ইসকন সদস্যরা নিজেদের পারিবারিক সম্পত্তি, ভাই বোনদের মধ্যে বন্টন করে দিয়ে, সামাজিক অর্থবিত্ত ও পরিবার ত্যাগ করে পূর্ণরূপে ধর্মকর্মে মনোনিবেশ করেন।
ইসকন সদস্যরা আজীবন অবিবাহিত থেকে যৌনসংযম পালন করে ধর্ম পালন করে থাকেন।
ইসকন সদস্যরা আজীবন নিরামিষভোজী। কোন প্রাণী হত্যা করে নিজে খান না, অন্যকেও প্রানী হত্যা করে খাওয়া থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দেন।
একজন মানুষের জীবনে অর্থবিত্ত লোভ লালসা কাম ক্রোধ ইত্যাদি যা যা ত্যাগ করা যায়, সবই ত্যাগ করে এরা ভগবানের দাস হন। অর্থাৎ ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তার জন্য নিজের যা যা সমর্পন করা যায়, সবকিছুই সমর্পন করেই ধর্মকর্ম করেন।
আমার দেখামতে, ইসকনই একমাত্র ধর্মীয় সংগঠন যারা লোভ লালসা এমনকি কামনা বাসনা সম্পূর্ণ ত্যাগ করে ঈশ্বর প্রণীত পথে উত্তমরূপে ধর্মকর্ম করেন।
তারপরেও করোনা ভাইরাস, এদেরকে ছাড়েনি। ভিনধর্মী বা ইসকনের যারা অনুসারী নয়, তাদের ক্ষেত্রেও ভাইরাসের প্রভাব যা, ইসকনের সদস্যদের ক্ষেত্রেও প্রভাব একই। হয়তো এই ভাইরাসের সংক্রমণে তাদের কারো কারো মৃত্যুও হতে পারে, যেমন অন্যান্য সাধারণ মানুষেরাও মৃত্যুবরণ করছে। তাহলে ঈশ্বর তাঁর এই পূর্ণাঙ্গ নিবেদিত ও সমর্পিত ভক্তদেরকে রক্ষা করলেন না কেন?
আমরা ইতিপূর্বে অন্যান্য ধর্মের ধর্মগুরু বা অন্যান্য ধর্মগুলোর যারা নিবেদিত প্রাণ ভক্ত ও উপাসক, তাদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাসের সংক্রমণের বিষয়গুলোও লক্ষ করেছি, যা সাধারণ অন্যান্য মানুষের উপর সংক্রমণের মতই ছিল। অর্থাৎ কোন ধর্মগুরুই প্রার্থনার বলে কিংবা কোন অদৃশ্য শক্তির সুপারিশে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকে রক্ষা পায়নি। বা এই ভাইরাসের সংক্রমণের হার প্রার্থনার ভিত্তিতে কম বা বেশি হয়নি।
আপনারা যদি নানা অসুখ বিসুখ বা বিপদ আপদের দিকটাও সমাজের ধর্মগুরু বা উত্তম উপাসক অথবা উত্তম ধার্মিকদের সাথে সমাজের অন্যান্য যে কোন শ্রেনীর মানুষের তুলনা করেন, তাও ফলাফল একই রকম হবে। রোগ বালাই বা অসুখ বিসুখ মানুষের ধর্ম পরিচয় বা প্রার্থনার পরিমান হিসেব করে আসে না।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................