-আঙ্কেল মসজিদে আসেন জুম্মা পড়ে আসি। আজকে ইমাম সাহেব করোনা মুক্ত হওয়ার জন্য বিশেষ দোয়া করবেন।
-এত লোকের সমাগমে করোনা ছড়ানোর ঝুঁকি মারাত্মক। বাসায় যাও, বাসায় গিয়ে নামাজ পড়…
-আল্লাহ যদি করোনায় মৃত্যু দেয় তখন ঘরে বসে থেকেও সেটা হবে। আল্লাহপাকই করোনা দিয়েছে। আমাদের ঈমানের পরীক্ষার জন্য, জালিমদের গজব দেয়ার জন্য। আমাদের উচিত আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া…
-ভাতিজা, তোমরা নিরাপদ সড়কের দাবীতে আন্দোলন করছিলা মনে আছে? তখন তো বলো নাই, এ্যাসিডেন্ট দেয় আল্লাহ! আল্লার হুকুম ছাড়া কি এ্যাসিডেন্ট ঘটে? তাহলে ড্রাইভারদের দোষ দিচ্ছিলে কেন? সড়ক আইন বানাতে বলছিলে কেন? আল্লাহ যদি সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু লিখে রাখে তাহলে তুমি কি একশভাগ নিরাপদ সড়ক করেও রেহাই পাবে? যদি না পাও তাহলে কেন মহাসড়ককে নিরাপদ রাখতে তখন সারাদেশে আন্দোলন করেছিলে?
-হুম করছিলাম…
-ছোটবেলায় পোলিও টিকা তো তুমি নিছিলা। কেন নিছিলা? আল্লাহ যদি তোমারে পোলিওতে ল্যাংড়া বানানো লিখে রাখে তাহলে কি তুমি সেটা থেকে রেহাই পাবে? যদি না পাও তাহলে কেন বারোখান টিকা নেও? তখন তো করোনার মত আল্লার উপর ভরসা কর না!
-আপনে কি বলতে চান আঙ্কেল?
-আমি বলতে চাই মসজিদে যদি মশা কামড়াতে পারে, নামাজরত মুসল্লিদের পশ্চাৎদ্দশে সুচ ফুটিয়ে নামাজের একাগ্রতা ভঙ্গ করতে মশার যদি স্বাধীনতা থাকে তাহলে করোনা ভাইরাসের কেন সেটা থাকবে না? মাথাটা একটু খেলাও ভাতিজা! তোমরাই তো নতুন প্রজন্ম। তোমরাই আগামীতে দেশ চালাবে। তোমরা যদি গন্ডমর্খদের কথায় নাচো তাহলে এই দেশ, এই পৃথিবী নিশ্চিত অন্ধকারে যাত্রা করবে…।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................