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া হয়।
ফল: রাত দশটার দিকে কয়েক হাজার শান্তির ধর্মের অনুসারী রামুতে বৌদ্ধ মন্দির ও বৌদ্ধ বিহারে আক্রমন করে। ৩০ সেপ্টেম্বর ভোর পর্যন্ত এই আক্রমন চলতে থাকে এবং রামু থেকে উখিয়া ও পটিয়াতে ছড়িয়ে পড়ে। মোট ২০টি বৌদ্ধ বিহার, ২টি বৌদ্ধ মন্দির, ২টি হিন্দু মন্দির এবং বহু বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর বাড়ি ভাংচুর, লুটপাট ও আগুন দেওয়া হয় ! বৌদ্ধ ও হিন্দু নির্যাতনে সবাই অংশগ্রহণ করে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামাত, রোহিঙ্গা !

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted