মোদিজী এবং বাকি বিশ্ব।

“মোদিজী এবং বাকি বিশ্ব”
ডাঃ মৃনাল কান্তি দেবনাথ

ভাববেন না আমি মোদিজীর নামে ঢাক পেটাচ্ছি। 

করোনা ভাইরাস ছিলো একটি সাধারন কম শক্তিধর ভাইরাস। তাকে ‘জেনেটিক মিউটেশান’ ঘটিয়ে এক ‘ভয়ঙ্কর ভাইরাস’ বানালো চীন এবং সেটাকে ছেড়ে দিলো আকাশে। এই ঘটনা ঘটলো ডিসেম্বরে(প্রায় তিনমাস আগে) কিন্তু চীন চুপচাপ সব চেপে দিলো। নিজেদের সামান্য কিছু ক্ষতি হলো, কিছু লোক মারা গেলো, অনেককে গুলি করে মারা হলো। সারা বিশ্ব জানলো প্রায় দুমাস পরে। ততো দিনে ক্ষতি যা হবার তা হয়ে গেছে। 

ইউরোপ ঘুমিয়ে ছিলো, যেমন আছে ‘ইসলামিক জেহাদ’ নিয়ে। মাত্র একটি মানুষ জাগ্রত হলেন তিনি হচ্ছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী ,আমাদের দিদির ঘৃন্য “হরিদাস পাল”। এই হরিদাস পাল তার অতি মোটা মাথা দিয়ে (সুক্ষ্ম বুদ্ধি) সহজেই বুঝতে পারলেন যে, এই ভাইরাস কি করে কি ভাবে ছড়িয়েছে এবং এর ফল সারা বিশ্বে এবং আমাদের দেশে কি হতে পারে। 

১৩০ কোটি মানুষ, শহর গ্রামে যত্র যত্র মানুষের ভীড়। এই সঙ্ক্রমন কি ভাবে ছড়াতে পারে , তা ইতালী, ইউরোপের অন্য বুদ্ধিমান দেশ, আমেরিকা ইত্যাদি ভালো করে বোঝার আগেই “এই হরিদাস পাল” বুঝেছিলেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভাইরাসের সংক্রমন কে “বিশ্ব মহামারী” ঘোষনা করার আগেই ‘হরিদাস পাল’ সাবধানতা নিতে শুরু করলেন।

গরীব দেশ ভারত। চীনের চেয়েও তিন গুন ছোট পরিমাপে কিন্তু লোক সংখ্যা প্রায় সমান। কি হতে পারে ,কি ভাবে ত্বরিত গতিতে সংক্রামিত হতে পারে ডাক্তার না হয়েও ‘হরিদাস পাল’ সেটা বুঝে সেই মতো ব্যাবস্থা নিলেন। 

আমাদের দেশের মানুষ দেশ এবং দশের সমুহ বিপদ বুঝলে এক হয়ে যায়। হরিদাস পালের ডাকে আজ তাই সমস্ত ভারতবাসী এক মত এক পথ করে লড়তে শুরু করেছে এই ভাইরাসের সংক্রমনের বিরুদ্ধে। আমেরিকা থেকে শুরু করে ইউরোপের উন্নত দেশে মৃত্যু মিছিল। হারিদাস পালের দেশে এই অবধি মারা গেছে মাত্র ১২ জন এবং সঙ্ক্রমন হয়েছে ৬০০ কাছাকাছি। একে আমি মাত্রই বলবো—কারন মোদিজী না থাকলে, এই মৃত্যু সংখ্যা ছাড়িয়ে যেতো কয়েক লক্ষে এবং সঙ্ক্রমন কয়েক কোটিতে। 

এর জন্য ওই হরিদাস পালকে আমি সারা জীবন মনে রাখবো।

কিন্তু আমি অবাক হচ্ছি শুধু এই ভেবে যে , এখনো অবধি আমাদের এখান থেকে ওই হরিদাস পালের এই সব ‘পাগলামি--- জনতা কার্ফু বা ২১ দিন লক ডাউন’ নিয়ে কেউ কিছু বলছে না, বলছে না – “মানছি না মানব না’। কেউ রাস্তায় নেমে বলছে না “হোক প্রতিবাদ”। কেউ বলছে না—“ এই সব পাগলামির প্রতিবাদে মোমবাতির মিছিল হবে বা প্রকাশ্যে গলা জড়াজড়ি করে এর প্রতিবাদ করবো”।

 কোথায় গেলো সেলিব্রেটি সেন দিদিমনি, বা কন্ডোম কবিরা????? চিঠি লিখুন আর তাতে সই করুন ‘চ্যাটার্জি বাবু’। 

আমি বলি কি—ওরে যাদবপুরী ‘সবজান্তা এবং মানবতা বাদীরা, এই যে গরীব মানুষ গুলোর অসুবিধা হচ্ছে এর প্রতিবাদ করো, রাস্তায় নেমে জড়িয়ে ধরে চুমু খাও। খাও খাও, করোনা মানুষের লালাতে থাকে। বলো—“হরিদাস পাল মুর্দাবাদ” আর চুমু খাও।  
******

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted